ঢাকা, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫, ২৮ কার্তিক ১৪৩২

সাবেক এমপিদের শুল্কমুক্ত ৩১টি বিলাসবহুল গাড়ি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে হস্তান্তর

২০২৫ নভেম্বর ১২ ১৫:১৭:০২

সাবেক এমপিদের শুল্কমুক্ত ৩১টি বিলাসবহুল গাড়ি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে হস্তান্তর

নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানি করা ৩১টি বিলাসবহুল গাড়ি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে হস্তান্তরের জন্য প্রস্তুত করেছে। এ গাড়িগুলো পূর্বে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সদস্যদের নামে আনা হয়েছিল।

এ বিষয়ে এনবিআর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, যথাযথ শুল্ক না পরিশোধের কারণে এসব গাড়ি এখন যানবাহন অধিদপ্তরের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এই গাড়িগুলোর ক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রযোজ্য হবে কি না, তা জানতে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস এনবিআরের কাছে নির্দেশনা চেয়েছিল।

গত বছরের ৮ ডিসেম্বর এনবিআর চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসকে জানিয়েছিল যে, এসব গাড়ি খালাসের সময় শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রযোজ্য হবে না। আমদানিকারকরা স্বাভাবিক হারে শুল্ক-কর পরিশোধ করে গাড়ি খালাস করতে পারবেন।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী, ৩১টি গাড়ি কেউ শুল্ক-কর পরিশোধ করে খালাস করেননি। তাই ২০২৩ সালের কাস্টমস আইনের ধারা ৯৪(৩) অনুসারে গাড়িগুলো নিলামে তোলা হয়েছিল। তবে নিলামে কেউ যৌক্তিক মূল্য বিড না করায়, গাড়িগুলো বিক্রি না করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তরের জন্য বিশেষ আদেশ জারি করা হয়েছে।

শুল্ক-কর সংক্রান্ত তথ্য অনুযায়ী, এই ৩১টি গাড়ির মোট শুল্ক-কর ২৬৯ কোটি ৬১ লাখ ৮৯ হাজার ৬০০ টাকা। উচ্চ মূল্যের গাড়িগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ শুল্ক-কর ৯ কোটি ৪৪ লাখ ৮৩ হাজার ৩০০ টাকা এবং সর্বনিম্ন শুল্ক-কর ৮ কোটি ৬২ লাখ ৬৭ হাজার ৪০০ টাকা।

এনবিআর জানিয়েছে, ভবিষ্যতে যদি সংশ্লিষ্ট গাড়ির আমদানিকারক সমস্ত প্রযোজ্য শুল্ক ও কর পরিশোধ করে গাড়িগুলো খালাস করতে চান, তবে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস তাদের অনুকূলে খালাসের ব্যবস্থা করতে পারবে। এমন ক্ষেত্রে, সরকারি যানবাহন অধিদপ্তর ওই গাড়িগুলো কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে ফেরত দেবে।

কেএমএ

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত