ঢাকা, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞা তিন মাস স্থগিতের দাবি, সরকারকে বিকেএমইএর চিঠি

২০২৫ মে ২৩ ১১:২৫:৪৯
স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞা তিন মাস স্থগিতের দাবি, সরকারকে বিকেএমইএর চিঠি

ডুয়া নিউজ: বাংলাদেশ থেকে স্থলবন্দর পথে পণ্য আমদানিতে ভারত সরকার যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, তা অন্তত তিন মাসের জন্য স্থগিত করতে কূটনৈতিক উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ)।

গত ২১ মে বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমানের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে বিকেএমইএ সভাপতি ও ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন-ডুয়া কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য মোহাম্মদ হাতেম এ আহ্বান জানান। তিনি অনুরোধ করেন, যেসব পণ্যের রপ্তানি প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে, সেগুলো যেন নিষেধাজ্ঞার বাইরে রাখা হয়।

হাতেম বলেন, ‘স্থলবন্দরে আটকে থাকা পণ্য এবং রপ্তানির জন্য প্রস্তুত পণ্যসহ সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ব্যবসায়ীরা কূটনৈতিক হস্তক্ষেপ প্রত্যাশা করছেন। ভারত সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে অন্তত তিন মাস সময় পাওয়া গেলে অনেক ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।’

এর আগে গত ১৭ মে ভারতের ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি) এক আদেশে জানায়, বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাকসহ ছয় ধরনের পণ্য স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে ভারতের কলকাতা ও মুম্বাইয়ের নাভাশেভা সমুদ্রবন্দর দিয়ে এসব পণ্য আমদানির অনুমতি রয়েছে।

এমন আকস্মিক সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়েছেন বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা। অনেক পণ্য ইতোমধ্যে সীমান্তে পৌঁছে গেলেও ফেরত আনতে হচ্ছে। আবার অনেক রপ্তানিকারক আশঙ্কায় রয়েছেন প্রস্তুত পণ্যের ভবিষ্যৎ নিয়ে। কারণ স্থলপথেই রপ্তানির শর্তে তারা সময় ও মূল্য নির্ধারণ করেছিলেন।

পরিস্থিতি মোকাবেলায় ১৮ মে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো এবং ২০ মে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পৃথক দুটি জরুরি বৈঠক করে। উভয় সভায় স্টেকহোল্ডাররা বাংলাদেশ সরকারকে ভারতের সঙ্গে সচিব পর্যায়ে আলোচনা করে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে উদ্যোগ নেওয়ার পরামর্শ দেন।

হাতেম তার চিঠিতে উল্লেখ করেন, ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্যে স্থলবন্দর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্থলপথে পরিবহনে সময় ও খরচ কম পড়ে। বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে ভারতে রপ্তানির প্রায় ৮০ শতাংশই এ পথে হয়ে থাকে। গত ১০ মাসে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ১২ হাজার ৮১১ কোটি টাকার পণ্য রপ্তানি হয়েছে, যার মধ্যে ৮ হাজার কোটি টাকার বেশি ছিল তৈরি পোশাক।

তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, এই নিষেধাজ্ঞা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। স্থলবন্দরে আটকে থাকা পণ্য, উৎপাদনাধীন অর্ডার এবং খোলা এলসি—সবই আর্থিক ক্ষতি ও সুনামহানির ঝুঁকিতে রয়েছে।

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

অর্থনীতি এর সর্বশেষ খবর

অর্থনীতি - এর সব খবর



রে