ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
ডিভিডেন্ড বেড়েছে শেয়ারবাজারের সাত ব্যাংকের

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ৩৬টি ব্যাংকের মধ্যে এ পর্যন্ত ৩৩টি ব্যাংক ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। ব্যাংকগুলোর মধ্যে আলোচ্য বছরে ডিভিডেন্ড বেড়েছে ৭ ব্যাংকের। ব্যাংকগুলো হলো- ব্যাংক এশিয়া, ব্র্যাক ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, মিডল্যান্ড ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক এবং উত্তরা ব্যাংক। ডিএসই ও ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ব্যাংক এশিয়া
ব্যাংকটি ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ১০ শতাংশ ক্যাশ ও ১০ শতাংশ স্টকসহ মোট ২০ শতাংশ ডিভিডেন্ডে ঘোষণা করেছে।
আগের বছর ব্যাংকটি ১৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল। আগের বছরের তুলনায় ডিভিডেন্ড বেড়েছে ৫ শতাংশ।
ব্র্যাক ব্যাংক
ব্যাংকটি ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ১২.৫০ শতাংশ ক্যাশ ও ১২.৫০ শতাংশ স্টকসহ মোট ২৫ শতাংশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে।
আগের বছর ব্যাংকটি ১০ শতাংশ ক্যাশ ও ১০ শতাংশ স্টকসহ মোট ২০ শতাংশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল। আগের বছরের তুলনায় ডিভিডেন্ড বেড়েছে ৫ শতাংশ।
ইস্টার্ন ব্যাংক:
ব্যাংকটি ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ১৭.৫০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ও ১৭.৫০ শতাংশ স্টকসহ মোট ৩৫ শতাংশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে।
আগের বছর ব্যাংকটি ১২.৫০ শতাংশ ক্যাশ ও ১২.৫০ শতাংশ স্টকসহ মোট ২৫ শতাংশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল। আগের বছরের তুলনায় ডিভিডেন্ড বেড়েছে ১০ শতাংশ।
মিডল্যান্ড ব্যাংক
ব্যাংকটি ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ৩ শতাংশ ক্যাশ ও ৩ শতাংশসহ মোট ৬ শতাংশ ডিভিডেন্ডে ঘোষণা করেছে। আগের বছর ব্যাংকটি ৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল। আগের বছরের তুলনায় ডিভিডেন্ড বেড়েছে ১ শতাংশ।
এনসিসি ব্যাংক
ব্যাংকটি ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ১৩ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে।
আগের বছর ব্যাংকটি ১২ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল। আগের বছরের তুলনায় ডিভিডেন্ড বেড়েছে ১ শতাংশ।
প্রাইম ব্যাংক
ব্যাংকটি ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ১৭.৫০ শতাংশ ক্যাশ এবং ২.৫০ শতাংশ স্টকসহ মোট ২০ শতাংশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে।
আগের বছর ব্যাংকটি ১৭.৫০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল। আগের বছরের তুলনায় ডিভিডেন্ড বেড়েছে ২.৫০ শতাংশ।
উত্তরা ব্যাংক
ব্যাংকটি ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ১৭.৫০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ও ১৭.৫০ শতাংশ স্টকসহ মোট ৩৫ শতাংশ ডিভিডেন্ড ৩৫ শতাংশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে।
আগের বছর ব্যাংকটি ১৭.৫০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড এবং ১২.৫০ শতাংশ স্টকসহ মোট ৩০ শতাংশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল। আগের বছরের তুলনায় ডিভিডেন্ড বেড়েছে ৫ শতাংশ।
সাত ব্যাংকের ডিভিডেন্ড বৃদ্ধি একটি অত্যন্ত ইতিবাচক লক্ষণ। এটি প্রমাণ করে, প্রতিকূল অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সত্ত্বেও ব্যাংকগুলো শক্তিশালী আর্থিক পারফরম্যান্স বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে। তাদের উন্নত মুনাফা অর্জন, কার্যকর ঋণ ব্যবস্থাপনা এবং সুসংহত আর্থিক ভিত্তি এই ডিভিডেন্ড বৃদ্ধির মূল কারণ। এই ব্যাংকগুলোর ধারাবাহিক ডিভিডেন্ড প্রদানের ক্ষমতা বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়াতে সাহায্য করবে এবং সামগ্রিকভাবে ব্যাংক খাতের প্রতি ইতিবাচক ধারণা তৈরি করবে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ: এক কোম্পানির শেয়ার কিনলেন উদ্যোক্তারা
- শেয়ারবাজারে বিস্ময়: এক লাখ টাকার শেয়ার ৮০ কোটি!
- বিনিয়োগকারীদের সর্বনাশ করেছে তালিকাভুক্ত দুই কোম্পানি
- বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে দ্যুতি ছড়াচ্ছে ১৩ ‘বনেদি’ কোম্পানি
- মুনাফা থেকে লোকসানে তথ্য প্রযুক্তির দুই কোম্পানি
- শেয়ারবাজারের ১০ ব্যাংকে আমানত বেড়েছে ৩২ হাজার কোটি টাকা
- ডিভিডেন্ডের উপর উচ্চ কর: শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতা নিয়ে উদ্বেগ
- বড় আন্দোলনে নামছে ৩ 'দল'
- সত্যিই কি স্ট্রোক করেছেন মির্জা ফখরুল? যা জানা গেল
- মুনাফা বেড়েছে বিবিধ খাতের ৬ কোম্পানির
- ডিভিডেন্ড বেড়েছে শেয়ারবাজারের সাত ব্যাংকের
- ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃ'ত্যু ৬
- ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে ওষুধ খাতের ১৩ কোম্পানির
- মূলধনের বেশি রিজার্ভ জ্বালানি খাতের ১৪ কোম্পানির
- ফেসবুক কমেন্টকে কেন্দ্র করে ঢাবি ছাত্রের আ-ত্ম-হ-ত্যা