ঢাকা, সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭ ভাদ্র ১৪৩২

‘ডাকসু’ জাতীয় নির্বাচন থেকে কোনো অংশে কম না : হাইকোর্ট

২০২৫ সেপ্টেম্বর ০১ ২২:৫৫:৪১

‘ডাকসু’ জাতীয় নির্বাচন থেকে কোনো অংশে কম না : হাইকোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনকে জাতীয় নির্বাচন থেকে কোনো অংশে কম নয় বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। তবে, হাইকোর্টের দেওয়া সেই স্থগিতাদেশ আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত কর্তৃক পরে স্থগিত করা হয়েছে।

ডাকসু নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে এস এম ফরহাদের প্রার্থিতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিটের শুনানিতে সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি হাবিবুল গণি ও বিচারপতি এস কে তাহসিন আলীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই মন্তব্য করেন।

শুনানিতে আদালত রিটের বিষয় এবং জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদের বিষয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন তোলেন। এরপর ডাকসু নির্বাচন প্রক্রিয়া আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।

এ সময় রিটকারী আইনজীবী জানান যে তারা নির্বাচন স্থগিত চান না। জবাবে আদালত বলেন, "আপনারা রাজনীতি করে ঝগড়া-মারামারি করবেন আর আমাদের এখানে আসবেন, আমরা কী করবো। নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে যান, বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচনে ভোটার কীভাবে হয়েছে, প্রক্রিয়া কী, প্রার্থিতা বাতিলসহ সব বিষয়ে তদন্ত হোক।" আদালত আরও বলেন, "ডাকসু নির্বাচন জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে কোনো অংশে কম নয়। এটাকে গুরুত্ব দিতে হবে।" এরপরই আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত নির্বাচন প্রক্রিয়া স্থগিত ঘোষণা করা হয়।

তবে, হাইকোর্টের দেওয়া ওই আদেশ দ্রুতই আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত স্থগিত করেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চেম্বার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব হাতে লেখা আবেদনের শুনানি নিয়ে এই আদেশ দেন। পরবর্তীতে আবেদন শুনানি শেষ না হওয়া পর্যন্ত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত থাকবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির জানান, হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত এবং নির্বাচনের কার্যক্রমে আর কোনো বাধা রইল না। তিনি আরও বলেন, আগামীকাল চেম্বার আদালতে এ বিষয়ে শুনানি হবে।

উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১০৪ বছর আগে ১৯২১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং প্রথম ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে। ১০০ বছরে ডাকসু নির্বাচন হয়েছে মাত্র ৩৭ বার। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ৫৪ বছরে নির্বাচন হয়েছে সবচেয়ে কম, মাত্র সাতবার। ডাকসু পরিচালিত হয় এর নিজস্ব গঠনতন্ত্র দ্বারা, যা ১৯৯১ সালের পর তিনবার পরিবর্তন করা হয়েছে। সর্বশেষ গত ডিসেম্বরে গঠিত ডাকসু ও হল সংসদের গঠনতন্ত্র সংশোধন কমিটি বিভিন্ন অংশীজনের মতামত নিয়ে সুপারিশ জমা দেয়। এরপর গত ১৬ জুন ঢাবির সিন্ডিকেটে গঠনতন্ত্রের সংশোধনী অনুমোদিত হয়। এই সংশোধনীতে মূলত নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বয়সসীমা তুলে দেওয়া হয় (যা ২০১৯ সালে ৩০ বছর নির্ধারণ করা হয়েছিল) এবং তিনটি সম্পাদকীয় পদ যুক্ত করা হয়—মানবাধিকার ও আইন সম্পাদক, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক এবং ক্যারিয়ার বা পেশাজীবন উন্নয়ন সম্পাদক।

এসপি

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

সর্বোচ্চ পঠিত