ঢাকা, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২ আশ্বিন ১৪৩২
নতুন বছরে বাড়তে পারে যেসব ভোগ্যপণ্যের দাম

ডুয়া নিউজ: নতুন বছরের শুরুতেই সংসার খরচ আরও বাড়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এর চাপের কারণে ৬৫টি পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট বাড়ানো হচ্ছে। এতে করোনাভাইরাসের মতো সংকটের পরবর্তীতে আরও একটি চাপের মুখোমুখি হতে হবে সাধারণ মানুষকে।
অর্থ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে জানা গেছে, নতুন ভ্যাটের তালিকায় রয়েছে জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, এলপি গ্যাস, গুঁড়া দুধ, বিস্কুট, আচার, টমেটো কেচাপ, সিগারেট, জুস, টিস্যু পেপার, ফলমূল, সাবান, ডিটারজেন্ট পাউডার, মিষ্টি, চপ্পল, বিমান টিকিট ইত্যাদি। এসব পণ্যের দাম বাড়লে বাজারে মূল্যস্ফীতি আরও বৃদ্ধি যা সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাপনে প্রভাব ফেলবে।
আইএমএফ-এর শর্ত অনুযায়ী, বাংলাদেশকে কর-জিডিপির অনুপাত ০.২ শতাংশ বাড়াতে হবে; যা টাকার অঙ্কে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার বেশি। এতে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা (চার লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা) এর সঙ্গে যুক্ত হবে।
মোবাইল ফোনে কথা বলা ও ইন্টারনেট খরচও বাড়ানোর পরিকল্পনাও করা হয়েছে। গত অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করার সময় মোবাইল ফোনের সম্পূরক শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছিল এবং বর্তমানে এটিকে ২৫ শতাংশে বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এর ফলে ১০০ টাকা রিচার্জে গ্রাহকরা ৬৭ টাকার সেবাই পাবেন।
এছাড়াও, জীবন রক্ষাকারী ওষুধের সরবরাহের ভ্যাট হার ২.৪ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে, ফলে এ ধরনের পণ্যের দাম বাড়বে। এলপিজি গ্যাসের দামও বাড়বে, কারণ এর সরবরাহ পর্যায়ে ভ্যাট সংখ্যা ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭.৫ শতাংশ করা হয়েছে।
হোটেল ও রেস্তোরা খরচও বাড়বে। খাবারের উপর ১৫ শতাংশ অতিরিক্ত ভ্যাট চাপানো হলে ব্যবহারকারীদের জন্য খরচ বাড়বে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মূল্যস্ফীতি ১৩ শতাংশের ওপরে থাকা অবস্থায় ভ্যাট হার বাড়ানো হলে সাধারণ মানুষের সমস্যা আরও বেড়ে যাবে। বর্তমানে ভ্যাটের মতো জটিল নিয়ম চাপিয়ে দেওয়া হলে ছোট ব্যবসাগুলি স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, যা কর্মসংস্থানে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
অন্যদিকে, বিমান টিকিটের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যেখানে অভ্যন্তরীণ রুটে আবগারি শুল্ক ৩০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭০০ টাকা এবং আন্তর্জাতিক রুটে ৩ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪ হাজার টাকার করার পরিকল্পনা রয়েছে।
এখন প্রশ্ন উঠেছে, হাঁসফাঁস অবস্থায় কিভাবে নাগরিকরা এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করবে, বিশেষ করে যে সময়ে চাল, তেল, চিনি আমদানির শুল্কও হ্রাস করা হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য সরকারের আরও কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- লাভেলোর শেয়ার কারসাজি: তিন বিও অ্যাকাউন্টের লেনদেন স্থগিত
- সরকারের সিদ্ধান্তে ডুবছে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের স্বপ্ন?
- ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড কার্যকারিতায় বিএসইসির নতুন উদ্যোগ
- একাদশে ভর্তি: চতুর্থ ধাপে আবেদনের সুযোগ
- শেয়ারবাজারে প্রতারণা ঠেকাতে মাঠে নামছে গোয়েন্দা সংস্থা
- শেয়ারবাজারে ধারাবাহিক মুনাফা চান? জেনে নিন ৫ মন্ত্র
- আরএসআই বিশ্লেষণে সর্বোচ্চ সতর্ক সংকেত পাঁচ শেয়ারে
- মালিকানায় পরিবর্তন আসছে ইয়াকিন পলিমারের
- ডিভিডেন্ড বৃদ্ধির আলোচনায় জ্বালানি খাতের ১১ কোম্পানি
- এক শেয়ারের জোরেই সবুজে ফিরল শেয়ারবাজার
- ডিভিডেন্ড দোলাচলে তথ্যপ্রযুক্তির ৮ কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- শেয়ার কারসাজিতে শ্যালক–দুলাভাইর দেড় কোটি টাকা জরিমানা
- রেকর্ড ডেটে শেয়ার লেনদেন চালুর পরিকল্পনা ডিএসইর
- ধস কাটিয়ে অবশেষে শেয়ারবাজারে উত্থানের স্রোত
- উৎপাদন বাড়াতে নতুন যন্ত্রপাতিতে বিনিয়োগ করছে দুই কোম্পানি