ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২
ঐক্য বিনষ্টের অপচেষ্টা চলছে : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

ডুয়া ডেস্ক: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দাবি করেছে একটি বিশেষ চক্র ইচ্ছাকৃতভাবে ধর্মীয় উসকানি দিয়ে বাংলাদেশে ঐক্য এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছে।
রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ভোর রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিউনিটি অ্যাফেয়ার্স সেলের সম্পাদক রফিকুল ইসলাম এক বিবৃতিতে এই দাবি জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ দীর্ঘকাল ধরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল উদাহরণ হিসেবে পরিচিত। দেশের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং মূল্যবোধ সব ধর্মের মানুষের পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সহাবস্থানের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। এই সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ আমাদের ঐতিহ্যের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ, যা জাতিগত ঐক্য ও শান্তির মূলে রয়েছে। তবে সম্প্রতি একটি বিশেষ গোষ্ঠী ধর্মীয় উসকানি ছড়িয়ে আমাদের ঐক্য এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছে।
বিশেষ করে, ইসলাম ধর্ম, মহান আল্লাহ এবং রাসূল (সা.)-এর প্রতি অবমাননাকর মন্তব্য এবং প্রচারণা আমাদের সামাজিক ঐক্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন কিছু বক্তব্য প্রকাশিত হচ্ছে, যা ধর্মপ্রাণ মানুষের অনুভূতিকে আঘাত করছে এবং সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টির আশঙ্কা তৈরি করছে। দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের পক্ষ থেকে ধর্মীয় অবমাননাকর বক্তব্য দেওয়া অত্যন্ত দুঃখজনক এবং নিন্দনীয়। এই ধরনের বিদ্বেষমূলক কর্মকাণ্ড বন্ধ করার জন্য সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে এবং সম্প্রীতি রক্ষায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আমরা বিশ্বাস করি, যেকোনো ধর্মের প্রতি অবমাননাকর বক্তব্য বা বিদ্বেষমূলক প্রচারণা শুধু ধর্মপ্রাণ মানুষের অনুভূতিকে আঘাত করে না বরং এটি সামগ্রিক সামাজিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্যও একটি বড় হুমকি। আমরা সমাজের সর্বস্তরের মানুষ—শিক্ষার্থী, বুদ্ধিজীবী, ধর্মীয় নেতা এবং সচেতন নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানাই যেন তারা বিভেদ সৃষ্টিকারীদের অপচেষ্টা প্রতিহত করে এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা কখনোই কারও ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত করার অধিকার দেয় না। প্রকৃত মুক্তচিন্তা এবং গণতান্ত্রিক চর্চা তখনই অর্থবহ হয় যখন তা সামাজিক শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে শক্তিশালী করে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানে বাংলাদেশের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের পাশাপাশি বিভিন্ন ধর্মের মানুষ শহীদ হয়েছেন। সেই আত্মত্যাগের চেতনায় নতুন বাংলাদেশে সব সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে সম্প্রীতি বজায় রাখা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। আমরা চাই বাংলাদেশে ধর্মীয় সম্প্রীতি অব্যাহত থাকুক, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ আরও দৃঢ় হোক এবং যেকোনো বিভেদ সৃষ্টির অপচেষ্টা ব্যর্থ হোক। আসুন আমরা সবাই মিলে একটি শান্তিপূর্ণ, সৌহার্দ্যপূর্ণ এবং সম্প্রীতিময় সমাজ গড়ে তুলি। সেখানে প্রত্যেক ধর্ম ও বিশ্বাসের প্রতি সম্মান থাকবে এবং আমাদের জাতীয় ঐক্য আরও সুদৃঢ় হবে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- হলে ঢাবি ছাত্রীর হঠাৎ অসুস্থতা, হাসপাতালে মৃত্যু
- মার্জিন ঋণে মিউচুয়াল ফান্ড ও বন্ডে বিনিয়োগ করা যাবে না
- ‘পদত্যাগ করতে পারেন ড. ইউনূস’
- বিদেশি বিনিয়োগকারীদের পছন্দের শীর্ষে পাঁচ শেয়ার
- শেয়ারবাজারের ৬ ব্যাংকের রেকর্ড মুনাফা, ৫ ব্যাংকের লোকসান
- ঢাবির হলে 'গাঁ’জার আসর', চার শিক্ষার্থীকে আটক
- ১২ আগস্ট : শেয়ারবাজারের সেরা ৯ খবর
- মার্জিন ঋণ নিয়ে গুজব: ফের অস্থির শেয়ারবাজার
- বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘লাল তালিকা’য় ২০ আর্থিক প্রতিষ্ঠান
- দুই কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- ভালুকায় প্রথম পাঁচতারা হোটেল চালু করছে বেস্ট হোল্ডিংস
- বেক্সিমকো-বেক্সিমকো ফার্মাসহ চার ব্যক্তি-এক প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা-সতর্ক
- সামিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র কিনছে আরব আমিরাতের কোম্পানি
- বেসরকারি হাসপাতাল মালিকদের নতুন কমিটির অভিষেক শনিবার