ঢাকা, সোমবার, ৪ আগস্ট ২০২৫, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২
করেন না কাজ, ৩ বছর ধরে নিচ্ছেন বেতন

ডুয়া ডেস্ক: রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. ওয়াজেদ রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তারা অফিসে অনিয়মিত এবং তেমন কোনো কাজ ছাড়াই তিন বছর ধরে মাসিক বেতন পাচ্ছেন। সংশ্লিষ্টদের মতে পরিস্থিতি এমন যেন “অফিসও করব না, বেতন নিতেও ছাড়ব না।”
এই বিষয়ে তদন্ত করতে গেলে সাংবাদিকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের সামনে আসলে তারা তাদের বিরুদ্ধে প্রশ্ন করার পরিবর্তে চড়াও হন। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালে ড. ওয়াজেদ রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের গবেষক ভর্তির অনুমোদন না পাওয়ার পর থেকে তিন বছর ধরে ইনস্টিটিউটের কার্যক্রম প্রায় বন্ধ হয়ে আছে।
গত রোববার অফিসে গেলে সকাল সাড়ে ৯টা এবং বেলা ৩টায় একজন কর্মকর্তা ছাড়া কেউ অফিসে ছিলেন না। পরদিন সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় কয়েকজন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। তবে তাদের দেখে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তারা রেগে গিয়ে একত্র হয়ে তেড়ে আসেন। এই সময় কর্মকর্তাদের মধ্যে রোকনুজ্জামান রোকন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে বলেন, “আপনারা এসব দেখাশোনার কে, আপনাদের যা কিছু বলার আমাদের পরিচালক ভিসি স্যারকে বলবেন। শিক্ষকরা দুই-একটা ক্লাস নিয়ে সেমিস্টার শেষ করে দেয়। আপনারা এসব দেখেন না! আর আমাদের নিয়ে পড়ে আছেন।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে গিয়ে জানা যায়, ইনস্টিটিউটে মোট সাতজন কর্মকর্তা, একজন কম্পিউটার অপারেটর এবং একজন এমএলএস এস কর্মরত আছেন। এর মধ্যে বেশিরভাগ কর্মকর্তারই কোনো গবেষণা কার্যক্রমের তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে ড. প্রসেনজিৎ সরকার ও সিনিয়র সায়েন্টিফিক অফিসার আবু সায়েমের দু-একটি গবেষণামূলক আর্টিকেল পাওয়া গেছে।
একটি সূত্রে জানা যায়, এই ইনস্টিটিউটের বেশিরভাগ কর্মকর্তা নিয়মিত অফিসে আসেন না এবং গবেষণায় মনোযোগী নন। অধিকাংশই ব্যক্তিগত কাজে ব্যস্ত। অন্য দপ্তরে যেখানে কর্মীর অভাব সেখানে এমন পরিস্থিতি বেশ অস্বাভাবিক। একজন কর্মকর্তা বলেন, “তিন বছর ধরে কোনো কার্যক্রম ছাড়াই এভাবে এত কর্মকর্তা বসিয়ে বেতন দেওয়াটা যেন 'অফিসও করব না, বেতন নিতেও ছাড়ব না' কথারই বাস্তবায়ন।”
এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। তিনি বলেন, “কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অফিস না করার অভিযোগ আগেও উঠেছে। তখন আমরা তাদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছি। তবে প্রকাশনা ছাড়া তারা কীভাবে রিসার্চের দপ্তরে জয়েন করেছেন, এটা আমার প্রশ্ন। বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য রেজিস্টারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।”
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ৩ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভার নবম সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ড. ওয়াজেদ রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১১ সালের ৩ নভেম্বর ২০তম সিন্ডিকেট সভায় এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রি প্রদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং ২০১২ সালের ৭ মার্চ একটি জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এমফিল এবং পিএইচডি ভর্তি কার্যক্রম শুরু করা হয়।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- শেয়ারবাজারে আসছে রাষ্ট্র ও বহুজাতিক ১৫ কোম্পানি
- ভারতে ঢাবির দুই ছাত্রীর ছবি নিয়ে তোলপাড়, ক্ষোভ
- ১১'শ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দিবে ঘুড্ডি ফাউন্ডেশন
- দ্বিতীয় প্রান্তিকের ইপিএস প্রকাশ করেছে ১৪ কোম্পানি
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স
- ডিএনসিসির শিক্ষাবৃত্তি পাবে ২ হাজার শিক্ষার্থী
- স্কয়ার ফার্মার বাজার মূলধনে নতুন মাইলফলক
- শেয়ারবাজারে বড়দের দাপট, ছোটদের পিছুটান
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ৪ প্রতিষ্ঠান
- ডিভিডেন্ড পেল দুই কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ৭ প্রতিষ্ঠান
- বিকালে আসছে ১০ কোম্পানির ইপিএস
- বিকালে আসছে ২১ কোম্পানির ইপিএস
- নতুন সিনেট সদস্য হলেন ঢাবির ৫ অধ্যাপক
- শিবলী রুবাইয়াত ও শেখ শামসুদ্দিন শেয়ারবাজারে অবাঞ্ছিত ঘোষণা