ঢাকা, বুধবার, ১৩ আগস্ট ২০২৫, ২৯ শ্রাবণ ১৪৩২
৩৫ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করতে চায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ

দেশের দ্বিতীয় স্টক এক্সচেঞ্জ চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) তাদের হাতে থাকা ৩৫ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্তির জন্য বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে আবেদন করেছে। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে দীর্ঘ এক দশকেরও বেশি সময় ধরে আটকে থাকা ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে চায় প্রতিষ্ঠানটি।
২০২৫ সালের ১৩ জুলাই সিএসই বোর্ডের ১৪৩তম সভায় নেওয়া সিদ্ধান্ত মোতাবেক, শেয়ার বিক্রির কার্যক্রম ‘এক্সচেঞ্জেস ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন অ্যাক্ট, ২০১৩’ এর নির্দেশনা অনুযায়ী পরিচালিত হবে। পরিকল্পনায় রয়েছে, মোট শেয়ারের মধ্যে ২০ শতাংশ শেয়ার চার থেকে পাঁচটি সুনামধন্য স্থানীয় ও বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে বিক্রি করা হবে, যারা বর্তমানে সিএসইর শেয়ারহোল্ডার নন এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষও নয়। বাকি ১৫ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষ বুক-বিল্ডিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিকি করা হবে।
সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুর রহমান মজুমদার সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, বিএসইসির অনুমোদন মিললেই তালিকাভুক্তির প্রক্রিয়া শুরু হবে। তিনি আরও জানান, ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন আইন অনুযায়ী একটি স্টক এক্সচেঞ্জকে নিজস্ব বোর্ডে অথবা অন্য কোনো এক্সচেঞ্জের বোর্ডে তালিকাভুক্ত হতে হবে। যদিও এ বিষয়ে কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই।
২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত সিএসইতে মোট ৬২৩টি সিকিউরিটিজ তালিকাভুক্ত ছিল। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোট ১৮৯ কোটি ১৭ লাখ শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ১৫.১৮ শতাংশ বেশি। একই সময়ে মোট লেনদেনের মূল্য দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৪৭৮ কোটি টাকা, যা পূর্ববর্তী বছরের থেকে ২৩.২৮ শতাংশ বেশি।বর্তমান ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন কাঠামো অনুযায়ী, সিএসইর ৪০ শতাংশ শেয়ার প্রাথমিক শেয়ারহোল্ডারদের হাতে রয়েছে। স্থানীয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান এই শেয়ারহোল্ডারদের সঙ্গে যুক্ত থাকায় তারা অতিরিক্ত শেয়ার কেনার যোগ্য নন। এতে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, যেখানে প্রতি প্রতিষ্ঠান সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ মালিকানা রাখতে পারবে।
ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশনের পূর্ববর্তী পর্যায়ে সিএসই ২৫ শতাংশ শেয়ার বসুন্ধরা গ্রুপের কোম্পানি এবিজি লিমিটেডকে শেয়ারপ্রতি ১৫ টাকায় বিক্রি করেছিল। বিএসইসির অনুমোদন পেলে প্রস্তাবিত ৩৫ শতাংশ শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানো হবে এবং দেশের শেয়ারবাজারে তার অবস্থান পুনরুদ্ধারে আরও শক্তিশালী ভূমিকা রাখতে পারবে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- ডিভিডেন্ড দিতে পারছে না বস্ত্র খাতের ১৩ কোম্পানি
- মার্জিন ঋণে মিউচুয়াল ফান্ড ও বন্ডে বিনিয়োগ করা যাবে না
- ‘এ’ ক্যাটাগরিতে ফিরেছে আর্থিক খাতের কোম্পানি
- শেয়ারবাজারের ৬ ব্যাংকের রেকর্ড মুনাফা, ৫ ব্যাংকের লোকসান
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ৭ প্রতিষ্ঠানের ডিভিডেন্ড-ইপিএস
- মার্জিন ঋণ নিয়ে গুজব: ফের অস্থির শেয়ারবাজার
- ডিএসইর সতর্কবার্তার জালে দুর্বল দুই কোম্পানির শেয়ার
- ১২ আগস্ট : শেয়ারবাজারের সেরা ৯ খবর
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- বিসিএসে স্বতন্ত্র বিভাগে অন্য বিভাগ অন্তর্ভুক্তির প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ
- রবির অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তের মুখে গ্রামীণফোন
- টানা পতনেও শেয়ারবাজারে পুনরুজ্জীবনের সংকেত
- ডিভিডেন্ড পেল দুই কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- চলতি সপ্তাহে ৬ কোম্পানির ডিভিডেন্ড অনুমোদন