সূচকের নাটকীয় ঘুরপাক, শেষ ঘণ্টায় আশার আলো

সাম্প্রতিক সময়ে সূচকের ধারাবাহিক উত্থানের মধ্য দিয়ে শেয়ারবাজারে লেনদেন হচ্ছে। সূচকের পাশাপাশি বাড়ছে টাকার অংকে লেনদেনের পরিমাণও। আগেরদিন সোমবার শেয়ারবাজারে বড় উত্থান দেখা গেছে। তবে আজ মঙ্গলবার (০৮ জুলাই) উভয় বাজারে সূচকের পতনে লেনদেন শুরু হয়। এর কারণ হলো, বাংলাদেশের ওপর ট্রাম্পের নতুন শুল্কহার আরোপ।

এদিন প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রথম বেলায় সূচক ২১ পয়েন্টের বেশি নেমে যায়। তারপর কিছুটা ওপরে উঠার পর বেলা ১টা আগে সূচক আবারে নিচে নেমে যায় তখন ডিএসইর সূচক ২৬ পয়েন্টের বেশি পড়ে যায়। তবে শেষ উভয় বাজারে সূচক ঊর্ধ্বমুখী হয় এবং সামান্য ইতিবাচক প্রবণতায় লেনদেন শেষ হয়। তবে এদিন উভয় বাজারে আগের দিনের চেয়ে লেনদেন বৃদ্ধি পায়।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, আজ (০৮ জুলাই) সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবসে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫.৪৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৯৮১.৬৩ পয়েন্টে। আজ অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস ২.৫৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৮৩.৭৫ পয়েন্টে। আর ডিএসই-৩০ সূচক ২.৩৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ৮৭৫.৩৮ পয়েন্টে।

আজ ডিএসইতে মোট ৩৯৮টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নেয়। এর মধ্যে ১৫৮টির দর বেড়েছে, ১৯১টির দর কমেছে এবং ৪৯টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

ডিএসইতে আজ মোট ৬০১ কোটি ৭৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা গত সাড়ে ৩ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি লেনদেন হয়েছিল ৬০৭ কোটি ২০ লাখ টাকা। গতকাল ০৭ জুলাই লেনদেন হয়েছিল ৫৭৩ কোটি ৪৬ লাখ টাকার। আগের দিনের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ২৮ কোটি ২৯ লাখ টাকা।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) আজ ৭ কোটি ২৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগেরদিন সিএসইতে ৪ কোটি ৬৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছিল।

আজ সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৩৬টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ৮৯টির, কমেছে ১১৩টির এবং পরিবর্তন হয়নি ২৭টির।

এদিন সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৭.৬১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৮২৯.৮২ পয়েন্টে। আগেরদিন সূচক সিএএসপিআই ১৮৪.১৫ পয়েন্ট বেড়েছিল।