ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর ২০২৫, ২২ আশ্বিন ১৪৩২

সিনেমাকেও হার মানিয়েছে নুর, জেল খাটতে এসে ধরা

২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৪ ১৫:০৬:৫৮

সিনেমাকেও হার মানিয়েছে নুর, জেল খাটতে এসে ধরা

নিজস্ব প্রতিবেদক: কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে এক অপ্রত্যাশিত প্রতারণার ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে, যেখানে নুর মোহাম্মদ নামে এক যুবক মূল আসামি জোবাইদ পুতিয়ার পরিচয়ে জেল খাটতে আসেন। ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে কারাগারে প্রবেশ করলেও ফিঙ্গারপ্রিন্ট পরীক্ষা করায় চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসে। এই ঘটনায় কুমিল্লা জুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মো. আব্দুল্ল্যাহেল আল-আমিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। জানা যায়, বদলি হিসেবে কারাগারে আসা নুর মোহাম্মদ কক্সবাজার জেলার টেকনাফ পৌরসভার ফকির আহাম্মদের ছেলে। মূল আসামি জোবাইদ পুতিয়া একই এলাকার নাইট্যংপাড়ার মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে।

২০১১ সালে জোবাইদ পুতিয়াকে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার একটি মাদক মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়। ২০১২ সালের ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত কারাগারে থাকার পর জামিনে মুক্ত হন, তবে নিয়মিত আদালতে হাজিরা দিতেন। দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়ার পর মামলাটি ২০১৮ সালে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে স্থানান্তরিত হয়। এসময় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

১২ আগস্ট এক ব্যক্তি জোবাইদ পুতিয়া পরিচয়ে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন এবং আদালতের আদেশে কারাগারে পাঠানো হয়। কিন্তু পরদিন ফিঙ্গারপ্রিন্ট পরীক্ষায় দেখা যায়, আসল আসামির সঙ্গে মিল নেই। এরপর নুর মোহাম্মদ হিসেবে তার পরিচয় নিশ্চিত হয়।

আইনজীবী এ এইচ এম আবাদ বলেন, “আত্মসমর্পণের সময় তিনি জোবাইদ পুতিয়া নাম বলেন, কিন্তু জাতীয় পরিচয় না থাকায় পরে বিষয়টি ধরা পড়ে। পেশাগত জীবনে এমন প্রতারণা আগে দেখিনি।”

জেলের জেলা কর্মকর্তা জানান, নুর মোহাম্মদ ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে পাঁচ দিনের মধ্যে মুক্তির আশ্বাস পেয়ে জেল খাটতে এসেছিলেন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর কৌঁসুলি মুহাম্মদ বদিউল আলম বলেন, “এ ধরনের প্রতারণা সমাজে অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি করে। যারা এতে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ইএইচপি

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত