ঢাকা, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩১ ভাদ্র ১৪৩২
ডিভিডেন্ড বেড়েছে শেয়ারবাজারের সাত ব্যাংকের

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ৩৬টি ব্যাংকের মধ্যে এ পর্যন্ত ৩৩টি ব্যাংক ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। ব্যাংকগুলোর মধ্যে আলোচ্য বছরে ডিভিডেন্ড বেড়েছে ৭ ব্যাংকের। ব্যাংকগুলো হলো- ব্যাংক এশিয়া, ব্র্যাক ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, মিডল্যান্ড ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক এবং উত্তরা ব্যাংক। ডিএসই ও ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ব্যাংক এশিয়া
ব্যাংকটি ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ১০ শতাংশ ক্যাশ ও ১০ শতাংশ স্টকসহ মোট ২০ শতাংশ ডিভিডেন্ডে ঘোষণা করেছে।
আগের বছর ব্যাংকটি ১৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল। আগের বছরের তুলনায় ডিভিডেন্ড বেড়েছে ৫ শতাংশ।
ব্র্যাক ব্যাংক
ব্যাংকটি ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ১২.৫০ শতাংশ ক্যাশ ও ১২.৫০ শতাংশ স্টকসহ মোট ২৫ শতাংশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে।
আগের বছর ব্যাংকটি ১০ শতাংশ ক্যাশ ও ১০ শতাংশ স্টকসহ মোট ২০ শতাংশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল। আগের বছরের তুলনায় ডিভিডেন্ড বেড়েছে ৫ শতাংশ।
ইস্টার্ন ব্যাংক:
ব্যাংকটি ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ১৭.৫০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ও ১৭.৫০ শতাংশ স্টকসহ মোট ৩৫ শতাংশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে।
আগের বছর ব্যাংকটি ১২.৫০ শতাংশ ক্যাশ ও ১২.৫০ শতাংশ স্টকসহ মোট ২৫ শতাংশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল। আগের বছরের তুলনায় ডিভিডেন্ড বেড়েছে ১০ শতাংশ।
মিডল্যান্ড ব্যাংক
ব্যাংকটি ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ৩ শতাংশ ক্যাশ ও ৩ শতাংশসহ মোট ৬ শতাংশ ডিভিডেন্ডে ঘোষণা করেছে। আগের বছর ব্যাংকটি ৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল। আগের বছরের তুলনায় ডিভিডেন্ড বেড়েছে ১ শতাংশ।
এনসিসি ব্যাংক
ব্যাংকটি ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ১৩ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে।
আগের বছর ব্যাংকটি ১২ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল। আগের বছরের তুলনায় ডিভিডেন্ড বেড়েছে ১ শতাংশ।
প্রাইম ব্যাংক
ব্যাংকটি ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ১৭.৫০ শতাংশ ক্যাশ এবং ২.৫০ শতাংশ স্টকসহ মোট ২০ শতাংশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে।
আগের বছর ব্যাংকটি ১৭.৫০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল। আগের বছরের তুলনায় ডিভিডেন্ড বেড়েছে ২.৫০ শতাংশ।
উত্তরা ব্যাংক
ব্যাংকটি ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ১৭.৫০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ও ১৭.৫০ শতাংশ স্টকসহ মোট ৩৫ শতাংশ ডিভিডেন্ড ৩৫ শতাংশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে।
আগের বছর ব্যাংকটি ১৭.৫০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড এবং ১২.৫০ শতাংশ স্টকসহ মোট ৩০ শতাংশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল। আগের বছরের তুলনায় ডিভিডেন্ড বেড়েছে ৫ শতাংশ।
সাত ব্যাংকের ডিভিডেন্ড বৃদ্ধি একটি অত্যন্ত ইতিবাচক লক্ষণ। এটি প্রমাণ করে, প্রতিকূল অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সত্ত্বেও ব্যাংকগুলো শক্তিশালী আর্থিক পারফরম্যান্স বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে। তাদের উন্নত মুনাফা অর্জন, কার্যকর ঋণ ব্যবস্থাপনা এবং সুসংহত আর্থিক ভিত্তি এই ডিভিডেন্ড বৃদ্ধির মূল কারণ। এই ব্যাংকগুলোর ধারাবাহিক ডিভিডেন্ড প্রদানের ক্ষমতা বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়াতে সাহায্য করবে এবং সামগ্রিকভাবে ব্যাংক খাতের প্রতি ইতিবাচক ধারণা তৈরি করবে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- সরকারের সিদ্ধান্তে ডুবছে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের স্বপ্ন?
- ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড কার্যকারিতায় বিএসইসির নতুন উদ্যোগ
- শেয়ার কারসাজিতে ৫ বিনিয়োগকারীকে ১৩ কোটি টাকা জরিমানা
- শেয়ারবাজারে প্রতারণা ঠেকাতে মাঠে নামছে গোয়েন্দা সংস্থা
- এক হাজার কোটি টাকার মামলায় শিবলী রুবাইয়াত গ্রেপ্তার
- শেয়ার কারসাজিতে ১২ জনকে সাড়ে ৩ কোটি টাকা জরিমানা
- আরএসআই বিশ্লেষণে সর্বোচ্চ সতর্ক সংকেত পাঁচ শেয়ারে
- কৃত্রিম চাপে শেয়ারবাজারে অস্থিরতা, সহসা পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা
- এক কোম্পারি অস্থিরতায় শেয়ারবাজারে তোলপাড়
- শেয়ারবাজারে ধারাবাহিক মুনাফা চান? জেনে নিন ৫ মন্ত্র
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ইস্টার্ন হাউজিং
- পাঁচ কোম্পানির কারণে থমকে গেল শেয়ারবাজারের উত্থান
- শেয়ারবাজারে প্রসারিত হচ্ছে টেকসই বিনিয়োগের নতুন দিগন্ত
- ধস কাটিয়ে অবশেষে শেয়ারবাজারে উত্থানের স্রোত
- রেকর্ড ডেটে শেয়ার লেনদেন চালুর পরিকল্পনা ডিএসইর