ঢাকা, রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২২ ভাদ্র ১৪৩২
শেয়ারবাজার চাঙা, তবু বিনিয়োগকারীদের অ্যাকাউন্ট ভাটা

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের শেয়ারবাজার আগস্ট মাসে সূচক ও লেনদেনের দিক থেকে ইতিবাচক ধারা দেখালেও বিনিয়োগকারীদের বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাবের সংখ্যা উল্টো কমেছে প্রায় দুই হাজার। আরও উদ্বেগের বিষয় হলো, শেয়ারবিহীন বা শূন্য বিও হিসাব বেড়েছে তিন হাজারের বেশি।
সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) উপাত্ত অনুযায়ী, জুলাই শেষে মোট বিও হিসাব ছিল ১৬ লাখ ৪৭ হাজার ২৪৮টি। আগস্ট শেষে সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ১৬ লাখ ৪৫ হাজার ৪০১টিতে। অর্থাৎ এক মাসে বিও হিসাব কমেছে ১ হাজার ৯৪৭টি। এর মধ্যে শেয়ারবিহীন হিসাব বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৭২ হাজার ৮৫৯টি, যা আগের মাসের তুলনায় ৩ হাজার ৬৮টি বেশি।
বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, সাম্প্রতিক সময়ে শেয়ারবাজারে দাম বাড়ায় অনেক বিনিয়োগকারী মুনাফা তুলে নিয়েছেন। ফলে হাতে থাকা সব শেয়ার বিক্রি করে অনেক বিও হিসাব এখন শূন্য হয়ে গেছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) এক পরিচালক বলেন, “বাজার ভালো থাকলেও সবসময় কেনার সুযোগ পাওয়া যায় না। অনেকেই দাম কমার অপেক্ষায় হাতের শেয়ার বিক্রি করে রেখেছেন। প্রকৃতপক্ষে মন্দা বাজারেই বিনিয়োগের ভালো সুযোগ তৈরি হয়।”
তবে বাজার বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, দীর্ঘমেয়াদে পরিস্থিতি ইতিবাচক হবে। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) দেশি-বিদেশি বড় কোম্পানিকে শেয়ারবাজারে আনতে কাজ করছে। এসব কোম্পানি তালিকাভুক্ত হলে বিও হিসাব বাড়বে। পাশাপাশি বিও হিসাব রক্ষণাবেক্ষণের বার্ষিক ফি ৪৫০ টাকা থেকে কমিয়ে ১৫০ টাকা করায় ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের জন্য বোঝা হালকা হয়েছে। এতে ভবিষ্যতে শূন্য বা বন্ধ বিও হিসাবের সংখ্যা কমবে বলেও আশা করা হচ্ছে।
ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, “আগে উচ্চ ফি-র কারণে অনেক ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী বাজার ছেড়ে দিতেন। ফি কমায় এখন বিও হিসাব ধরে রাখা সহজ হবে, ব্রোকারেজ হাউজগুলোকেও টিকে থাকতে সহায়তা করবে।”
আগস্ট শেষে পুরুষ বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব দাঁড়িয়েছে ১২ লাখ ৩৫ হাজার ৮৯৮টি, যা জুলাইয়ের তুলনায় কমেছে ১ হাজার ১১৭টি। নারীদের হিসাবও ৭৬৭টি কমে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৯১ হাজার ৯৭১টিতে।
দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের ক্ষেত্রেও একই চিত্র দেখা গেছে। আগস্ট শেষে দেশি বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব ছিল ১৫ লাখ ৮৪ হাজার ১০৮টি, যা এক মাসে কমেছে প্রায় ১ হাজার ৯২টি। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব কমে দাঁড়িয়েছে ৪৩ হাজার ৭৬১টিতে, যা জুলাইয়ের তুলনায় ৭৯২টি কম।
আগস্ট শেষে সক্রিয় বিও হিসাবের সংখ্যা ছিল ১২ লাখ ৮ হাজার ১৫টি, যেখানে শেয়ার বা ইউনিট রয়েছে। এসব হিসাবে মোট ১০ হাজার ২৬০টি শেয়ার ও ইউনিট ছিল, যার বাজারমূল্য দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ২৬ হাজার ৫২৪ কোটি টাকা।
এএসএম/
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে শেয়ারবাজারের ১১ কোম্পানিতে
- কোম্পানি পুরোদমে উৎপাদনে, তারপরও শঙ্কায় বিনিয়োগকারীরা!
- পাকিস্তান বনাম সংযুক্ত আরব আমিরাত সাম্প্রতিক ম্যাচের পরিসংখ্যান
- বিও অ্যাকাউন্টের ফি নিয়ে বিনিয়োগকারীদের সুখবর দিল বিএসইসি
- এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ উচ্চতায় ৫ কোম্পানি
- শেয়ারবাজারে দ্রুত মুনাফা তোলার ৫টি ট্রেডিং টিপস
- শেয়ারবাজারে মিডল্যান্ড ব্যাংকের নতুন যাত্রা
- তদন্তের খবরে থামছে দুই কোম্পানির ঘোড়দৌড়
- আট কোম্পানির শেয়ার নিয়ে কাড়াকাড়ি
- নতুন উচ্চতায় অগ্রসর হচ্ছে দেশের শেয়ারবাজার
- সর্বনিম্ন দামে আটকে গেল ৭ কোম্পানির শেয়ার
- পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কার পথে এগোচ্ছে বাংলাদেশের শেয়ারবাজার
- তিন কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর: ডিএসইর সতর্কবার্তা
- শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের মাথাব্যথার ১১ শেয়ার
- মুনাফা কমলেও ডিভিডেন্ড বেড়েছে ওয়ালটনের