ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২
স্বচ্ছতা ফেরাতে নতুন উদ্যোগ নিলো চবি প্রশাসন
.jpg)
ডুয়া ডেস্ক: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগে আগে থেকে অভিযোগ ছিলো স্বচ্ছতার অভাব নিয়ে। বিশেষ করে সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতারের সময়কালে বিভিন্ন নিয়োগ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছিল। তার সময়কালে নিয়োগ ছিল বাণিজ্য বা দলীয় প্রভাবিত এবং অনেক ক্ষেত্রে নিয়োগের আগে কোনো সুষ্ঠু পরীক্ষা বা বিজ্ঞপ্তি প্রদান করা হয়নি। তবে নতুন প্রশাসন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। যেমন: লিখিত পরীক্ষা, কম্পিউটার দক্ষতা পরীক্ষা ও মৌখিক পরীক্ষা।
সম্প্রতি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগের জন্য আবেদন আহ্বান করা হয়েছিল। এতে ৬টি পদে ৭২৫ জন প্রার্থী আবেদন করেন, এর মধ্যে প্রায় ৪৫০ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। নিয়োগ প্রক্রিয়ার তিনটি ধাপে পরীক্ষা নেয়া হবে। প্রথম ধাপে ৭ মার্চ সমাজবিজ্ঞান অনুষদে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষার কিছু সময় আগে প্রশ্ন ডিজাইন ও প্রিন্ট করা হয়েছিল যা নিয়ে কিছু প্রশ্ন উঠেছে। দ্বিতীয় ধাপে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের জন্য কম্পিউটার দক্ষতার পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে এবং তৃতীয় ধাপে মৌখিক পরীক্ষা হবে। শেষে ভাইভার মাধ্যমে চূড়ান্ত নিয়োগ দেওয়া হবে।
বর্তমান প্রশাসন বলছে, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় পুরোপুরি স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে তারা পদক্ষেপ নিচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এ ধরনের সুষ্ঠু এবং স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু করেছেন। তবে ভবিষ্যতে এই প্রক্রিয়া কতটা স্বচ্ছ হবে তা দেখার বিষয়।
সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার তার মেয়াদে প্রায় সাড়ে ৫০০ শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দেন। তবে এ নিয়োগগুলোর অধিকাংশই ছিল বিতর্কিত। তার মেয়াদের শেষদিকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল ৪৪ জন তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী, যাদের দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। তবে বর্তমান প্রশাসন এর বিপরীতে স্বচ্ছ এবং সুষ্ঠু নিয়োগের উদ্যোগ নিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন বলেন, "আগের প্রশাসন গোপনে এবং প্রভাব খাটিয়ে নিয়োগ দিত। তবে বর্তমান প্রশাসন যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ দিতে চায়। পরীক্ষার মাধ্যমে দক্ষ কর্মচারী নিয়োগ করা হবে এবং কোনো তদবির বা অন্য কোনো ধরনের প্রভাব এ প্রক্রিয়ায় স্থান পাবে না।"
এছাড়া নিয়োগ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে কম্পিউটার দক্ষতা এবং টাইপিং স্পিড পরীক্ষা করার কথা বলা হয়েছে যাতে নিশ্চিত করা যায় যে নিয়োগপ্রাপ্তরা কাজের জন্য যথাযথভাবে দক্ষ। এই প্রক্রিয়া সম্পর্কে সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ আরো স্বচ্ছ এবং নিরপেক্ষ হবে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- লাভেলোর শেয়ার কারসাজি: তিন বিও অ্যাকাউন্টের লেনদেন স্থগিত
- সরকারের সিদ্ধান্তে ডুবছে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের স্বপ্ন?
- ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড কার্যকারিতায় বিএসইসির নতুন উদ্যোগ
- শেয়ারবাজারে ইতিহাস গড়লেন ‘ছাগল-কাণ্ডের’ সেই মতিউর
- একাদশে ভর্তি: চতুর্থ ধাপে আবেদনের সুযোগ
- শেয়ারবাজারে প্রতারণা ঠেকাতে মাঠে নামছে গোয়েন্দা সংস্থা
- শেয়ারবাজারে ধারাবাহিক মুনাফা চান? জেনে নিন ৫ মন্ত্র
- ডিভিডেন্ড বৃদ্ধির আলোচনায় জ্বালানি খাতের ১১ কোম্পানি
- আরএসআই বিশ্লেষণে সর্বোচ্চ সতর্ক সংকেত পাঁচ শেয়ারে
- মালিকানায় পরিবর্তন আসছে ইয়াকিন পলিমারের
- এক শেয়ারের জোরেই সবুজে ফিরল শেয়ারবাজার
- ডিভিডেন্ড দোলাচলে তথ্যপ্রযুক্তির ৮ কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- সোনালী পেপারের কারসাজিতে জেনেক্স ইনফোসিসের পরিচালকদের জরিমানা
- চার কোম্পানির আর্থিক অনিয়মের দায়ে নিষিদ্ধ হচ্ছে ৬ নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান
- শেয়ার কারসাজিতে শ্যালক–দুলাভাইর দেড় কোটি টাকা জরিমানা