ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর ২০২৫, ২১ কার্তিক ১৪৩২
ঐক্য বিনষ্টের অপচেষ্টা চলছে : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন
ডুয়া ডেস্ক: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দাবি করেছে একটি বিশেষ চক্র ইচ্ছাকৃতভাবে ধর্মীয় উসকানি দিয়ে বাংলাদেশে ঐক্য এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছে।
রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ভোর রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিউনিটি অ্যাফেয়ার্স সেলের সম্পাদক রফিকুল ইসলাম এক বিবৃতিতে এই দাবি জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ দীর্ঘকাল ধরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল উদাহরণ হিসেবে পরিচিত। দেশের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং মূল্যবোধ সব ধর্মের মানুষের পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সহাবস্থানের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। এই সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ আমাদের ঐতিহ্যের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ, যা জাতিগত ঐক্য ও শান্তির মূলে রয়েছে। তবে সম্প্রতি একটি বিশেষ গোষ্ঠী ধর্মীয় উসকানি ছড়িয়ে আমাদের ঐক্য এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছে।
বিশেষ করে, ইসলাম ধর্ম, মহান আল্লাহ এবং রাসূল (সা.)-এর প্রতি অবমাননাকর মন্তব্য এবং প্রচারণা আমাদের সামাজিক ঐক্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন কিছু বক্তব্য প্রকাশিত হচ্ছে, যা ধর্মপ্রাণ মানুষের অনুভূতিকে আঘাত করছে এবং সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টির আশঙ্কা তৈরি করছে। দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের পক্ষ থেকে ধর্মীয় অবমাননাকর বক্তব্য দেওয়া অত্যন্ত দুঃখজনক এবং নিন্দনীয়। এই ধরনের বিদ্বেষমূলক কর্মকাণ্ড বন্ধ করার জন্য সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে এবং সম্প্রীতি রক্ষায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আমরা বিশ্বাস করি, যেকোনো ধর্মের প্রতি অবমাননাকর বক্তব্য বা বিদ্বেষমূলক প্রচারণা শুধু ধর্মপ্রাণ মানুষের অনুভূতিকে আঘাত করে না বরং এটি সামগ্রিক সামাজিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্যও একটি বড় হুমকি। আমরা সমাজের সর্বস্তরের মানুষ—শিক্ষার্থী, বুদ্ধিজীবী, ধর্মীয় নেতা এবং সচেতন নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানাই যেন তারা বিভেদ সৃষ্টিকারীদের অপচেষ্টা প্রতিহত করে এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা কখনোই কারও ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত করার অধিকার দেয় না। প্রকৃত মুক্তচিন্তা এবং গণতান্ত্রিক চর্চা তখনই অর্থবহ হয় যখন তা সামাজিক শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে শক্তিশালী করে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানে বাংলাদেশের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের পাশাপাশি বিভিন্ন ধর্মের মানুষ শহীদ হয়েছেন। সেই আত্মত্যাগের চেতনায় নতুন বাংলাদেশে সব সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে সম্প্রীতি বজায় রাখা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। আমরা চাই বাংলাদেশে ধর্মীয় সম্প্রীতি অব্যাহত থাকুক, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ আরও দৃঢ় হোক এবং যেকোনো বিভেদ সৃষ্টির অপচেষ্টা ব্যর্থ হোক। আসুন আমরা সবাই মিলে একটি শান্তিপূর্ণ, সৌহার্দ্যপূর্ণ এবং সম্প্রীতিময় সমাজ গড়ে তুলি। সেখানে প্রত্যেক ধর্ম ও বিশ্বাসের প্রতি সম্মান থাকবে এবং আমাদের জাতীয় ঐক্য আরও সুদৃঢ় হবে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা ফাইনাল: কবে, কখন-যেভাবে দেখবেন লাইভ
- ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া: খেলাটি ফ্রিতে সরাসরি(LIVE) দেখুন
- পাকিস্তান বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা: খেলাটি সরাসরি(LIVE) দেখবেন যেভাবে
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ৯৫ কোম্পানি, দেখুন এক নজরে
- ইপিএস প্রকাশ করেছে ৬৮ কোম্পানি, দেখুন এক নজরে
- বাংলাদেশ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩য় টি-টোয়েন্টি: খেলাটি সরাসরি(LIVE) দেখবেন যেভাবে
- ইপিএস প্রকাশ করেছে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক
- ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া: খেলাটি মোবাইলে সরাসরি দেখুন (LIVE)
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ
- ‘নো ডিভিডেন্ড’ ঘোষণার পর শেয়ার দামে রেকর্ড দৌড়
- ইপিএস প্রকাশ করেছে বিএটিবিসি
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে একমি পেস্টিসাইডস
- শেয়ারবাজারে ২৭৫ কোটি টাকা আত্মসাত, ৯ বিদেশির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
- শেয়ারবাজারই হতে পারে ওষুধ শিল্পের নতুন প্রাণশক্তি: ডিএসই চেয়ারম্যান
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে মনোস্পুল বিডি