ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট ২০২৫, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২
চলতি বছর শেয়ারবাজারে আসছে রাষ্ট্রায়াত্ব দুই প্রতিষ্ঠান

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশে সম্ভাবনাময় রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোকে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। এই লক্ষ্য পূরণে ডিএসই ইতোমধ্যে প্রায় ২০টি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা সম্পন্ন করেছে।
এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হলো শেয়ারবাজারের গভীরতা ও পরিধি বাড়ানো, যা দীর্ঘমেয়াদী অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। একইসঙ্গে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতেও এই উদ্যোগ সহায়ক হবে বলে মনে করছেন বাজার বিশেষজ্ঞরা।
ডিএসইর আশা, চলতি বছরের মধ্যেই অন্তত দুটি সরকারি প্রতিষ্ঠান তালিকাভুক্ত হবে। আর আগামী এক বছরের মধ্যে ১০টি কোম্পানিকে শেয়ারবাজারে আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এসব কোম্পানি যুক্ত হলে বাজারের গভীরতা যেমন বাড়বে, তেমনি বিনিয়োগকারীদের আস্থাও ফিরে আসবে।
এর আগে চলতি বছরের মে মাসে প্রধান উপদেষ্টা শেয়ারবাজার সংস্কারে পাঁচ দফা নির্দেশনা দেন। এর মধ্যে প্রথম নির্দেশই ছিল—সরকারি মালিকানাধীন বা সরকারি শেয়ারধারী বহুজাতিক কোম্পানিকে শেয়ারবাজারে আনতে হবে। এ নির্দেশনার আলোকে ডিএসই একে একে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বৈঠক করেছে। এ বছরের শেষ নাগাদ দুটি এবং আগামী নির্বাচনের পর এক বছরের মধ্যে ১০টি কোম্পানি তালিকাভুক্ত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, ইতোমধ্যে ইউনিলিভার বাংলাদেশ, কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি (কাফকো), সাইনোভিয়া, নোভার্টিস, সিনজেন্টা, নেসলে বাংলাদেশ, পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস, নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন, সিলেট গ্যাস ফিল্ডস, বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং, জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন, কর্ণফুলী গ্যাস কোম্পানি, সাধারণ বীমা কর্পোরেশন, জীবন বীমা কর্পোরেশনসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।
তাছাড়া সরকারি ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাসেনসিয়াল ড্রাগসকে তালিকাভুক্ত করার জন্য গত ২৮ জুলাই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠিয়েছে ডিএসই। একইভাবে আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানির সঙ্গেও বৈঠক করেছে তারা। ইতোমধ্যে এসব প্রতিষ্ঠান আগ্রহ দেখাতে শুরু করেছে।
বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, বিনিয়োগকারীদের আস্থা টানতে শুধু নতুন কোম্পানি তালিকাভুক্ত করাই যথেষ্ট নয়; প্রয়োজন নীতিমালা বাস্তবায়ন, সুশাসন নিশ্চিতকরণ ও হয়রানি কমানো। কোম্পানিগুলোকে বোঝাতে হবে যে তালিকাভুক্তি তাদের দীর্ঘমেয়াদি সুনাম ও স্থায়ীত্ব বাড়াবে। বাজার শক্তিশালী হলে তালিকাভুক্তির আগ্রহ আরও বাড়বে।
ডিএসইর তথ্যমতে, বর্তমানে শেয়ারবাজারে মাত্র ২০টি সরকারি কোম্পানি তালিকাভুক্ত আছে, যা মোট বাজার মূলধনের ৭.৮১ শতাংশ। সর্বশেষ ২০১২ সালে সরকারি কোনো প্রতিষ্ঠান বাজারে আসে। দীর্ঘদিন ধরে নানা উদ্যোগ নেওয়া হলেও নতুন কোনো রাষ্ট্রীয় কোম্পানি তালিকাভুক্ত হয়নি।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- তিন কোম্পানির কারখানা বন্ধ, ক্ষোভ বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের
- আইসিবি’র বিশেষ তহবিলের মেয়াদ ২০৩২ সাল পর্যন্ত বৃদ্ধি
- কেয়া কসমেটিক্সের ৮ হাজার কোটি টাকা উধাও, চার ব্যাংককে তলব
- সম্ভাবনার নতুন দিগন্তে শেয়ারবাজারের খান ব্রাদার্স
- ব্লুমবার্গের টেকসই তালিকায় বাংলাদেশের ১১ তালিকাভুক্ত কোম্পানি
- মূলধন ঘাটতিতে দুই ব্রোকারেজ হাউজ, ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ
- দুই খবরে আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ শেয়ারের চমক
- ২৩ আগস্ট : শেয়ারবাজারের সেরা ৮ খবর
- সাকিবের মোনার্কসহ ৮ ব্রোকারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ
- চলতি বছর শেয়ারবাজারে আসছে রাষ্ট্রায়াত্ব দুই প্রতিষ্ঠান
- হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে প্রতারণা, বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করল ডিএসই
- বিএসইসির নতুন মার্জিন বিধিমালার খসড়া অনুমোদন
- কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর: ডিএসইর সতর্কবার্তা
- শেয়ারবাজারের জন্য সুখবর: কমছে ট্রেজারি বিল ও বন্ডের সুদ
- বিমা আইন সংস্কার: বিনিয়োগ ও আস্থায় নতুন দিগন্ত