ঢাকা, সোমবার, ৩ নভেম্বর ২০২৫, ১৯ কার্তিক ১৪৩২
শেয়ারবাজারে হাজার কোটির ক্লাবে ব্যাংকবহির্ভূত ৬ কোম্পানি
বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ৩৯৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এক হাজার কোটি টাকার বেশি পরিশোধিত মূলধন রয়েছে এমন কোম্পানির সংখ্যা মাত্র ৩১টি। অর্থাৎ হাজার কোটি ক্লাবে কোম্পানি রয়েছে মাত্র ৩১টি। এরমধ্যে ২৫টি কোম্পানি হলো ব্যাংক খাতের। বাকি ৬টি হলো ব্যাংকবহির্ভূত বিভিন্ন খাতের। যেগুলো হলো: বেস্ট হোল্ডিং, কেয়া কসমেটিকস, গ্রামীণফোন, রবি আজিয়াটা, লাফার্জহোলসিম ও সামিট পাওয়ার।
মূলধন
কোম্পানিগুলোর মধ্যে রবি আজিয়াটার মূলধন সবচেয়ে বেশি, ৫ হাজার ২৩৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। এরপর রয়েছে গ্রামীণফোনের ১ হাজার ৩৫০ কোটি ৩২ লাখ টাকা, লাফার্জহোলসিমের ১ হাজার ১৬১ কোটি ৩৭ লাখ টাকা, কেয়া কসমেটিকসের ১ হাজার ১০২ কোটি ৩২ লাখ টাকা, সামিট পাওয়ারের ১ হাজার ৬৭ কোটি ৯০ লাখ টাকা এবং বেস্ট হোল্ডিংয়ের ১ হাজার ৫৯ কোটি ২৩ লাখ টাকা।
ডিভিডেন্ড
কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৫টি সর্বশেষ অর্থবছরের জন্য ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। এরমধ্যে গ্রামীণফোন সর্বোচ্চ ৩৩০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে। এরপর লাফার্জহোলসিম ১৯ শতাংশ ক্যাশ, রবি আজিয়াটা ১৫ শতাংশ ক্যাশ এবং বেস্ট হোল্ডিং ও সামিট পাওয়ার প্রত্যেকে ১০ শতাংশ করে ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। আর কেয়া কসমেটিকস ২০২০ সালের পর থেকে কোনো ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেনি। ২০২০ সালে কোম্পানিটি ২ শতাংশ ক্যাশ ও ১ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।
সর্বশেষ দর
কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দরে লেনদেন হচ্ছে গ্রামীণফোনের শেয়ার। কোম্পানিটির শেয়ার সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ২৮৪ টাকা ৪০ পয়সায়। এরপর লাফার্জহোলসিম ৪২ টাকা ৯০ পয়সায়, রবি আজিয়াটা ২৩ টাকা ৮০ পয়সায়, বেস্ট হোল্ডিং ১৪ টাকা ৭০ পয়সায়, সামিট পাওয়ার ১৩ টাকা ৩০ পয়সায় এবং কেয়া কসমেটিকস ৪ টাকা ৭০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে।
ভবিষ্যত সম্ভাবনা
এই ৬টি বৃহৎ মূলধনী কোম্পানির মধ্যে একটি বাদে বাকিগুলো বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে একটি শক্তিশালী এবং বৈচিত্র্যময় বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি করেছে। ব্যাংক খাতের বাইরে এই কোম্পানিগুলোর উপস্থিতি বাজারের গভীরতা বাড়াচ্ছে এবং বিনিয়োগকারীদের জন্য বিভিন্ন সেক্টরে বিনিয়োগের পথ খুলে দিচ্ছে। তাদের নিয়মিত ডিভিডেন্ড ঘোষণা এবং বৃহৎ মূলধন কাঠামো প্রমাণ করে, এই কোম্পানিগুলো দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের জন্য স্থিতিশীল এবং নির্ভরযোগ্য।
শেয়ারবাজারে এমন মেগা শেয়ারগুলোর উপস্থিতি বাজারের সামগ্রিক চিত্রকে আরও মজবুত করে তোলে। এটি দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের জন্য বাংলাদেশের অর্থনীতিতে আস্থা বাড়াতেও সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এই কোম্পানিগুলো দেশের শিল্পোন্নয়নে যেমন অবদান রাখছে, তেমনি বিনিয়োগকারীদের জন্য টেকসই রিটার্নের সম্ভাবনাও তৈরি করছে, যা বাংলাদেশের শেয়ারবাজারের ভবিষ্যতের জন্য একটি অত্যন্ত ইতিবাচক দিক।
শেয়ারবাজারের বিশ্লেষণ ও ইনসাইড স্টোরি পেতে আমাদের পেজ ফলো করুন।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা ফাইনাল: কবে, কখন-যেভাবে দেখবেন লাইভ
- ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া: খেলাটি মোবাইলে সরাসরি(LIVE) দেখুন
- ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া: খেলাটি ফ্রিতে সরাসরি(LIVE) দেখুন
- আজ বাংলাদেশ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২য় টি-টোয়েন্টি: যেভাবে দেখবেন লাইভ (LIVE)
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ৯৫ কোম্পানি, দেখুন এক নজরে
- ডিএসই’র দুই ব্রোকারেজের ট্রেডিং লাইসেন্স বাতিল
- বাংলাদেশ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২য় টি-২০: কবে, কখন, কোথায়-যেভাবে দেখবেন খেলাটি
- ইপিএস প্রকাশ করেছে ৬৮ কোম্পানি, দেখুন এক নজরে
- মার্জিন রুল থেকে মিউচুয়াল ফান্ড—সবখানেই আসছে বড় পরিবর্তন
- দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম পাকিস্তান, খেলাটি সরাসরি(LIVE) দেখুন
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে অগ্নী সিস্টেমস
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে তালিকাভুক্ত২৪ কোম্পানি
- বাংলাদেশ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩য় টি-টোয়েন্টি: খেলাটি সরাসরি(LIVE) দেখবেন যেভাবে
- পাকিস্তান বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা: খেলাটি সরাসরি(LIVE) দেখবেন যেভাবে
- এবারও বিনিয়োগকারীদের হতাশ করল মিরাকেল ইন্ডাস্ট্রিজ