ঢাকা, বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

শেয়ার কারসাজি: সাকিবসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্তে সময় বাড়লো

২০২৫ নভেম্বর ২৬ ২০:০৮:২১

শেয়ার কারসাজি: সাকিবসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্তে সময় বাড়লো

নিজস্ব প্রতিবেদক: ক্রিকেট তারকা সাকিব আল হাসানসহ মোট ১৫ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে শেয়ারবাজার কারসাজির মাধ্যমে শত কোটি টাকা আত্মসাৎ এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দায়ের করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী বছরের ৩ মার্চ নতুন তারিখ নির্ধারণ করেছেন আদালত। পূর্বনির্ধারিত তারিখে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) প্রতিবেদন জমা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় আদালত তাদের আরও চার মাস সময় মঞ্জুর করেছেন।

বুধবার (২৬ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ সাব্বির ফয়েজের আদালত এ দিন ধার্য করেন। দুদকের প্রসিকিউশন বিভাগের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গত ১৭ মে দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন এই মামলাটি দায়ের করেন। এর প্রেক্ষিতে, গত ১৬ জুন আদালত জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।

এই মামলার অন্যান্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সমবায় অধিদপ্তরের উপ-নিবন্ধক আবুল খায়ের এবং তার স্ত্রী কাজী সাদিয়া হাসান, আবুল কালাম মাদবর, কনিকা আফরোজ, মোহাম্মদ বাশার, সাজেদ মাদবর, আলেয়া বেগম, কাজী ফুয়াদ হাসান, কাজী ফরিদ হাসান, জাভেদ এ মতিন, জাহেদ কামাল, হুমায়ূন কবির ও তানভির নিজাম।

মামলার এজাহার অনুযায়ী, অভিযুক্তরা একটি সংঘবদ্ধ চক্র হিসেবে নিজেদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিও (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স) অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে শেয়ারবাজারে কারসাজি করতেন। তারা অনৈতিক ও অবৈধ উপায়ে ফাটকা লেনদেন, প্রতারণামূলক সক্রিয় লেনদেন এবং কৃত্রিমভাবে শেয়ারের দাম বাড়িয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের প্রলুব্ধ করে বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে ঠেলে দেন। এই প্রক্রিয়ায় চক্রটি মোট ২৫৬ কোটি ৯৭ লাখ ৭০ হাজার ৩০৪ টাকারও বেশি আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।

এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, প্রধান আসামি মো. আবুল খায়ের (হিরু) শেয়ারবাজার থেকে উত্তোলন করা অর্থের মধ্যে ২৯ কোটি ৯৪ লাখ টাকারও বেশি তার স্ত্রী কাজী সাদিয়া হাসানের সহায়তায় বিভিন্ন খাতে স্থানান্তর করে মানি লন্ডারিং করেছেন। তার ১৭টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে মোট ৫৪২ কোটি টাকার বেশি ‘অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক’ লেনদেনের কথাও এজাহারে উল্লেখ আছে।

অভিযোগে বলা হয়েছে, সাকিব আল হাসান আবুল খায়েরের কারসাজি করা তিনটি কোম্পানি— প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স, ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স এবং সোনালী পেপারসের শেয়ারে বিনিয়োগ করেন এবং বাজার কারসাজিতে ‘সক্রিয় ভূমিকা’ পালন করেন। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের প্রলুব্ধ করার পর তিনি নিজে ২ কোটি ৯৫ লাখ টাকা ‘রিয়ালাইজড ক্যাপিটাল গেইন’ হিসেবে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

এমজে/

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত