ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২

ডাকসু নির্বাচনে বিজয়ীদের অভিনন্দন জানালেন আইন উপদেষ্টা

২০২৫ সেপ্টেম্বর ১০ ২১:২৬:১৮

ডাকসু নির্বাচনে বিজয়ীদের অভিনন্দন জানালেন আইন উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের ভূমিধস জয়কে 'ট্যাগের রাজনীতির ভূমিধস পরাজয়' হিসেবে দেখছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।

নির্বাচনের পরদিন বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের এই অধ্যাপক তার মনোভাব প্রকাশ করেন।

আসিফ নজরুল ডাকসু নির্বাচনে বিজয়ী ছাত্রশিবিরের নেতা এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি নির্বাচনের ফলাফল মেনে নেওয়া সকল অংশগ্রহণকারীকেও অভিনন্দন জ্ঞাপন করেন।

ছাত্রশিবিরের বিশাল বিজয় নিয়ে চলমান বিশ্লেষণের উল্লেখ করে আসিফ নজরুল বলেন, "আমি শুধু একটা কথা বলবো- এ নির্বাচনের মাধ্যমে ট্যাগ দেওয়ার রাজনীতির ভূমিধস পরাজয় হয়েছে।" তিনি অভিযোগ করেন যে, হাসিনার আমলে 'শিবির ট্যাগ' দিয়ে অগণিত শিবিরকর্মী ও সাধারণ ছাত্রের প্রতি অমানুষিক নির্যাতন চালানো হয়েছে। শিবির সন্দেহে পেটানোর পর পুলিশে সোপর্দের ঘটনা ছিল নিত্যনৈমিত্তিক। আসিফ নজরুল দাবি করেন যে, তিনি অবিরামভাবে এই নির্যাতনের তীব্র প্রতিবাদ করেছেন এবং নানা হুমকি ও আক্রমণ সত্ত্বেও কখনো থামেননি। এই বিষয়কে কেন্দ্র করে তিনি 'আমি আবুবকর' নামের একটি উপন্যাসও লিখেছেন বলে জানান।

আসিফ নজরুল শিবিরের নেতাদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, "গণ-অভ্যুত্থানকারী সবাইকে নিয়ে একসাথে কাজ করুন।" তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসন ব্যবস্থার করুণ দশার কথা উল্লেখ করে বলেন যে, সলিমুল্লাহ হলে জুমার নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় তিনি হলের ভেতর দিয়ে যেতেন এবং বারান্দার চৌকি, মশারি ও ভাঙা টেবিল-চেয়ার দেখে বস্তির মতো লাগতো। ক্যানটিনকে লঙ্গরখানা এবং রুমগুলোর ভেতরে উঁকি দিতেও ইচ্ছে হতো না বলে মন্তব্য করেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, ফ্যাসিস্টমুক্ত এই বাংলাদেশে ঢাবির অন্তত আবাসিক শিক্ষার্থীদের কিছু গুরুতর সমস্যা বিজয়ী নেতারা দূর করে যাবেন।

উল্লেখ্য, ডাকসু নির্বাচনে ২৮টি পদের মধ্যে ২৩টিতেই জয়ী হয়েছেন ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের সদস্যরা। সহ-সভাপতি (ভিপি), সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ও সহ-সাধারণ সম্পাদকসহ (এজিএস) ১২টি সম্পাদকীয় পদ তাদের দখলে গেছে। এছাড়াও ১৩টি সদস্য পদের মধ্যে ১১টিই তারা পেয়েছে। বাকি পাঁচটি পদে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। ভিপি পদে ছাত্রশিবিরের নেতা আবু সাদিক কায়েম, জিএস পদে এসএম ফরহাদ এবং এজিএস পদে মহিউদ্দীন খান জয়ী হয়েছেন।

এসপি

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

সর্বোচ্চ পঠিত