ঢাকা, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২

বিমান বাহিনীতে যুদ্ধবিমান, রাডার ও মিসাইল সংযোজনে সহযোগিতা দেবে সরকার

২০২৫ এপ্রিল ৩০ ২০:০৭:৫১
বিমান বাহিনীতে যুদ্ধবিমান, রাডার ও মিসাইল সংযোজনে সহযোগিতা দেবে সরকার

ডুয়া ডেস্ক: সম্প্রতি ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোনো সময় দুই দেশের মধ্যে সংঘাত সৃষ্টি হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশকেও সামরিক দিক থেকে সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিতে বলেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি আরও বলেছেন, বিমান বাহিনীতে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান, হেলিকপ্টার, পরিবহন বিমান, রাডার, সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল ও ইউএবি সংযোজনে সরকার সর্বাত্মক সহযোগিতা দেবে।

আজ বুধবার (৩০ এপ্রিল) বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ঘাঁটি বীর উত্তম এ কে খন্দকারে বিমান বাহিনীর অনুশীলন পর্যবেক্ষণ অনুষ্ঠানে বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশ্যে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “বাংলাদেশ বিমান বাহিনী আয়োজিত আজকের এই আকাশ বিজয় মহড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। এই মহড়া কেবল একটি সাময়িক অনুশীলন নয়, এটি আমাদের সার্বভৌমত্ব রক্ষা, বিমান বাহিনীর পেশাদারিত্ব ও দক্ষতার পরিচয় বহন করে। মহড়ায় অংশগ্রহণকারী সব সদস্যকে তাদের নিষ্ঠা, শৃঙ্খলা এবং পেশাগত উৎকর্ষের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ১৯৭১ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর বিপুল প্রতিকূলতা সত্ত্বেও একটি অটার বিমান, একটি অ্যালুয়েট হেলিকপ্টার, একটি ডাকোটা বিমানসহ ৫৭ সদস্য নিয়ে জন্ম নিয়েছিল ‘কিলো ফ্লাইট’। যা বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর নিউক্লিয়াস হিসেবে চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে।”

ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “বর্তমান বিশ্বে দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য আন্তর্জাতিক মান সম্পন্ন প্রশিক্ষণ ও অনুশীলন গুরুত্ব বহন করে। এ প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সদস্যরা নিয়মিতভাবে বহুমাত্রিক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম ও অনুশীলনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে নিজেদের জ্ঞান ও দক্ষতাকে উপযোগী করতে সদা সচেষ্ট রয়েছে। যা এই মহড়ার মাধ্যমে আমাদের কাছে স্পষ্ট হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “দেশের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতার প্রতি যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একটি আধুনিক বিমানবাহিনী গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সময়োপযোগী পরিকল্পনা ও দূরদর্শী নেতৃত্বের মাধ্যমে সমসাময়িক এবং ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি ও কার্যকর আকাশ প্রতিরক্ষার পাশাপাশি বিস্তীর্ণ সমুদ্র এলাকায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।”

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “বিমান বাহিনীতে ভবিষ্যতে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান, হেলিকপ্টার, পরিবহন বিমান, রেডার, সারফেস টু এয়ার মিসাইল, ইউএবি সংযোজনে সরকার বিমান বাহিনীকে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করবে।”

ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “আজকের এই অনুশীলন বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর আত্মবিশ্বাস, প্রস্তুতি এবং অর্পিত দায়িত্ববোধের বাস্তব রূপায়ণ। দেশের বিমানবন্দরে সুষ্ঠু পরিচালনা ও নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত বিমান বাহিনীর সদস্যদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।”

এ সময় তিনি আরও বলেন, “বিমান বাহিনীর সব সদস্যদের প্রতি যুগোপযোগী ক্ষমতা অর্জন, দক্ষতা অর্জন এবং পেশাগত কারিগরি সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রতি অব্যাহত মনোযোগ বজায় রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।”

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “দেশপ্রেম এবং পেশাদারিত্ব আগামী দিনের নিরাপদ এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার মূল ভিত্তি। আমাদের সবার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় আমরা একটা নিরাপদ, উন্নত এবং শক্তিশালী বাংলাদেশ গড়ে তুলব। আপনাদের প্রতি জাতির আস্থা ও ভালোবাসা অটুট থাকুক।”

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে