ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট ২০২৫, ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২
জাবিতে নতুন রূপে পোষ্য কোটা পুনর্বহাল
.jpg)
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পোষ্য ভর্তি পুনর্বহাল রেখে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন প্রথম বর্ষের ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নাম পাল্টে প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা হিসেবে শর্তসাপেক্ষে পোষ্য ভর্তি বহালের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বুধবার (১৩ আগস্ট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সভায় সব কোটা এবং প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধার আওতায় শর্ত সাপেক্ষে পোষ্য ভর্তির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। যা বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিশ্চিত করেছে জনসংযোগ কার্যালয়।
নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, পোষ্য কোটায় ভর্তি হতে হলে ভর্তি পরীক্ষার ৮০ নম্বরের মধ্যে ন্যূনতম ৩২ নম্বর পেতে হবে, যা আগে ছিল ২৭ নম্বর। শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর স্বামী-স্ত্রী এবং ভাইবোনদের জন্য বরাদ্দ কোটা বাতিল করে এখন থেকে কেবল সন্তানদেরই এই সুবিধার আওতায় আনা হয়েছে।
প্রতিটি বিভাগে সর্বোচ্চ চারজনকে পোষ্য কোটায় ভর্তি করা যাবে। আগে আসনসংখ্যায় কোনো সীমাবদ্ধতা না থাকলেও নতুন সিদ্ধান্তে মোট ভর্তি সংখ্যা ৪০ জনের বেশি হবে না। এছাড়া কোনো শিক্ষক, কর্মকর্তা বা কর্মচারীর সন্তানকে তার নিজ বিভাগের পোষ্য হিসেবে ভর্তি না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পোষ্য ভর্তির ক্ষেত্রে কোনো অভিভাবকের অনিয়ম প্রমাণিত হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত শৃঙ্খলাবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে এমন অঙ্গীকারনামা যুক্ত করারও সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিষয়টি পরবর্তী শিক্ষাপর্ষ সভায় রিপোর্ট আকারে উপস্থাপন করে অনুমোদন ও কার্যকর করা হবে।
জানা যায়, ১৯৯৩ সালের ২৬ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তির অধ্যাদেশ অনুযায়ী, শুরুতে পোষ্য কোটায় ভর্তির ক্ষেত্রে পোষ্যদের জন্য লিখিত পরীক্ষায় পাস নম্বর ছিল ৪০ শতাংশ। কিন্তু ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষে পাস নম্বর কমিয়ে ৩৫ শতাংশ করা হয়। আবার ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে তা আরও কমিয়ে ৩৩ শতাংশ করা হয়। এছাড়া ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে পোষ্য কোটাধারী শিক্ষার্থীদের জন্য আবশ্যিক বিষয়ে পাস নম্বর পাওয়ার বাধ্যবাধকতা উঠিয়ে দেওয়া হয়।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীরা টানা ১৯ ঘণ্টা গণঅনশন করেন। উপাচার্যের আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত হলে অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান ঘোষণা দেন, পোষ্য কোটা থাকবে না এবং কর্মচারীদের প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা দেওয়া হবে। একইসাথে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা পুনর্বিবেচনায় একটি কমিটি গঠনের কথাও জানান।
এদিকে উপাচার্যের মৌখিক ঘোষণায় বাতিলকৃত পোষ্য কোটা পুণর্বহালের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন শিক্ষার্থীরা। পোষ্য ভর্তি পুনর্বহালের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন তারা।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- ডিভিডেন্ড দিতে পারছে না বস্ত্র খাতের ১৩ কোম্পানি
- মার্জিন ঋণে মিউচুয়াল ফান্ড ও বন্ডে বিনিয়োগ করা যাবে না
- শেয়ারবাজারের ৬ ব্যাংকের রেকর্ড মুনাফা, ৫ ব্যাংকের লোকসান
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ৭ প্রতিষ্ঠানের ডিভিডেন্ড-ইপিএস
- ১২ আগস্ট : শেয়ারবাজারের সেরা ৯ খবর
- মার্জিন ঋণ নিয়ে গুজব: ফের অস্থির শেয়ারবাজার
- ডিএসইর সতর্কবার্তার জালে দুর্বল দুই কোম্পানির শেয়ার
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- দুই কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- সামিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র কিনছে আরব আমিরাতের কোম্পানি
- বিসিএসে স্বতন্ত্র বিভাগে অন্য বিভাগ অন্তর্ভুক্তির প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ
- রবির অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তের মুখে গ্রামীণফোন
- টানা পতনেও শেয়ারবাজারে পুনরুজ্জীবনের সংকেত
- বেসরকারি হাসপাতাল মালিকদের নতুন কমিটির অভিষেক শনিবার
- ডিভিডেন্ড পেল দুই কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা