ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট ২০২৫, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২
মার্জিন ঋণের নতুন নীতি নিয়ে বিএসইসি’র সঙ্গে বৈঠক চান ব্রোকাররা

শেয়ারবাজারের অংশীজনরা — বিশেষ করে ব্রোকার-ডিলার ও মার্চেন্ট ব্যাংকাররা — মার্জিন ঋণের খসড়া নীতিমালায় তাদের আপত্তিগুলো তুলে ধরতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সঙ্গে একটি জরুরি বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছেন।
এই খসড়া নিয়মগুলো নিয়ে আলোচনার জন্য ডিএসই ব্রোকারস অ্যাসোসিয়েশন (ডিবিএ) এর শীর্ষ ৩০ ব্রোকার রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সঙ্গে একটি বৈঠক করে। সেখানে তারা নীতিমালার বিভিন্ন পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন, যা সংশোধন করা প্রয়োজন বলে মনে করেন।
এ বিষয়ে ডিবিএ’র সভাপতি সাইফুল ইসলাম সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, "আমরা মার্জিন নীতিমালা সংস্কারকে স্বাগত জানাই, যা দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। তবে নতুন নীতিমালায় কিছু বিষয় রয়েছে যা নিয়ে আলোচনা করা জরুরি।"
তিনি আরও জানান, "শুধু ডিএসই ব্রোকাররাই নয়, বরং যেসব মার্চেন্ট ব্যাংকার তাদের ক্লায়েন্টদের মার্জিন ঋণ দেয়, তারাও এই নীতিমালা চূড়ান্ত হওয়ার আগে আলোচনা করার বিষয়ে একমত হয়েছেন।"
সম্প্রতি, বিএসইসি মার্জিন ঋণের খসড়া নীতিমালা প্রকাশ করে আগামী ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অংশীজনদের মতামত জমা দেওয়ার আহ্বান জানায়।
ব্রোকারদের মূল আপত্তি
রোববার ডিএসই'র সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ব্রোকার-ডিলাররা খসড়া নীতিমালার প্রায় এক ডজন বিষয়ের ওপর আপত্তি তুলে ধরেন। সূত্র অনুযায়ী, তাদের প্রধান আপত্তিগুলো হলো:
◉ পাঁচ দিনে ফোর্সড সেল: খসড়া নীতি অনুযায়ী, কোনো মার্জিনেবল 'এ' ক্যাটাগরি শেয়ার যদি নন-কমপ্লায়েন্সের কারণে 'জেড' বা 'বি' ক্যাটাগরিতে নেমে আসে, তাহলে তা পাঁচ দিনের মধ্যে বিক্রি করে দিতে হবে। ব্রোকাররা বলছেন, এত অল্প সময়ে শেয়ার বিক্রি করা অবাস্তব। এতে বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
◉ অবসরপ্রাপ্তদের অযোগ্য ঘোষণা: খসড়া নীতিতে অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের মার্জিন ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে। ব্রোকাররা এই নিয়মটি পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছেন।
◉ বিনিয়োগের সর্বনিম্ন সীমা: নীতিমালায় বলা হয়েছে, যে সকল বিনিয়োগকারীর এক বছরে গড় বিনিয়োগ অন্তত ৫ লাখ টাকা থাকবে, তারাই মার্জিন ঋণের জন্য যোগ্য হবেন। ব্রোকাররা বলছেন, এই সীমা বাড়িয়ে অন্তত ৩০ লাখ টাকা করা উচিত।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহ আগে বিএসইসি নতুন "মার্জিন বিধিমালা (রহিত), ২০২৫"-এর একটি খসড়া প্রকাশ করে। এতে বলা হয়েছে, শেয়ার কেনার জন্য মার্জিন ঋণ নিতে হলে একজন বিনিয়োগকারীকে এক বছরে অন্তত ৫ লাখ টাকা গড় বিনিয়োগ থাকতে হবে। এছাড়া, ছাত্র, গৃহিণী এবং যাদের নিয়মিত আয় নেই এমন অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা মার্জিন ঋণ পাওয়ার যোগ্য হবেন না। এই সিদ্ধান্ত সীমিত আর্থিক সক্ষমতা বিবেচনা করে এবং বিনিয়োগকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য নেওয়া হয়েছে। মার্জিন ঋণ হলো ব্রোকারেজ হাউস এবং মার্চেন্ট ব্যাংকারদের দেওয়া ঋণ, যা শেয়ার কেনার জন্য ব্যবহৃত হয়।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- তিন কোম্পানির কারখানা বন্ধ, ক্ষোভ বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের
- আইসিবি’র বিশেষ তহবিলের মেয়াদ ২০৩২ সাল পর্যন্ত বৃদ্ধি
- কেয়া কসমেটিক্সের ৮ হাজার কোটি টাকা উধাও, চার ব্যাংককে তলব
- সম্ভাবনার নতুন দিগন্তে শেয়ারবাজারের খান ব্রাদার্স
- ব্লুমবার্গের টেকসই তালিকায় বাংলাদেশের ১১ তালিকাভুক্ত কোম্পানি
- মূলধন ঘাটতিতে দুই ব্রোকারেজ হাউজ, ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ
- দুই খবরে আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ শেয়ারের চমক
- ২৩ আগস্ট : শেয়ারবাজারের সেরা ৮ খবর
- সাকিবের মোনার্কসহ ৮ ব্রোকারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ
- চলতি বছর শেয়ারবাজারে আসছে রাষ্ট্রায়াত্ব দুই প্রতিষ্ঠান
- হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে প্রতারণা, বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করল ডিএসই
- বিএসইসির নতুন মার্জিন বিধিমালার খসড়া অনুমোদন
- কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর: ডিএসইর সতর্কবার্তা
- শেয়ারবাজারের জন্য সুখবর: কমছে ট্রেজারি বিল ও বন্ডের সুদ
- বিমা আইন সংস্কার: বিনিয়োগ ও আস্থায় নতুন দিগন্ত