ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

মানবিক করিডোরের নামে যু’দ্ধের দিকে ঠেলে দেবেন না: দুদু

২০২৫ মে ২২ ২০:৪১:১৮
মানবিক করিডোরের নামে যু’দ্ধের দিকে ঠেলে দেবেন না: দুদু

ডুয়া ডেস্ক: মানবিক করিডোরের নামে বাংলাদেশকে যুদ্ধের দিকে ঠেলে না দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, “আমাদের বাংলাদেশ একটি শান্তিপূর্ণ দেশ। সেই দেশটাকে মানবিক করিডরের নামে যুদ্ধের দিকে ঠেলে দেবেন না। এটি বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। এদিকে না গিয়ে দেশকে রক্ষা, যুদ্ধমুক্ত ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিন।”

আজ বৃহস্পতিবার (২২ মে) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের’ উদ্যোগে ‘রাখাইনে মানবিক করিডর ও চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের দেওয়ার ষড়যন্ত্রের’ প্রতিবাদে নাগরিক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

সমাবেশে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, “আমি ড. ইউনূসকে অনুরোধ করব- এদিকে না এগিয়ে আপনি বরং বাংলাদেশের মানুষকে কিভাবে রক্ষা করা যায়, যুদ্ধমুক্ত রাখা যায় এবং একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেওয়া যায় সেটির ব্যবস্থা করেন। যে নির্বাচন আমরা ১৫-১৬ বছর ধরে পাইনি, কিন্তু নির্বাচন গেছে। আজকের যে প্রজন্ম, যাদের বয়স ২৫-৩০ বছর; তারা একটা নির্বাচনেও ভোট দিতে পারেনি। সেই ভোটের ব্যবস্থা করেন এবং মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেন।”

তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের একটা বন্দর নিয়ে কথা উঠেছে যিনি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা তিনি বলেছেন- কারো সঙ্গে কোনো আলোচনা করার প্রয়োজন নেই। তার এই ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্যের আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।”

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, “এই সরকার শুধুমাত্র একটি জনগণ কর্তৃক নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে ক্ষমতা হস্তান্তর করে যাবে। এটা কোনো রেগুলার সরকার নয়, নির্বাচিত সরকার নয়। অনেক উপদেষ্টা বলেছিলেন, তারা নির্বাচিত। আত্মপ্রতারণা করা ঠিক হবে না। দেশের জনগণ আপনাকে (ড. ইউনূস) সম্মানের সঙ্গে বসিয়েছে, সম্মান রক্ষা করে জনগণের সেন্টিমেন্ট অনুধাবন করে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা দিয়ে যাবেন।”

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, “এদেশের খেটে খাওয়া মানুষ, কামার-কুমার, রিকশাচালক, কুলি-মজদুর, কৃষক-শ্রমিক তাদেরকে এত অবহেলা করা উচিত নয়। তাদের রক্তে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সেই বাংলাদেশে যুদ্ধের সময় ভদ্রলোকের সংখ্যা ছিল কম। গ্রামের কৃষক-শ্রমিক, খেটে খাওয়া মানুষ যুদ্ধ করেছিল। চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান যেমনিভাবে তরুণ ও শিক্ষার্থীরা করেছে, তেমনিভাবে মুক্তিযুদ্ধেও তরুণ এবং শিক্ষার্থীরা ছিল।”

তিনি আরও বলেন, “প্রতিবেশী দেশের যে ঘৃণ্য কৌশল, তাদের যে বিরোধিতা এবং ফ্যাসিস্টকে আশ্রয় দেওয়া- তাদের সম্বন্ধে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমরা মনে করি, আমাদের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী এবং প্রতিটি রাজনৈতিক দল ও খেটে খাওয়া মানুষ সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে দেশকে রক্ষা করবে এবং দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।”

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে