ঢাকা, সোমবার, ৪ আগস্ট ২০২৫, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২
এদেশের মুসলমানরা সংখ্যায় মেজরিটি হলেও কালচারালি মাইনরিটি: শাইখ আহমাদুল্লাহ

ঢাবি প্রতিনিধি: বাংলাদেশের প্রখ্যাত আলেম ও আসসুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শাইখ আহমাদুল্লাহ বলেছেন, এ দেশের মুসলমানরা সংখ্যায় মেজরিটি হলেও আমরা কালচারালি মাইনরিটি।
আজ বুধবার (১৯ মার্চ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের শিক্ষক লাউঞ্জে ‘ইউনিভার্সিটি টিচার্স কনসোর্টিয়াম' আয়োজিত এক ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি বক্তব্যে এমন অনুভূতি প্রকাশ করেন তিনি। এসময় ফিলিস্তিনের জনগণের জন্য দোয়া করা হয়।
শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, আমাদেরকে সাংস্কৃতিকভাবে সংখ্যালঘু করে রাখা হয়েছে। এদেশের দাড়ি টুপি নিয়ে কিছু মানুষ একত্রিত হয়ে শুধুমাত্র কুরআন হাদিসের কথা বলবে সেটা নিয়েও জঙ্গি ট্যাগ দিয়ে হয়রানি করা হয়েছে। এখনো পর্যন্ত কিছু মিডিয়া ইসলামের প্রতি যে বিমাতাসুলভ আচরণ করে চলেছে আমাদের ভাঙতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের বুক থেকে জগদ্দল পাথর সরে গেছে কিন্তু সাংস্কৃতিক যে যুদ্ধ চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে, মুসলমানরা যত বেশি শিক্ষিত হবে তত বেশি এদেশে সংখ্যালঘু তত ভালো থাকবে, এদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি তত বেশি সুন্দর হবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে ইসলামের প্রতি একধরনের ভীতি এদেশে এমনভাবে ভীতি সৃষ্টি করা হয়েছে যেন ইসলাম মানেই আতঙ্কের নাম।
আহমাদুল্লাহ আরও বলেন, আজকের মুসলমানদের রক্তচোষারা ফিলিস্তিনের গাজার মানুষের রক্তচোষারা, সকাল বিকাল যারা রক্ত দিয়ে নাস্তা করে, খাবার খায় তারা যুদ্ধ বিরতি ভঙ্গ করে পরিকল্পিতভাবে ১৭ই রমজানকে নির্বাচন করে ঐতিহাসিক বদর দিবসকে নির্বাচন করে সাহরীর সময় আঘাত করেছে।এটা পরিকল্পিত। প্রতিবছর দেখবেন তারা ঠিক রমজান মাসে আঘাতটা করে। তারা পরিকল্পনা করে রমজান মাসে, ঈদের দিনে বাছাই করে করে তারা আঘাত করে।
আসসুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান বলেন, আমরা আজ নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের পক্ষে দু-চার কলম লেখা, তাদের সহমর্মিতায় কখনো রাস্তায় মানববন্ধন করা, তাদের পক্ষে একটু প্রতিবাদ করা এই দায়িত্বটুকুও আমরা পালন করছি না। আমি একজন বাংলাদেশী হিসেবে লজ্জিত হই কারণ ফিলিস্তিন ইস্যুতে বাংলাদেশের মতো এরকম নির্লজ্জভাবে এতটা নীরবতা, স্তব্ধতা, পৃথিবীর কোন দেশে আমার চোখে পড়ে নাই। জাপানের মত দেশে যেখানে মুসলিমদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে কম সেখানে ফিলিস্তিন ইস্যুতে এত বড় মিছিল হয়েছে। কিন্তু আমার দেশে হচ্ছে না। পৃথিবীর বিভিন্ন অমুসলিম দেশে এমনকি খোদ আমেরিকা পর্যন্ত মানব ইতিহাসের ন্যাক্কারজনক বর্বরোচিত, অসভ্যতা এটার বিরুদ্ধে মানুষ যেভাবে ফুঁসে উঠেছে, এটার বিরুদ্ধে মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছে, ইয়াহুদী কোম্পানিগুলো বয়কট করেছে, আমার দেশে পর্যন্ত সেটা হচ্ছে না।
প্রথিতযশা এই আলেম বলেন,পশ্চিমা বা ইউরোপের দেশগুলোতে গেলে দেখা যায় যারা আমাদের ‘সংখ্যালঘু সংখ্যালঘু’, ‘অধিকার অধিকার' বলতে বলতে মুখে ফেনা ছুটায় তারা শুধুমাত্র মুসলিম হওয়ার কারণে প্রত্যেকটা মানুষকে হ্যারাসমেন্ট করায়। তাদের এই যে ভালো মানুষের মুখোশটা আছে এটা সরানোর দায়িত্ব আমাদের। আমাদের দেশীয় পরিষদ আমরা দেখেছি বিভিন্নভাবে ইসলামের উপর আঘাত করা হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন স্টেট ইউনিভার্সিটি উপাচার্য অধ্যাপক ড. আকতার হোসেন, ঢাবির কলা অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. ছিদ্দিকুর রহমান, ঢাবি সাদা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল কালাম সরকার, আরবি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. যুবাইর মুহাম্মদ এহসানুল হক প্রমুখ।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- শেয়ারবাজারে আসছে রাষ্ট্র ও বহুজাতিক ১৫ কোম্পানি
- ভারতে ঢাবির দুই ছাত্রীর ছবি নিয়ে তোলপাড়, ক্ষোভ
- ১১'শ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দিবে ঘুড্ডি ফাউন্ডেশন
- দ্বিতীয় প্রান্তিকের ইপিএস প্রকাশ করেছে ১৪ কোম্পানি
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স
- ডিএনসিসির শিক্ষাবৃত্তি পাবে ২ হাজার শিক্ষার্থী
- স্কয়ার ফার্মার বাজার মূলধনে নতুন মাইলফলক
- শেয়ারবাজারে বড়দের দাপট, ছোটদের পিছুটান
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ৪ প্রতিষ্ঠান
- ডিভিডেন্ড পেল দুই কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ৭ প্রতিষ্ঠান
- বিকালে আসছে ১০ কোম্পানির ইপিএস
- বিকালে আসছে ২১ কোম্পানির ইপিএস
- নতুন সিনেট সদস্য হলেন ঢাবির ৫ অধ্যাপক
- শিবলী রুবাইয়াত ও শেখ শামসুদ্দিন শেয়ারবাজারে অবাঞ্ছিত ঘোষণা