ঢাকা, রবিবার, ১০ আগস্ট ২০২৫, ২৬ শ্রাবণ ১৪৩২
বাংলাদেশ নিয়ে আইসিজির প্রতিবেদন, যা জানা গেল

ডুয়া ডেস্ক : ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ (আইসিজি) জানিয়েছে, শেখ হাসিনার সরকার পতনের মধ্য দিয়ে সাংবিধানিক, নির্বাচনব্যবস্থার, প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক সংস্কারের সুযোগ সৃষ্টি হয়। এরপর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে। প্রথমে এই সরকারের প্রতি যে সমর্থন ছিল, তা কমে আসতে শুরু করেছে। এই সরকার ক্ষমতায় এসে সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তার ফলাফল যাতে আসে সে জন্য চাপে আছে সরকার।
বাংলাদেশের গণতন্ত্রের পথ সুগম করতে এবং সংস্কারে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও এর সদস্যদেশগুলো কী পদক্ষেপ নিতে পারে, এ বিষয়ক এক প্রতিবেদনে আইসিজির পক্ষ থেকে এসব কথা বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) আইসিজি এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
আইসিজি বলেছে, বাংলাদেশে নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, সরকারের ওপর চাপ বাড়ছে সংস্কারের কাজ শেষ করার। সংস্থাটির বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই পরিস্থিতিতে গণতন্ত্রের পথে নতুন যাত্রায় বাংলাদেশকে সাহায্য করতে পারে ইইউ এবং এর সদস্যরা।
প্রতিবেদনে সরকারের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে আইসিজি বলেছে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক শক্তিগুলোর মধ্যে ফাটল দেখা দিয়েছে, তা সামাল দিতেই শুধু সরকার হিমশিম খাচ্ছে না, দিন দিন সরকার জনগণের সমালোচনার মুখেও পড়ছে।
আইসিজির পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, আগামী বছর সরকারের চ্যালেঞ্জ আরও বাড়বে। এর কারণ হিসেবে বলছে, নির্বাচনের মাঠে বিএনপিসহ ইসলামি দল, ছাত্রনেতাসহ অন্যরা এই সময় সোচ্চার হবে। সরকার আরেকটি কারণে চ্যালেঞ্জের মুখে থাকবে। সেটি হলো প্রতিবেশী দেশ ভারত। এই দেশটি শেখ হাসিনাকে শেষ দিন পর্যন্ত সমর্থন দিয়ে গেছে। ফলে দেশে স্থিতিশীলতা ধরে রাখার ক্ষেত্রে ভারতের চ্যালেঞ্জের মুখেও পড়তে হবে সরকারকে।
ইইউ ও সদস্যদেশগুলোর উদ্দেশে আইসিজি বলেছে, তাদের উচিত বাংলাদেশে উচ্চপর্যায়ের সফর আয়োজন করা ও অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কারকাজে সমর্থনের ওপর জোর দেওয়া অব্যাহত রাখা, যাতে দেশের অভ্যন্তরে ইউনূস সরকারের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয় এবং তার কর্মসূচি ক্ষুণ্ন করতে চাওয়া শক্তিগুলো দুর্বল হয়। নতুন অংশীদারি প্রতিষ্ঠা ও সহযোগিতামূলক চুক্তি করার চেষ্টাও অব্যাহত রাখতে হবে ইইউকে।
এ ছাড়া আইসিজি মনে করে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের রাজনৈতিক, প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক সংস্কার কর্মসূচিকে কারিগরি এবং আর্থিকভাবে সমর্থন দেওয়া দরকার। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলো শক্তিশালী করা, শাসনব্যবস্থার উন্নয়ন ও মানবাধিকার রক্ষাসহ বেশ কিছু ক্ষেত্রে সহায়তা দিতে পারে ইইউ। এ জোটের উচিত হবে নির্বাচনগুলো পর্যবেক্ষণে একটি নির্বাচনী পর্যবেক্ষক মিশন পাঠানো।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- শেয়ারবাজারে আসছে রাষ্ট্র ও বহুজাতিক ১৫ কোম্পানি
- ডিভিডেন্ড দিতে পারছে না বস্ত্র খাতের ১৩ কোম্পানি
- ‘এ’ ক্যাটাগরিতে ফিরেছে আর্থিক খাতের কোম্পানি
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- ক্যাশ ডিভিডেন্ড পেল দুই কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- সর্বোচ্চ উচ্চতায় ১৭ কোম্পানির শেয়ার
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ৭ প্রতিষ্ঠানের ডিভিডেন্ড-ইপিএস
- গেস্ট হাউজ থেকে সাবেক সেনাপ্রধান হারুনের মরদেহ উদ্ধার
- চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে দুই কোম্পানির বাজিমাত
- রবির অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তের মুখে গ্রামীণফোন
- ছাত্ররাজনীতি থাকবে কিন্তু কাঠামোগত পরিবর্তন আনতে হবে: বাগছাস
- অতর্কিত ঢাবি ও জবির ৪ শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাত
- শেখ সেলিমের ২১টি বিও অ্যাকাউন্ট ও ৩৫টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
- আ’লীগকে ফিরিয়ে আনার অপচেষ্টায় বামপন্থীরা: ঢাবি শিবির