ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২
অবসরপ্রাপ্তদের জীবনমান উন্নয়নে পেনশন সংস্কার প্রস্তাব

নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকার অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য পেনশন ব্যবস্থার আরও সুবিধাজনক ও স্বচ্ছ করার পদক্ষেপ নিয়েছে। সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে পেনশনভোগীদের জন্য বিভিন্ন কল্যাণমূলক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তগুলো কার্যকর হলে পেনশনারদের আর্থিক নিরাপত্তা ও সেবা আরও উন্নত হবে।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, শতভাগ পেনশন সমর্পণকারী কর্মকর্তাদের জন্য পেনশন পুনঃস্থাপনের অপেক্ষাকালকে ১৫ বছর থেকে কমিয়ে ১০ বছরে আনার প্রস্তাব অর্থ বিভাগকে জাতীয় বেতন কমিশনে পাঠানো হবে। এছাড়া, পেনশন পুনঃস্থাপনের আগে কেউ মৃত্যুবরণ করলে তার স্বামী/স্ত্রী বা যোগ্য উত্তরাধিকারীদের পেনশন সুবিধা প্রদানের বিষয়েও অর্থ বিভাগকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সভায় আরও আলোচনা হয়েছে, পেনশনভোগী অবস্থায় কেউ দ্বিতীয় বিয়ে করলে, মৃত্যুর পর দ্বিতীয় স্ত্রী বা স্বামীকেও পারিবারিক পেনশন প্রদানের বিষয়। বর্তমান নিয়মে একজন কর্মকর্তা মৃত্যুবরণ করলে প্রথম স্ত্রী বা স্বামী আজীবন পেনশন পান। এছাড়া, শতভাগ পেনশন সমর্পণকারীদের পুনঃস্থাপনের জন্য অপেক্ষাকাল বর্তমানে ১৫ বছর।
নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী—
পেনশন পুনঃস্থাপন সময় ১৫ বছর থেকে কমিয়ে ১০ বছর করার সুপারিশ।
পেনশনভোগীর মৃত্যুর পর দ্বিতীয় বিয়ে করলে মৃত্যুর পরে দ্বিতীয় স্ত্রী বা স্বামীকেও নিয়ম অনুযায়ী পারিবারিক পেনশন প্রদানের প্রস্তাব।
জটিল রোগে আক্রান্ত অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের সরকারি কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড থেকে চিকিৎসা সহায়তা।
প্রবাসে কর্মরত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের পেনশন সংক্রান্ত কাগজপত্র ও আনুষ্ঠানিকতার স্বাক্ষরসহ অন্যান্য বিষয় মন্ত্রণালয়গুলোর সঙ্গে পর্যালোচনা।
শতভাগ পেনশন সমর্পণকারীদের উৎসব ভাতা বৃদ্ধি ও পেনশন পুনঃস্থাপনের পর পূর্ণ ভাতাসম্বন্ধিত সুবিধা প্রদান।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা জানান, “পেনশন-সংক্রান্ত সমস্যাগুলো সমাধানে সরকার নিয়মিত নির্দেশনা জারি করছে। এবারও আমরা অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।”
নতুন সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়িত হলে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীদের জীবনযাত্রা আরও সুরক্ষিত এবং স্বচ্ছ হবে। পেনশন পুনঃস্থাপন, পারিবারিক পেনশন ও চিকিৎসা সুবিধাসহ অন্যান্য কল্যাণমূলক উদ্যোগ কর্মচারীদের আর্থিক ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। বিশেষ করে দীর্ঘদিন থেকে পেনশন প্রক্রিয়ায় থাকা জটিলতা দূর হয়ে, তাদের সুবিধা সহজ ও দ্রুত পাওয়া সম্ভব হবে।
ইএইচপি
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- লাভেলোর শেয়ার কারসাজি: তিন বিও অ্যাকাউন্টের লেনদেন স্থগিত
- সরকারের সিদ্ধান্তে ডুবছে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের স্বপ্ন?
- ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড কার্যকারিতায় বিএসইসির নতুন উদ্যোগ
- একাদশে ভর্তি: চতুর্থ ধাপে আবেদনের সুযোগ
- শেয়ারবাজারে প্রতারণা ঠেকাতে মাঠে নামছে গোয়েন্দা সংস্থা
- শেয়ারবাজারে ইতিহাস গড়লেন ‘ছাগল-কাণ্ডের’ সেই মতিউর
- শেয়ারবাজারে ধারাবাহিক মুনাফা চান? জেনে নিন ৫ মন্ত্র
- আরএসআই বিশ্লেষণে সর্বোচ্চ সতর্ক সংকেত পাঁচ শেয়ারে
- ডিভিডেন্ড বৃদ্ধির আলোচনায় জ্বালানি খাতের ১১ কোম্পানি
- মালিকানায় পরিবর্তন আসছে ইয়াকিন পলিমারের
- এক শেয়ারের জোরেই সবুজে ফিরল শেয়ারবাজার
- ডিভিডেন্ড দোলাচলে তথ্যপ্রযুক্তির ৮ কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- চার কোম্পানির আর্থিক অনিয়মের দায়ে নিষিদ্ধ হচ্ছে ৬ নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান
- সোনালী পেপারের কারসাজিতে জেনেক্স ইনফোসিসের পরিচালকদের জরিমানা
- শেয়ার কারসাজিতে শ্যালক–দুলাভাইর দেড় কোটি টাকা জরিমানা