ঢাকা, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ৫ কার্তিক ১৪৩২

দুঃশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে জুলাই স্মৃতি জাদুঘর: প্রধান উপদেষ্টা

২০২৫ সেপ্টেম্বর ২০ ২০:০৯:২৮

দুঃশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে জুলাই স্মৃতি জাদুঘর: প্রধান উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক: শেখ হাসিনার ১৬ বছরের শাসনামলের 'দুঃশাসন, পিলখানা হত্যাকাণ্ড, গুম-খুন, আয়নাঘর, শাপলা ম্যাসাকার এবং ভোট ডাকাতি'সহ বিভিন্ন ঐতিহাসিক তথ্য জুলাই স্মৃতি জাদুঘরে উপস্থাপন করা হবে।

শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এক বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে জাদুঘর নির্মাণ কর্তৃপক্ষ এই তথ্য জানায়।

সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী প্রধান উপদেষ্টাকে জানান যে, ৩১ অক্টোবর, ২০২৫ এর মধ্যে জাদুঘরের নির্মাণকাজ শেষ হবে এবং নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে এটি উদ্বোধন করা সম্ভব হবে বলে তারা আশা করছেন। তিনি বলেন, "আমরা শেখ হাসিনার দুঃশাসনের চিত্রগুলো এই জাদুঘরে প্রদর্শনের জন্য কিউরেট করছি যাতে ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসনের ইতিহাস জীবন্ত থাকে। জীবন্ত থাকে সরাসরি গণভবন থেকে আসা নির্দেশনা অনুযায়ী পরিচালিত সব অত্যাচার এবং নৃশংসতার ইতিহাস।"

প্রধান উপদেষ্টা জাদুঘর নির্মাণ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান এবং আশা প্রকাশ করেন যে, এই জাদুঘরে যারা আসবেন তারা ৫ আগস্ট গণভবনে জনতার ঢলকে অনুভব করবেন। তিনি বলেন, "মানুষের মধ্যে দুঃশাসনের বিরুদ্ধে প্রবল প্রতিরোধ গড়ে তোলার এই অনুভব নিয়ে আসাটাই এই জাদুঘরের একটা বড় কাজ।"

জাদুঘরের চিফ কিউরেটর তানজীম ওয়াহাব জানান, জাদুঘর নির্মাণে আইসিটি প্রসিকিউশন টিম ও গুম বিষয়ক তদন্ত কমিশনের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ চলছে। তিনি মনে করেন এটি একটি অনন্য জাদুঘর হবে, যেখানে ১৬ বছরের 'দুঃশাসনের গল্পগুলো' ক্রম অনুযায়ী থাকবে এবং দর্শনার্থীরা জানতে পারবেন শেখ হাসিনা কীভাবে দেশ চালাতেন।

মোস্তফা সরয়ার ফারুকী আরও বলেন, 'গুম-খুনের নির্দেশ দেওয়া অনেক অডিও ইতোমধ্যেই জাদুঘর কর্তৃপক্ষের হাতে এসেছে। এই অডিওগুলো জাদুঘরে রাখা হচ্ছে। শেখ হাসিনা কীভাবে গুমের শিকার পরিবারগুলোকে ডেকে এনে মিথ্যা সান্ত্বনা দিতো—সে চিত্রও উঠে আসবে।'

এছাড়াও, জাদুঘরে একটি স্ক্রিনিং সেন্টার থাকবে যেখানে জুলাইয়ের ঘটনা এবং ১৬ বছরের 'দুঃশাসন' নিয়ে ডকুমেন্টারি প্রদর্শনের ব্যবস্থা থাকবে।

বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, গুম সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারির সদস্য ড. নাবিলা ইদ্রিস, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মফিদুর রহমান, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের গভর্নিং বডির চেয়ারপারসন মেরিনা তাবাসসুম। জুলাই স্মৃতি জাদুঘরের গবেষকদের মধ্যে ছিলেন ড্যানিয়েল আফজালুর রহমান, কবি হাসান রোবায়েত, মালিহা নামলাহা, জাদুঘরের শিল্পী তেজশ হালদার জশ, মোসফিকুর রহমান জোহান, জাদুঘরের স্থপতি সালাউদ্দিন আহমেদ এবং সমন্বয়কারী হাসান এনাম।

এসপি

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত