ঢাকা, সোমবার, ৩ নভেম্বর ২০২৫, ১৮ কার্তিক ১৪৩২
ওমরাহর অফার দিয়ে পণ্য বিক্রি: জায়েজ না নাজায়েজ?
নিজস্ব প্রতিবেদক: বর্তমানে পণ্য বিক্রির হার বাড়াতে অনেক কোম্পানি বিভিন্ন প্রণোদনামূলক কৌশল গ্রহণ করে, যার মধ্যে একটি জনপ্রিয় পদ্ধতি হলো লটারি কুপন চালু করা। এর মাধ্যমে পণ্য কিনে গ্রাহকরা বিশেষ পুরস্কার, যেমন হজ বা ওমরাহ করার সুযোগ, জয়ের সুযোগ পান। প্রশ্ন উঠেছে, এভাবে পণ্য বিক্রির সঙ্গে চালু করা লটারিতে অংশগ্রহণ করা এবং বিজয়ী হলে পুরস্কার গ্রহণ করা ইসলামি শরিয়তে জায়েজ কিনা।
ইসলামি শরিয়তে হজ বা ওমরাহর সুযোগসহ যেকোনো পুরস্কার ঘোষণা করে এ ধরনের লটারি কুপন চালু করা, তাতে অংশগ্রহণ করা, বিজয়ী হলে হজ-ওমরাহ করা বা অন্যান্য পুরস্কার গ্রহণ করা জায়েজ হবে কিনা, তা তিনটি মৌলিক শর্তের ওপর নির্ভর করে:
১. পণ্যের মূল্য স্বাভাবিক রাখা: কোম্পানিকে পণ্যের দাম বাজারে প্রচলিত স্বাভাবিক মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ রাখতে হবে। লটারির সুবিধা যুক্ত করার কারণে পণ্যের মূল্য বাড়ানো যাবে না। যদি এমনটা করা হয়, তাহলে লটারির খরচ ক্রেতার ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়, যা লেনদেনটিকে 'মায়সির' বা জুয়ায় পরিণত করে। পবিত্র কোরআনে মদ ও জুয়াকে নাপাক বস্তু এবং শয়তানের কাজ বলে উল্লেখ করে তা পরিহার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে (সূরা মায়েদা: ৯০-৯১)।
২. পণ্যের গুণগত মান বজায় রাখা: পণ্যের গুণগত মান যেন হ্রাস না পায়। পুরস্কারের লোভ দেখিয়ে নিম্নমানের পণ্য বাজারজাত করা গ্রাহকদের সাথে প্রতারণার শামিল এবং ব্যবসায়িক সততার পরিপন্থী। কোরআনে ব্যবসায় ইনসাফ বজায় রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং মাপে কম দিতে নিষেধ করা হয়েছে, যা পণ্যের গুণগত মানের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য (সূরা হুদ: ৮৫)।
৩. ত্রুটিপূর্ণ পণ্য বিক্রিতে লটারি ব্যবহার না করা: ত্রুটিপূর্ণ বা ক্ষতিগ্রস্ত পণ্য বিক্রির জন্য লটারি ব্যবস্থাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। যদি লটারি কুপনের মাধ্যমে গ্রাহককে এমন পণ্য কিনতে উৎসাহিত করা হয় যা সাধারণত কেউ কিনতো না, তাহলে সেটিও প্রতারণা ও ধোঁকার পর্যায়ে পড়ে। ইসলামে ধোঁকা ও প্রতারণা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন, "যে ধোঁকা দেয়, সে আমাদের দলভুক্ত নয়।" (সহিহ মুসলিম: ১০২)।
যদি এই তিনটি শর্ত যথাযথভাবে পূরণ করা হয়, অর্থাৎ পণ্যের দাম সঠিক রাখা, গুণগত মান বজায় রাখা এবং লটারি ব্যবস্থাকে প্রতারণার হাতিয়ার না বানানো হয়, তাহলে কোম্পানির পক্ষ থেকে লটারি কুপনের মাধ্যমে পুরস্কার প্রদান 'হাদিয়া' হিসেবে গণ্য হবে। গ্রাহকের জন্যও তা গ্রহণ করা জায়েজ হবে এবং হজ-ওমরাহ করার সুযোগ পেলে তা করাও জায়েজ হবে। তবে, এই শর্তগুলোর কোনো একটি লঙ্ঘন করা হলে পুরো কার্যক্রমটি শরিয়ত পরিপন্থী হয়ে পড়বে এবং সেক্ষেত্রে লটারির আয়োজন, অংশগ্রহণ এবং পুরস্কার গ্রহণ সবই নাজায়েজ হবে।
এসপি
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা ফাইনাল: কবে, কখন-যেভাবে দেখবেন লাইভ
- ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া: খেলাটি মোবাইলে সরাসরি(LIVE) দেখুন
- ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া: খেলাটি ফ্রিতে সরাসরি(LIVE) দেখুন
- আজ বাংলাদেশ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২য় টি-টোয়েন্টি: যেভাবে দেখবেন লাইভ (LIVE)
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ৯৫ কোম্পানি, দেখুন এক নজরে
- ডিএসই’র দুই ব্রোকারেজের ট্রেডিং লাইসেন্স বাতিল
- বাংলাদেশ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২য় টি-২০: কবে, কখন, কোথায়-যেভাবে দেখবেন খেলাটি
- ইপিএস প্রকাশ করেছে ৬৮ কোম্পানি, দেখুন এক নজরে
- আজ বাংলাদেশ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচ: কখন, কোথায়-যেভাবে দেখবেন সরাসরি(LIVE)
- মার্জিন রুল থেকে মিউচুয়াল ফান্ড—সবখানেই আসছে বড় পরিবর্তন
- দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম পাকিস্তান, খেলাটি সরাসরি(LIVE) দেখুন
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে অগ্নী সিস্টেমস
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে তালিকাভুক্ত২৪ কোম্পানি
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে সিমটেক্স ইন্ডাষ্ট্রিজ
- বাংলাদেশ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩য় টি-টোয়েন্টি: খেলাটি সরাসরি(LIVE) দেখবেন যেভাবে