ঢাকা, রবিবার, ৩ আগস্ট ২০২৫, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২
বিএসইসির নজরে নয় ব্রোকারেজ ও মার্চেন্ট ব্যাংক

শেয়ারবাজারে স্বচ্ছতা ও সুশাসন নিশ্চিত করতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সাতটি ব্রোকারেজ হাউজ ও দুটি মার্চেন্ট ব্যাংকের সার্বিক কার্যক্রম খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম তদন্তে তিন সদস্য বিশিষ্ট পৃথক নয়টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিগুলোকে আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে বিএসইসিতে তাদের প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তদন্তের আওতায় আসা ব্রোকারেজ হাউজগুলো হলো: সিটি ব্রোকারেজ, শান্তা সিকিউরিটিজ, জয়তুন সিকিউরিটিজ, ন্যাশনাল সিকিউরিটিজ, কেএইচবি সিকিউরিটিজ, কর্ডিয়াল সিকিউরিটিজ এবং ব্যাংক এশিয়া সিকিউরিটিজ। আর মার্চেন্ট ব্যাংক দুটি হলো: আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্ট এবং প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট।
সম্প্রতি বিএসইসির মার্কেট ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন থেকে তদন্ত কমিটিগুলো গঠন সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়েছে।
বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, গঠিত তদন্ত কমিটিগুলো স্টক-ব্রোকার এবং স্টক-ডিলারের সামগ্রিক কার্যক্রম তদন্ত করবে। সিকিউরিটিজ আইন অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানগুলো সঠিকভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করেছে কি-না, তা যাচাই করে দেখা হবে।
এছাড়া, ব্রোকারেজ হাউজগুলোর মার্জিন অ্যাকাউন্টের সংখ্যা, নেগেটিভ ইক্যুইটিসহ বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) অ্যাকাউন্টের সংখ্যা, প্রভিশনস (মার্জিন অ্যাকাউন্টের বিপরীতে রক্ষিত তহবিল), প্রভিশনসের ঘাটতি এবং অনুমোদন ছাড়া লেনদেনসহ অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলো খতিয়ে দেখবে।
মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রেও সার্বিক কার্যক্রম তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তদন্ত কমিটিকে। এর মধ্যে রয়েছে বড় গ্রাহক, ব্লক ও একই গ্রুপের প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে লেনদেন, নগদ ও ব্যাংক হিসাব এবং প্রতিষ্ঠানের এমডি, সিইওসহ অন্যান্যদের ভূমিকা।
বিগত সরকারের আমলে আইন লঙ্ঘনকারী ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর বিরুদ্ধে তেমন কোনো কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তবে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর খন্দকার রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বাধীন নতুন কমিশন এই প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর নজরদারীর ব্যবস্থা নিয়েছে।
তদন্ত কমিটি মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালা, ২০১৯ অনুযায়ী ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত শেষ হওয়া সময়ের জন্য ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর এএমএল/সিএফটি (অ্যান্টি-মানি লন্ডারিং/কাউন্টার-টেরোরিজম ফাইন্যান্সিং) সিস্টেমও তদন্ত করবে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- ১১'শ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দিবে ঘুড্ডি ফাউন্ডেশন
- ভারতে ঢাবির দুই ছাত্রীর ছবি নিয়ে তোলপাড়, ক্ষোভ
- দ্বিতীয় প্রান্তিকের ইপিএস প্রকাশ করেছে ১৪ কোম্পানি
- ডিএনসিসির শিক্ষাবৃত্তি পাবে ২ হাজার শিক্ষার্থী
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স
- শেয়ারবাজারে বড়দের দাপট, ছোটদের পিছুটান
- স্কয়ার ফার্মার বাজার মূলধনে নতুন মাইলফলক
- ডিভিডেন্ড পেল দুই কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ৪ প্রতিষ্ঠান
- ২৭ জুলাই : শেয়ারবাজারের সেরা ১১ খবর
- বিকালে আসছে ১০ কোম্পানির ইপিএস
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ৭ প্রতিষ্ঠান
- বিকালে আসছে ২১ কোম্পানির ইপিএস
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে প্রগতি লাইফ ইন্সুরেন্স
- দ্বিতীয় প্রান্তিকের ইপিএস প্রকাশ করেছে ১২ কোম্পানি