ঢাকা, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫, ২৮ কার্তিক ১৪৩২
পাঁচ ইসলামী ব্যাংকের বিনিয়োগকারীদের বাঁচাতে বিশেষজ্ঞদের চাপ
নিজস্ব প্রতিবেদক: পাঁচ ইসলামী ব্যাংককে একীভূত করার যে প্রক্রিয়া চলছে, তাতে সাধারণ শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে বিশেষজ্ঞদের পক্ষ থেকে ছাড়ে বা ডিসকাউন্টেড মূল্যে শেয়ার দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এই একীভূতকরণের প্রক্রিয়ায় এক্সিম ব্যাংক, এসআইবিএল, ইউনিয়ন ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক এবং সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক—এই পাঁচটি ব্যাংক যুক্ত। এদের মধ্যে প্রথম চারটি ব্যাংক আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হওয়ায় তাদের সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) এবং শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞদের মতে, একীভূত বা অধিগ্রহণ করা কোম্পানির শেয়ার বিদ্যমান শেয়ারহোল্ডারদের মাঝে ছাড়কৃত মূল্যে বিতরণ বা হস্তান্তর করা উচিত। তবে বিএসইসি এবং বিবি-র কয়েকজন কর্মকর্তা এই ছাড়কৃত মূল্যে শেয়ার দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সাধারণ বিনিয়োগকারীদের যেকোনো ঘাটতি থেকে রক্ষা করতে ডিসকাউন্ট মূল্যে শেয়ার দেওয়া আবশ্যক।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের অবশ্যই তাদের বর্তমান হোল্ডিংয়ের বিপরীতে একটি নির্দিষ্ট অনুপাতে নতুন সত্তার শেয়ারের জন্য অফার দিতে হবে। এছাড়াও, নতুন কোম্পানির শেয়ার ছাড়কৃত মূল্যে সাবস্ক্রাইব করার সুযোগ তাদের দেওয়া উচিত। যদি এই ছাড় বা ডিসকাউন্ট না দেওয়া হয়, তবে তা সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য অন্যায্য হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
বিএসইসি কর্মকর্তারা একীভূত হতে যাওয়া এই পাঁচ ব্যাংকের আর্থিক অবস্থা নিয়ে আলোচনা করেছেন। তারা খুঁজে পেয়েছেন যে চারটি ব্যাংকের পুঞ্জীভূত নেতিবাচক সংরক্ষিত আয় রয়েছে, যার ফলে ব্যাংকের নিট সম্পদ মূল্য নেতিবাচক হয়ে গেছে। তাই এই ব্যাংকগুলোর সাম্প্রতিক মূল্যায়ন অনুযায়ী কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ সিদ্ধান্ত মেনে চলতে হবে।
ডিএসই কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বিএসইসি কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন, ব্রোকার হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোকে একীভূত হতে যাওয়া এই পাঁচ সমস্যাযুক্ত ব্যাংককে ঋণ সুবিধা দিতে নিষেধ করা হয়েছে, যা চলমান অর্থবছর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। কর্মকর্তারা আরও উল্লেখ করেন, এই পাঁচ ব্যাংকের মানবসম্পদ, সম্পদ এবং গ্রাহক সুবিধা—সবকিছুই ঝুঁকিপূর্ণ। এই সম্পদগুলি দুর্বল হয়ে গেছে এবং একীভূত হওয়ার পরেও অবশিষ্ট ব্যাংকের সম্পদকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
একীভূতকরণের প্রক্রিয়ায়, একীভূত হওয়া কোম্পানিগুলোর (চারটি ব্যাংক) শেয়ারহোল্ডাররা নতুন কোম্পানির শেয়ার একটি নির্দিষ্ট অনুপাতে পাবেন, কিন্তু এই বিদ্যমান শেয়ারগুলোর জন্য তারা কোনো ক্ষতিপূরণ পাবেন না। এছাড়া, এই একীভূতকরণের কারণে সাধারণ শেয়ারহোল্ডাররা কোনো নতুন শেয়ার পাবেন না, যা বাজার বিশেষজ্ঞ এবং বিএসইসি কর্মকর্তাদের কাছেও অগ্রহণযোগ্য মনে হয়েছে।
এএসএম/
শেয়ারবাজারের বিশ্লেষণ ও ইনসাইড স্টোরি পেতে আমাদের পেজ ফলো করুন।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- বাংলাদেশ বনাম ভারত: খেলাটি কবে, কোথায়, কখন-জানুন সময়সূচি
- নতুন মার্জিন নীতিতে কারা সুবিধা পাবেন, কারা হারাবেন?
- ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া: কবে, কখন, কোথায়-যেভবে দেখবেন সরাসরি(LIVE)
- শেয়ারবাজারই হতে পারে ওষুধ শিল্পের নতুন প্রাণশক্তি: ডিএসই চেয়ারম্যান
- শেয়ারবাজারে নতুন মার্জিন বিধিমালা জারি করল বিএসইসি
- নিউজিল্যান্ড বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ: খেলাটি মোবাইলে সরাসরি দেখুন(LIVE)
- আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের ঝড়ো শুরু, সরাসরি দেখুন এখানে(LIVE)
- দুই বছর ডিভিডেন্ড না দেওয়ায় ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে অবনমন
- ‘নো ডিভিডেন্ড’- এর বদনাম ঘুচাল বস্ত্র খাতের তিন কোম্পানি
- শিক্ষাবৃত্তি: প্রতি মাসে পাবে ৩ হাজার টাকা, আবেদন করবেন যেভাবে
- পাঁচ ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডারদের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের বার্তা
- পাঁচ ব্যাংকের শেয়ার শূন্য ঘোষণা নিয়ে যা জানালেন অর্থ উপদেষ্টা
- পাঁচ ব্যাংকের বিনিয়োগকারীরা কী পাবেন? জানালেন গভর্নর
- সাপোর্টের রেকর্ড মুনাফা, ১৫ বছরে সর্বোচ্চ ডিভিডেন্ড
- বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান খায়রুল হোসেনের বিরুদ্ধে দুদকের তদন্ত শুরু