ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫, ২৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

সত্যিই কি স্ট্রোক করেছেন মির্জা ফখরুল? যা জানা গেল

ডুয়া নিউজ- জাতীয়
২০২৫ জুন ০৯ ১৬:৪৪:৫২
সত্যিই কি স্ট্রোক করেছেন মির্জা ফখরুল? যা জানা গেল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্ট্রোক করেছেন—এমন দাবি করে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে এবং তা ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়েছে।

ভিডিওটি ফেসবুকে ইতোমধ্যেই সাত লাখের বেশি বার দেখা হয়েছে এবং অনেকেই এটিকে সত্য ধরে নিয়ে শেয়ার করছেন। তবে তথ্য যাচাইকারী সংস্থা রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে জানা গেছে, এই দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি সাম্প্রতিক নয়।

এ বিষয়ে রিউমর স্ক্যানার সোমবার (৯ জুন) তাদের ওয়েবসাইটে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি ২০২৫ সালের নয় বরং এটি ২০২৪ সালের ১৬ ডিসেম্বরের। সেদিন বিজয় দিবসে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, বিএনপির মিডিয়া সেলের ফেসবুক পেজসহ একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে ২০২৪ সালের ওই ঘটনার ভিডিও এখনও পাওয়া যায়। ভিডিওতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে—সেদিন তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে তাৎক্ষণিকভাবে সাভার সিএমএইচ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেই পুরোনো ভিডিওটিকেই এখন ভিন্নভাবে উপস্থাপন করে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে।

সেদিন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, সালাহউদ্দিন আহমেদ এবং যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল। ঘটনার সময় একাধিক গণমাধ্যমে এ বিষয়ে খবর প্রকাশিত হয়েছিল। যা স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি প্রায় ছয় মাস আগের।

পরবর্তী অনুসন্ধানে জানা যায়, অনলাইন সংবাদমাধ্যম ‘ফেস দ্য পিপল’-এর সম্পাদক সাইফুর রহমান তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যেখানে দাবি করা হচ্ছে তিনি স্ট্রোক করেছেন। বিষয়টি জানার পর তিনি ফখরুল ইসলামের বাসায় খোঁজ নিয়ে নিশ্চিত হন যে, তিনি সুস্থ আছেন এবং বর্তমানে বাসাতেই অবস্থান করছেন।

সব মিলিয়ে একটি পুরোনো ভিডিওকে ভুলভাবে উপস্থাপন করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সম্প্রতি স্ট্রোক করেছেন—এমন ভুয়া ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হচ্ছে।

রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধান অনুযায়ী, এই দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যমূলক। সাধারণ নাগরিকদের উদ্দেশ্যে তারা আহ্বান জানিয়েছে—যেকোনো তথ্য যাচাই-বাছাই করে গ্রহণ করতে এবং গুজবে কান না দিতে।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত