ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৪ আশ্বিন ১৪৩২
ভারতের সাথে নতুন সম্পর্ক তৈরির যাত্রা সৃষ্টি হয়েছে ৩৬ জুলাই

ঢাবি প্রতিনিধি: ইন্টারন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব ল অ্যান্ড ডিপ্লোম্যাসি) এর পরিচালক শফিউল আলম শাহীন বলেন, ভারতের সাথে নতুন সম্পর্ক তৈরির যাত্রা সৃষ্টি হয়েছে ৩৬ জুলাই।
তিনি আরো বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ভারত বাংলাদের জনগোষ্ঠীর সাথে সম্পর্ক তৈরির পরিবর্তে দল কিংবা ব্যক্তির সাথে সম্পর্ক তৈরি করেছে। যে কারণে শেখ হাসিনার পতনের পর ভারত মাইনোরিটি কার্ড খেলে তার স্বার্থ রক্ষার চেষ্টা করছে। সর্বোপরি তিনি ভারতেকে দল ভিত্তিক কিংবা ব্যক্তিভিত্তিক সম্পর্ক তৈরির নীতি থেকে বেরিয়ে দেশের জনগোষ্ঠীর সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের উপর জোর দেন।
রোববার ন্যারেটিভের উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরসি মজুমদার অডিটোরিয়ামে "জুলাই গণঅভুত্থ্যান পরবর্তী বাংলাদেশ: প্রসঙ্গ ভারত" এই শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ওবায়দুল হক। তিনি বলেন, জুলাই পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের নীতি কী হওয়া উচিত সেটা বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের মূল চিন্তার কারণ হচ্ছে তার নর্থ ইস্ট অঞ্চলের নিরাপত্তা। এ চিন্তাকে কেন্দ্র করে ভারত ক্লাসিকাল ফ্রেমওয়ার্ককে ব্যবহার করেছে এবং সেটার পুনরাবৃত্তি করেই তারা বাংলাদেশ নিয়ে তাদের পররাষ্ট্রনীতি প্রয়োগ কররা চেষ্টা করে।
তিনি আরো বলেন, যেহেতু জুলাই আন্দোলনের মাধ্যম তার বড় পরাজয় হয়েছে সেক্ষেত্রে ভারতকে বাংলাদেশের বিষয়গুলোকেই ভালোভাবেই অনুধাবন করতে হবে।
মুক্তিযুদ্ধের বিজয় আমাদের একান্তই নিজের অর্জন; কারো দয়া নয়। যুদ্ধের পরে ভারতে একটা সুযোগ ছিলো বাংলাদেশের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরীর। কিন্তু তারা এ বিষয়ে সবসময়ই উদাসীন ছিলো। তারা রাষ্ট্র লেভেলে সম্পর্ক তৈরী না করে একটি নির্দিষ্ট দলের সাথে করেছে; যার ফলে রাষ্ট্র হিসাবে বাংলাদেশের সাথে তাদের সম্পর্ক ভালো হয়ে উঠে নাই।
ভারত বাংলাদেশের অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের সাথে সম্পর্কে যেতে চায় না। তারা পলিটিকাল সরকারের সাথে যেতে চায়। তার কারণ, তারা বাংলাদেশের মানুষকে চিরদিনের জন্য হারিয়েছে। এই কারণ, তারা মূলত হাসিনার মতো কোনো রেজিমের সাথেই কমফোর্টেবল ফিল করে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের অনেকগুলা বার্গেনিং পাওয়ার বা ল্যাভার্যাজিং পয়েন্ট আছে যেগুলাকে ব্যবহার করে আমরা উইন-উইন একটা সম্পর্ক তৈরী করতে পারি।
বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক নায়েল রহমান তার আলোচনায় বলেন, বাংলাদেশের ভারতনীতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের স্বার্থ উপযোগী পররাষ্ট্র নীতি তৈরি করতে হলে দেশের প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের স্বার্থ এবং জাতীয় স্বাথর্কে সমন্বয় করতে হবে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- লাভেলোর শেয়ার কারসাজি: তিন বিও অ্যাকাউন্টের লেনদেন স্থগিত
- সরকারের সিদ্ধান্তে ডুবছে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের স্বপ্ন?
- ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড কার্যকারিতায় বিএসইসির নতুন উদ্যোগ
- শেয়ারবাজারে ইতিহাস গড়লেন ‘ছাগল-কাণ্ডের’ সেই মতিউর
- শেয়ারবাজারে হঠাৎ দরপতন, নেপথ্যে এনবিআরের চিঠি
- একাদশে ভর্তি: চতুর্থ ধাপে আবেদনের সুযোগ
- শেয়ারবাজারে প্রতারণা ঠেকাতে মাঠে নামছে গোয়েন্দা সংস্থা
- শেয়ারবাজারে ধারাবাহিক মুনাফা চান? জেনে নিন ৫ মন্ত্র
- ডিভিডেন্ড বৃদ্ধির আলোচনায় জ্বালানি খাতের ১১ কোম্পানি
- আরএসআই বিশ্লেষণে সর্বোচ্চ সতর্ক সংকেত পাঁচ শেয়ারে
- মালিকানায় পরিবর্তন আসছে ইয়াকিন পলিমারের
- এক শেয়ারের জোরেই সবুজে ফিরল শেয়ারবাজার
- ডিভিডেন্ড দোলাচলে তথ্যপ্রযুক্তির ৮ কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- সোনালী পেপারের কারসাজিতে জেনেক্স ইনফোসিসের পরিচালকদের জরিমানা
- চার কোম্পানির আর্থিক অনিয়মের দায়ে নিষিদ্ধ হচ্ছে ৬ নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান