ঢাকা, মঙ্গলবার, ১২ আগস্ট ২০২৫, ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২
অর্থপাচার: হাজার কোটির ১১, দুইশ কোটির ১০১ কেস শনাক্ত
-1.jpg)
বিদেশে পাচার হওয়া বিপুল পরিমাণ অর্থের মধ্যে হাজার কোটি টাকার ১১টি এবং ২০০ কোটি টাকা বা তার বেশি পাচারের ১০১টি সুনির্দিষ্ট ঘটনা চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি জানান, অর্থপাচারকারী এবং তাদের সহায়তাকারীরা অত্যন্ত চতুর ও বুদ্ধিমান এবং তারা জটিল প্রক্রিয়ায় এই অর্থ স্থানান্তর করেছে।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব তথ্য তুলে ধরেন।
ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, "টাকা পাচার যারা করে এবং যারা সাহায্য করে, তারা আমার-আপনার চেয়ে অনেক বেশি বুদ্ধিমান।" তিনি জোর দিয়ে বলেন, পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে শক্তিশালী আইনি পদক্ষেপ প্রয়োজন। যেহেতু পাচারকারীরা বিশ্বমানের আইনজীবীদের সহায়তা নেয়, তাই তাদের মোকাবিলা করতে হলে বাংলাদেশকেও আন্তর্জাতিকভাবে অভিজ্ঞ আইনজীবী নিয়োগ দিতে হবে।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, "কারা টাকা পাচার করেছে এবং কোন কোন দেশে পাচার হয়েছে, তা চিহ্নিত করা একটি বড় অগ্রগতি।" তিনি জানান, অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া শুরু হয়েছে। উদাহরণ হিসেবে তিনি লন্ডনে এক ব্যক্তির একাধিক বাড়ি জব্দ করা এবং সিঙ্গাপুরে আইনি প্রক্রিয়া চলমান থাকার কথা উল্লেখ করেন। তিনি আরও বলেন, "টাকা ফিরিয়ে আনার চেয়েও বড় উদ্দেশ্য হলো একটি সতর্কবার্তা দেওয়া, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এমন অপরাধ করে পার না পায়।"
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বর্তমানে হাজার কোটি টাকার ওপরে পাচার হওয়া ১১টি মামলার পাশাপাশি আরও ১২টি মামলা যোগ হওয়ার প্রক্রিয়ায় রয়েছে। এছাড়া, ২০০ কোটি টাকার বেশি পাচার হয়েছে এমন ১০১টি ঘটনাও চিহ্নিত করা হয়েছে। দেশে অনেক পাচারকারীর সম্পত্তি ইতোমধ্যে জব্দ (ফ্রিজ) করা সম্ভব হলেও বিদেশের সম্পত্তি ফিরিয়ে আনা বেশ কঠিন বলে তিনি মন্তব্য করেন।
ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, অর্থ শুধু দুবাই বা সিঙ্গাপুরেই নয়, বার্বাডোজ, অ্যান্টিগা ও আইল অব ম্যানের মতো ‘ট্যাক্স হেভেন’ হিসেবে পরিচিত দেশগুলোতেও পাচার হয়েছে, যেখান থেকে অর্থ ফেরত আনার প্রক্রিয়া অত্যন্ত জটিল।
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, "শুধু একজনই যে ৪০ হাজার কোটি টাকা দেশ থেকে নিয়ে গেছে, সেই টাকাটা ফেরত আনতে পারলে তো আমাকে আইএমএফের কাছে যেতে হতো না।"
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আনিসুজ্জামান চৌধুরী, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান, অর্থসচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদারসহ অর্থ ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- ডিভিডেন্ড দিতে পারছে না বস্ত্র খাতের ১৩ কোম্পানি
- ‘এ’ ক্যাটাগরিতে ফিরেছে আর্থিক খাতের কোম্পানি
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- শেয়ারবাজারের ৬ ব্যাংকের রেকর্ড মুনাফা, ৫ ব্যাংকের লোকসান
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ৭ প্রতিষ্ঠানের ডিভিডেন্ড-ইপিএস
- ডিএসইর সতর্কবার্তার জালে দুর্বল দুই কোম্পানির শেয়ার
- মার্জিন ঋণ নিয়ে গুজব: ফের অস্থির শেয়ারবাজার
- চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে দুই কোম্পানির বাজিমাত
- বিসিএসে স্বতন্ত্র বিভাগে অন্য বিভাগ অন্তর্ভুক্তির প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ
- রবির অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তের মুখে গ্রামীণফোন
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- টানা পতনেও শেয়ারবাজারে পুনরুজ্জীবনের সংকেত
- ডিভিডেন্ড পেল দুই কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- চলতি সপ্তাহে ৬ কোম্পানির ডিভিডেন্ড অনুমোদন