ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০ ভাদ্র ১৪৩২

ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান সব শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছেন

২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৩ ২২:০১:৩৫

ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান সব শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক: সম্প্রতি নিযুক্ত ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি-এর চেয়ারম্যান এবং স্বতন্ত্র পরিচালক জুবাইদুর রহমান তার কাছে থাকা ব্যাংকের সব শেয়ার বিক্রি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

বুধবার (০৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দাখিল করা এক নথিতে জানানো হয়েছে, জুবাইদুর রহমান আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে তার ১ লাখ ৪৯ হাজার শেয়ার পাবলিক মার্কেটে বর্তমান বাজারদরে বিক্রি করে দিবেন।

মঙ্গলবার ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারের বাজারমূল্য ছিল ৪২ টাকা ৮০ টাকা। সেই হিসাবে শেয়ার বিক্রির মোট মূল্য প্রায় ৬৪ লাখ টাকা হতে পারে।

জুবাইদুর রহমান গত ২৩ জুলাই সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়দ উল্লাহ আল-মাসুদের পদত্যাগের পর ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এর আগে তিনি ২৭ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোনয়নে ব্যাংকের পরিচালক হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন এবং এপ্রিলে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান করেন।

তবে একটি কৌতূহলোদ্দীপক তথ্য হলো, ব্যাংকের এপ্রিল মাসের শেয়ারহোল্ডিং রিপোর্টে তার কোনো শেয়ারের মালিকানা দেখানো হয়নি। অথচ, জুলাই মাসের রিপোর্টে তার ১ লাখ ৪৯ হাজার শেয়ারের মালিকানা অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

ব্যাংকের শেয়ার বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এই অসঙ্গতির ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, জুবাইদুর রহমান এক দশকেরও বেশি সময় আগে এই শেয়ারগুলো কিনেছিলেন। কিন্তু নথিপত্রে ত্রুটি থাকার কারণে সেগুলো আগের প্রতিবেদনগুলোতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। পরে সমস্যাটি সমাধান করা হয় এবং শেয়ারগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে তার নামে নথিভুক্ত হয়।

এদিকে, ২০২৫ সালের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন), ইসলামী ব্যাংকের সমন্বিত নিট মুনাফা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৮১ শতাংশ কমেছে। একই সঙ্গে, খেলাপি ঋণ ২০২৩ সালের ৩ শতাংশ থেকে বেড়ে ৪০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

এই অভূতপূর্ব খেলাপি ঋণের বৃদ্ধির কারণে ব্যাংকের প্রভিশন ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৬৯ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা। এই বিশাল ঘাটতির কারণে ব্যাংকটি ২০২৪ সালের জন্য কোনো ডিভিডেন্ড ঘোষণা করতে পারেনি, যা তাদের ৩২ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ঘটেছে।

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ব্যাংকটির সমন্বিত নিট মুনাফা দাঁড়িয়েছে ৬৭ কোটি ৪০ লাখ টাকা, যা গত বছরের একই সময়ের ৩৫৬ কোটি ৯২ লাখ টাকা থেকে অনেক কম। একই সঙ্গে, শেয়ারপ্রতি আয়ও কমেছে, যা গত বছরের ২ টাকা ২২ পয়সা থেকে কমে ৪২ পয়সায় দাঁড়িয়েছে।

এএসম/

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

সর্বোচ্চ পঠিত