ঢাকা, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২
আট কোম্পানির হাত ধরে শেয়ারবাজারে উত্থান

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর শেয়ারবাজারে আজ সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে সূচকের বড় উত্থান দেখা গেল। এদিন প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৩১৫টির দাম বেড়েছে, যা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ব্যাপক স্বস্তি দিয়েছে। আজ ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫৯.৬৫ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়েছে, যার নেপথ্যে ছিল আটটি প্রভাবশালী কোম্পানির শেয়ার। এই আটটি কোম্পানি সম্মিলিতভাবে ডিএসইর প্রধান সূচকে প্রায় ১৬ পয়েন্ট যোগ করেছে, যা বাজারের ইতিবাচক গতিকে ত্বরান্বিত করেছে।
যে আটটি কোম্পানি সূচক বৃদ্ধিতে মূল ভূমিকা রেখেছে, সেগুলো হলো: ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি (বিএটিবিসি), লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ পিএলসি, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি), স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক পিএলসি, রবি আজিয়াটা লিমিটেড, ওরিয়ন ইনফিউশনস লিমিটেড এবং গ্রামীণফোন লিমিটেড। এই কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দাম বৃদ্ধির ফলে বাজারের সার্বিক চিত্র ইতিবাচক হয়েছে।
লঙ্কাবাংলা অ্যানালাইসিস পোর্টালের তথ্যমতে, কোম্পানিগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ সূচক যোগ করেছে ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি, যা ডিএসইএক্স সূচকে ৩.৯২ পয়েন্ট যোগ করেছে।
এরপর দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি (বিএটিবিসি), যা সূচকে ৩.০১ পয়েন্ট যোগ করেছে এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ২.১৮ পয়েন্ট যোগ করেছে লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ পিএলসি।
সূচক বৃদ্ধির নেপথ্যে থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি) ২.০৪ পয়েন্ট, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক পিএলসি ১.৩১ পয়েন্ট, রবি আজিয়াটা লিমিটেড ১.১৬ পয়েন্ট, ওরিয়ন ইনফিউশনস লিমিটেড ১.০৬ পয়েন্ট এবং গ্রামীণফোন লিমিটেড ১.০৪ পয়েন্ট যোগ করে সূচকের উত্থানে অবদান রেখেছে।
আজকের এই উত্থান বাজারের প্রাণবন্ততা এবং স্থিতিশীলতা ফিরে আসার ইঙ্গিত দিচ্ছে। এত বেশি সংখ্যক কোম্পানির শেয়ারের দাম বৃদ্ধি প্রমাণ করে, সামগ্রিকভাবে বাজারে একটি ইতিবাচক প্রবণতা তৈরি হয়েছে। এটি নতুন বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে এবং বিদ্যমান বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
বাজার বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ইতিবাচক ধারা অব্যাহত থাকলে শেয়ারবাজার দ্রুতই তার হারানো গতি ফিরে পাবে। বিনিয়োগকারীদের এখন পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা উচিত। কারণ এমন একটি উত্থান প্রায়শই বাজারের একটি নতুন চক্রের সূচনা করে থাকে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- শেয়ারবাজারে বিস্ময়: এক লাখ টাকার শেয়ার ৮০ কোটি!
- ডিভিডেন্ডের উপর উচ্চ কর: শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতা নিয়ে উদ্বেগ
- মুনাফা থেকে লোকসানে তথ্য প্রযুক্তির দুই কোম্পানি
- শেয়ারবাজারের শর্ত পূরণে ৬০ কোম্পানিকে বিএসইসির আল্টিমেটাম
- মূলধন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত শেয়ারবাজারের ১৩ ব্যাংকের
- শেয়ারবাজারের ১০ ব্যাংকে আমানত বেড়েছে ৩২ হাজার কোটি টাকা
- নীলক্ষেত হোস্টেল থেকে ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থীর ম’রদেহ উদ্ধার
- ইরানকে হা-ম-লা বন্ধে প্রস্তাব
- সত্যিই কি স্ট্রোক করেছেন মির্জা ফখরুল? যা জানা গেল
- বদলে গেছে ধারণা, বিস্মিত ইসরায়েল
- কারাগারে ফাঁসিতে ঝুললেন সেই অস্ত্রধারী আ’লীগ নেতা
- দুই বড় খবরের মধ্যে আজ খুলছে দেশের শেয়ারবাজার
- ডিভিডেন্ড বেড়েছে শেয়ারবাজারের সাত ব্যাংকের
- ঢাবিতে হটাৎ ছাত্রলীগের বিক্ষোভ, ককটেল বি-স্ফো-র-ণ
- মূলধনের বেশি রিজার্ভ জ্বালানি খাতের ১৪ কোম্পানির