ঢাকা, শুক্রবার, ৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
মোবাইল কোম্পানিকে শেয়ারবাজারে আনতে বিশেষ প্রণোদনা

দেশের শেয়ারবাজারকে প্রাণবন্ত করতে এবং নতুন বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে মোবাইল অপারেটরদের জন্য বিশেষ কর প্রণোদনা প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রস্তাবনা অনুযায়ী, যেসব টেলিকম অপারেটর তাদের ২০ শতাংশ শেয়ার ফ্লোট করবে, তারা ১০ শতাংশ কর ছাড় পাবেন। নিঃসন্দেহে এটি মোবাইল কোম্পানিগুলোকে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হতে উৎসাহিত করবে এবং বাজারে তারল্য প্রবাহ বাড়াতে সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
খাতসংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এই কর প্রণোদনার প্রধান উদ্দেশ্য হলো বাংলালিংকের তালিকাভুক্তির পথ প্রশস্ত করা। দীর্ঘদিন ধরে বাংলালিংকই একমাত্র অপারেটর, যেটি শেয়ারবাজারে আসার আলোচনায় রয়েছে। ২০২৩ সালে কোম্পানিটি ১০ শতাংশ ফ্লোট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু অনুকূল বাজারের অপেক্ষায় থাকায় সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়নি। এবারের প্রস্তাবিত কর সুবিধা বাংলালিংকের জন্য শেয়ারবাজারে আসার একটি বড় আকর্ষণ হতে পারে, যা তাদের দ্রুত তালিকাভুক্তির সিদ্ধান্ত নিতে উৎসাহিত করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
খাতসংশ্লিষ্টরা আরও বলছেন, ইতোমধ্যেই তালিকাভুক্ত মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন এবং রবি আজিয়াটার জন্যও আরপিও (রিপিট পাবলিক অফারিং) এর সুযোগ থাকতে পারে। এই নতুন প্রণোদনা তাদের ২০২৫-২৬ এবং ২০২৬-২৭ অর্থবছরের জন্য আয়করের ওপর ছাড় পেতে সাহায্য করবে। এই সুবিধা কাজে লাগাতে গ্রামীণফোন এবং রবি উভয়ই জনসাধারণের কাছে আরও শেয়ার ইস্যু করতে উৎসাহিত হতে পারে।
গ্রামীণফোন ও রবি উভয় কোম্পানিই ১০ শতাংশ শেয়ার সেকেন্ডারি মার্কেটে ছেড়ে দেওয়ার মাধ্যমে 'ব্লু চিপ স্ক্রিপ্ট' হিসেবে ইতোমধ্যে পরিচিতি লাভ করেছে। তাদের আরও শেয়ারের প্রাপ্যতা বর্তমান বিপর্যস্ত বাজারকে উজ্জীবিত করতে পারে। কারণ এতে বাজারে নতুন ইক্যুইটি আসবে, বিনিয়োগ সম্প্রসারিত হবে এবং তারল্য বাড়বে।
দেশের চারটি টেলিকম অপারেটরের মধ্যে গ্রামীণফোন এবং রবি আজিয়াটা যথাক্রমে ২০০৯ এবং ২০২০ সালে স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হয়েছে। এই নতুন প্রণোদনা মোবাইল অপারেটরদের আরও শেয়ার অফলোড করতে উৎসাহিত করবে, যা সামগ্রিকভাবে বাজারের জন্য উপকারী হবে।
পাশাপাশি প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটে মোবাইল অপারেটরদের টার্নওভার কর ২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১.৫ শতাংশ করা হয়েছে। এই পদক্ষেপগুলো সম্মিলিতভাবে বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে তারল্য বৃদ্ধি এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা পুনরুদ্ধারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই কর প্রণোদনাগুলো কেবল মোবাইল অপারেটরদের জন্যই নয়, বরং সমগ্র শেয়ারবাজারের জন্য একটি ইতিবাচক বার্তা বয়ে আনছে, যা দীর্ঘমেয়াদে শেয়ারবাজারকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করবে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- লাইভে এসে হিরো আলমের আ-ত্ম-হ-ত্যা
- পাঁচ কোম্পানির বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিএসসি
- শেয়ার কারসাজিতে ১৪ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে ২.৫২ কোটি টাকা জরিমানা
- শিক্ষা ক্যাডারে ৪৯তম বিশেষ বিসিএস সার্কুলার প্রকাশে পিএসসির চেয়ারম্যানকে স্মারকলিপি
- মৌসুমী-হাসান জাহাঙ্গীরের বিয়ে: ওমর সানীর ‘জুতাপেটা’র হুমকি
- ঘুরে দাঁড়ানোর পথে দেশের শেয়ারবাজার: দৃশ্যমান হচ্ছে ইতিবাচক পদক্ষেপ
- বিনিয়োগকারীদের ডিভিডেন্ড দেয়ায় ক্যাটাগরি উন্নতি
- মূলধন বাড়াতে রাইট শেয়ার ইস্যুর সিদ্ধান্ত
- ইপিএস প্রকাশ করেছে তালিকাভুক্ত ১৪ কোম্পানি
- সাবেক উপদেষ্টা গ্রেপ্তার:চাঞ্চল্যকর তথ্য
- বাজেটে শেয়ারবাজারের জন্য সুখবর: কমছে কর, বাড়ছে সুযোগ
- ডিভিডেন্ডের দেখা পেলেন চার কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- ছাত্রদলের সভাপতি ইস্যুতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, নেতাকর্মীদের জন্য বিশেষ বার্তা
- শেয়ারবাজার বাঁচাতে অর্থ উপদেষ্টা ও বিএসইসি চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবি
- প্রথমবারের মতো লোকসানে কোম্পানি, ডিভিডেন্ডও তলানিতে