ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

সরকারের প্রতি সহযোগিতা পুনর্বিবেচনার ইঙ্গিত বিএনপির

২০২৫ মে ২২ ১৮:৩৭:৪৬
সরকারের প্রতি সহযোগিতা পুনর্বিবেচনার ইঙ্গিত বিএনপির

ডুয়া ডেস্ক: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং তা নির্বাচন প্রক্রিয়ার পাশাপাশি একযোগে চালানো সম্ভব। তিনি আরও বলেন, যারা ফ্যাসিবাদী রাজনীতির ধারক এবং মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত, তাদের বিচারও অব্যাহত থাকবে।

বৃহস্পতিবার (২২ মে) বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. মোশাররফ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, সরকার ও সংশ্লিষ্ট মহল যদি বিএনপির বারবার দেওয়া প্রস্তাব ও পরামর্শ উপেক্ষা করে, তাহলে বিএনপি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি তাদের সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে কিনা, তা পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য হবে।

তিনি বলেন, একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায়িত্ব অন্তর্বর্তী সরকারের কাঁধে, অথচ কিছু উপদেষ্টার বক্তব্য ও কর্মকাণ্ড সেই নিরপেক্ষতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। বিতর্কিত উপদেষ্টাদের অপসারণের দাবি জানিয়ে মোশাররফ বলেন, তাদের উপস্থিতি সরকারের নিরপেক্ষ অবস্থানকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।

তিনি অভিযোগ করেন, সরকারের মুখপাত্র হিসেবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেছেন, এই সরকারের সবকিছু করার ম্যান্ডেট আছে, যা স্পষ্টভাবে সংবিধান পরিপন্থী এবং সরকারের সীমাবদ্ধতা অমান্য করার শামিল।

চট্টগ্রাম বন্দর ও মানবিক করিডর সংক্রান্ত সরকারের কর্মকাণ্ড নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। বলেন, জাতীয় স্বার্থে এসব দীর্ঘমেয়াদি সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত নির্বাচিত সরকার ও জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে।

মোশাররফ হোসেন দাবি করেন, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে নতুন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িতদের অপসারণ করতে হবে। একইসঙ্গে তিনি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার সাম্প্রতিক বক্তব্যকে বিতর্কিত উল্লেখ করে তাকে অপসারণের আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, একটি নির্বাচনই যখন সরকারের মূল কাজ, তখন বড় আকারের উপদেষ্টা পরিষদের প্রয়োজন নেই। বরং ছোট ও রুটিন কাজ পরিচালনাকারী একটি পরিষদই যথেষ্ট।

বিএনপি নেতা আরও বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি ‘সংস্কার সনদ’ তৈরির প্রক্রিয়া চলতে থাকা সত্ত্বেও নির্বাচন কমিশন ঘেরাও কর্মসূচি গ্রহণ করা বিব্রতকর।

স্থানীয় সরকার নির্বাচন ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ইশরাক হোসেন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আদালতের রায় অনুযায়ী গেজেট প্রকাশিত হওয়ার পরও সরকার শপথ করাচ্ছে না, যা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বড় অন্তরায়।

তিনি জানান, নির্বাচন কমিশনের মূল দায়িত্ব জাতীয় ও রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আয়োজন করা। এর বাইরে স্থানীয় নির্বাচন নিয়ে আন্দোলনের পেছনে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসাব থাকতে পারে।

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে