ঢাকা, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৮ ভাদ্র ১৪৩২

ডাকসু নিয়ে থারুরের মন্তব্যে মেঘমল্লারের ক্ষোভ

২০২৫ সেপ্টেম্বর ১২ ১৪:০৮:১৪

ডাকসু নিয়ে থারুরের মন্তব্যে মেঘমল্লারের ক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের বিজয় প্রসঙ্গে ভারতের কংগ্রেস নেতা শশী থারুরের মন্তব্য নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন প্রতিরোধ পর্ষদের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদপ্রার্থী মেঘমল্লার বসু।

বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাতে নিজের ফেসবুক পোস্টে তিনি সরাসরি শশী থারুরকে সমালোচনা করে লেখেন, “প্রিয় মি. শশী থারুর, হয়তো এই বার্তাটি আপনার কাছে পৌঁছাবে না, আর পৌঁছালেও গুরুত্ব দেবেন না—আমার ইংরেজি আপনার মতো নিখুঁত নয় বলেই। আমি মেঘমল্লার বসু। সদ্য অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনে প্রতিরোধ পর্ষদের প্রার্থী ছিলাম এবং রাষ্ট্রীয় প্রভাব, ইসলামোফ্যাসিস্ট প্রবণতা ও অর্থশক্তির প্রভাবের মধ্যেও প্রায় পাঁচ হাজার ভোট পেয়েছি। বলা যায়, আমি ঢাবির প্রগতিশীল ছাত্রদের প্রতিনিধিত্ব করি।”

বাংলাদেশের ডানপন্থী রাজনীতি নিয়ে থারুরের মন্তব্য প্রসঙ্গে মেঘমল্লার বলেন, “আপনার পর্যবেক্ষণ যে মানুষ বড় দলের দুর্নীতিতে ক্লান্ত হয়ে বিকল্প খুঁজছে—এটি আংশিক সত্য। তবে বুঝতে হবে, আপনার বক্তব্য কেবল জামায়াতকেই শক্তি দিচ্ছে। আপনি আসলে অজান্তেই তাদের জনসংযোগের কাজ করছেন।”

তিনি আরও যোগ করেন, “ইসলামী ছাত্রশিবিরের জয় নিয়ে আপনার এত উদ্বেগ কেন? আপনি কি নিজ দেশে শবরিমালা মন্দির ইস্যুতে কেবল সিপিআইএমকে হারানোর জন্য ডানপন্থি প্রচারণা চালাননি? আগে আপনার দেশে হিন্দুত্ববাদী ফ্যাসিস্টদের পরাজিত করুন, তারপর প্রতিবেশীকে উপদেশ দিন।”

মেঘমল্লার কড়া ভাষায় বলেন, “যারা কাচের ঘরে থাকে, তাদের অন্যের দিকে পাথর ছোড়ার অধিকার নেই। যারা বারবার মোদি-অমিত শাহকে হারাতে ব্যর্থ হয়েছে, তাদের অন্য দেশের ছাত্ররাজনীতি নিয়ে মাথা ঘামানো মানায় না।”

ভারতের ভূমিকাকে বাংলাদেশের জন্য ক্ষতিকর উল্লেখ করে তিনি লেখেন, “আপনার মন্তব্যই শিবিরকে বাড়তি শক্তি জোগাচ্ছে। যদি এত সময় থাকে, আরও স্ট্যান্ড-আপ শো করুন। আমরা আমাদের সমস্যার সমাধান নিজেরাই করব। বাংলাদেশের ছাত্ররা ইসলামোফ্যাসিস্টদের প্রতিরোধে সবসময় প্রস্তুত।”

উল্লেখ্য, এর আগে শশী থারুর এক্সে পোস্ট করে ঢাবির ডাকসু নির্বাচনে জামায়াত সমর্থিত ছাত্র সংগঠনের বিজয়কে ‘অশনি সংকেত’ হিসেবে অভিহিত করেছিলেন। তিনি বলেন, এটি বাংলাদেশের রাজনীতির গতিপথ ও ভারত–বাংলাদেশ সম্পর্কের জন্য উদ্বেগজনক। তার দাবি, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দুর্নীতিতে ক্লান্ত হয়ে জনগণ জামায়াতের দিকে ঝুঁকছে। প্রশ্ন তোলেন, এই প্রবণতা কি ২০২৬ সালের জাতীয় নির্বাচনে প্রতিফলিত হবে? ভারতকে কি তখন জামায়াতের সংখ্যাগরিষ্ঠতার মুখোমুখি হতে হবে?

ইএইচপি

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

সর্বোচ্চ পঠিত