ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১ মে ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২

অনন্ত জলিলের বিরুদ্ধে সমন জারি

২০২৪ ডিসেম্বর ৩১ ১১:৫৪:৩৪
অনন্ত জলিলের বিরুদ্ধে সমন জারি

ডুয়া ডেস্ক: আলোচিত নায়ক অনন্ত জলিলের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছে আদালত। গার্মেন্টস ব্যবসায় ওয়ার্ক অর্ডারের বিপরীতে বিল পরিশোধ না করায় প্রতারণার মামলায় প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে আদালত। এর পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহ পিবিআইয়ের দেওয়া প্রতিবেদন আমলে নিয়ে আসামিদের আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেছেন।

সম্প্রতি রাজধানীর চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে জানিয়ে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন পিবিআইয়ের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের পুলিশ পরিদর্শক তাপস চন্দ্র পন্ডিত।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন— জলিলের মালিকানাধীন পলো কম্পোজিট নিট ইন্ডাস্ট্রির এমডি ও তার স্ত্রী জাহানারা বেগম (কোম্পানির নিবন্ধিত তথ্য অনুযায়ী), কোম্পানিতে বিভিন্ন পদে কর্মরত মো. শরীফ হোসেন, সাইকুল ইসলাম, মো. মিলন ও সাইদুল ইসলাম।

জানা গেছে, গার্মেন্টস ব্যবসায় ওয়ার্ক অর্ডারের বিপরীতে প্রায় ২৯ হাজার ৩০০ ডলার মূল্যের বিল পরিশোধ না করে প্রতারণার আশ্রয় নেওয়ার অভিযোগে ২০২৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন শাফিল নাওয়াজ চৌধুরী নামের এক ব্যবসায়ী। ওইদিনই মামলার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে অভিযোগের বিষয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত। পরে মামলা দায়েরের এক বছরের মাথায় গত ২৭ নভেম্বর এ প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

মামলার আর্জিতে বলা হয়, ২০২২ সালের ১৭ অক্টোবর পলো কম্পোজিট কোম্পানির নামে বাদীর কাছে গার্মেন্টস সম্পর্কিত কিছু কাজের জন্য অর্ডার দেন আসামিরা। এরপর বাদী কাজ শুরু করে কাজের বিপরীতে প্রতিশ্রুত টাকা চাইলে আসামিরা তাকে কাজ চালিয়ে যেতে বলেন এবং এলসির মাধ্যমে টাকা দেবেন বলে জানান। পরবর্তীতে আরও বেশ কিছু কাজের অর্ডার দেন তারা। চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত সবগুলো কাজ আসামিদের বুঝিয়ে দেন বাদী। এরপর ২০২৩ সালের ১৫ মার্চ টাকা পরিশোধের জন্য মার্কেন্টাইল ব্যাংকে বাদীর একটি এলসি করেন আসামিরা। কিন্তু এলসির কাগজপত্রে ত্রুটির জন্য ব্যাংক থেকে টাকা উঠাতে ব্যর্থ হন বাদী।

এতে আরও বলা হয়, বাদী চুক্তি অনুযায়ী কাজ সম্পন্ন করলেও এখন পর্যন্ত এক টাকাও পরিশোধ করেনি অনন্ত জলিলের মালিকানাধীন কোম্পানিটি। যেখানে বিলের পরিমাণ প্রায় ২৯ হাজার ৩০০ ডলার।

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

বিনোদন এর সর্বশেষ খবর

বিনোদন - এর সব খবর



রে