ঢাকা, বুধবার, ১৩ আগস্ট ২০২৫, ২৯ শ্রাবণ ১৪৩২
অন্তর্বর্তী সরকার ছাড়ছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
.jpg)
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। মঙ্গলবার ঠিকানা টিভির একটি টকশোতে অংশ নিয়ে তিনি এ ঘোষণা দেন।
২০১৮ সাল থেকে সক্রিয় রাজনীতিতে যুক্ত আসিফ মাহমুদ মনে করেন, নির্বাচনের সময় যেসব ব্যক্তি রাজনীতিতে সক্রিয়, তাদের সরকারের অংশ হওয়া উচিত নয়। সেই কারণেই তিনি দায়িত্ব ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে এখনো তিনি নিশ্চিত করেননি আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেবেন কি না বা জাতীয় নাগরিক পার্টিতে (এনসিপি) যোগ দেবেন কিনা।
টকশোতে তিনি বলেন, তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের অংশ হয়েছেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আদর্শ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে, ব্যক্তিগত ক্ষমতা বা সুবিধা অর্জনের জন্য নয়। এখনও কিছু গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব অসম্পন্ন রয়েছে বলে জানান তিনি। এর মধ্যে রয়েছে জুলাই ঘোষণাপত্র ও জুলাই সনদ বাস্তবায়ন এবং স্থানীয় সরকার সংস্কার প্রস্তাব কার্যকর করা।
আসিফ মাহমুদ আরও জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের শুরুতে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নেতৃত্বে দেখতে চাননি। এটি সরকার গঠনের আগের একটি বৈঠকের প্রসঙ্গ বলেও তিনি উল্লেখ করেন। পরে সেনাপ্রধান মত পাল্টান এবং ইউনূসকে মেনে নেন। এ বিষয়ে সরকারের সঙ্গে সেনাবাহিনীর কোনো বৈরিতা নেই বলেও জানান তিনি।
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারে একাধিক রাজনৈতিক শক্তি সক্রিয় রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন আসিফ মাহমুদ। তিনি দাবি করেন, একটি মহল জাতীয় পার্টিকে বিরোধী দলের আসনে বসানোর পরিকল্পনা করছে এবং কিছু আওয়ামী লীগ নেতাকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী করার চেষ্টা চলছে। তিনি জানান, সরকারে বর্তমানে একাধিক বলয় সক্রিয় এবং সামরিক বাহিনী ক্ষমতার একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।
স্থানীয় সরকার নির্বাচন বিষয়ে তিনি বলেন, সিটি করপোরেশন ও পৌরসভায় নির্বাচিত প্রতিনিধি না থাকায় নাগরিক সেবা ব্যাহত হচ্ছে। তবে নির্বাচন আয়োজন উপদেষ্টাদের এখতিয়ারে নেই। যদিও বেশিরভাগ দল সম্মত থাকলেও বিএনপি ও তাদের কিছু মিত্র দল এখনো নির্বাচনে অংশগ্রহণে অনিচ্ছুক।
সম্প্রতি কুমিল্লার মুরাদনগরে শিক্ষক নিপীড়ন, চাঁদাবাজি ও মব লিঞ্চিংয়ের ঘটনায় তার বাবা বিল্লাল হোসেন জড়িত বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে অভিযোগ উঠেছে, সেটিকে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের অপপ্রচার বলে প্রত্যাখ্যান করেন তিনি। সেই সঙ্গে জানান, এসব বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত তারা।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে মুরাদনগর থেকে প্রার্থী হওয়ার গুজবও তিনি নাকচ করে দিয়েছেন। তার ভাষায়, জাতীয় পর্যায়ে রাজনীতি করাই তার লক্ষ্য, এবং সে অনুযায়ী ঢাকা শহরই হবে তার রাজনৈতিক কেন্দ্রবিন্দু।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- ডিভিডেন্ড দিতে পারছে না বস্ত্র খাতের ১৩ কোম্পানি
- মার্জিন ঋণে মিউচুয়াল ফান্ড ও বন্ডে বিনিয়োগ করা যাবে না
- ‘এ’ ক্যাটাগরিতে ফিরেছে আর্থিক খাতের কোম্পানি
- শেয়ারবাজারের ৬ ব্যাংকের রেকর্ড মুনাফা, ৫ ব্যাংকের লোকসান
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ৭ প্রতিষ্ঠানের ডিভিডেন্ড-ইপিএস
- মার্জিন ঋণ নিয়ে গুজব: ফের অস্থির শেয়ারবাজার
- ডিএসইর সতর্কবার্তার জালে দুর্বল দুই কোম্পানির শেয়ার
- ১২ আগস্ট : শেয়ারবাজারের সেরা ৯ খবর
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে দুই কোম্পানির বাজিমাত
- বিসিএসে স্বতন্ত্র বিভাগে অন্য বিভাগ অন্তর্ভুক্তির প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ
- রবির অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তের মুখে গ্রামীণফোন
- টানা পতনেও শেয়ারবাজারে পুনরুজ্জীবনের সংকেত