ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর ২০২৫, ২১ কার্তিক ১৪৩২

দেশে বিনিয়োগে আগ্রহী স্ন্যাপচ্যাটের সাবেক সিএসও

২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৯ ১১:৫৮:৪২

দেশে বিনিয়োগে আগ্রহী স্ন্যাপচ্যাটের সাবেক সিএসও

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের ফিনটেক ও উদীয়মান খাতে বিনিয়োগের আগ্রহ জানিয়েছেন স্ন্যাপচ্যাটের সাবেক চিফ স্ট্র্যাটেজি অফিসার (সিএসও) ও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন বিনিয়োগকারী ইমরান খান।

রাজধানীতে সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এই আগ্রহ প্রকাশ করেন।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের পাঠানো বার্তায় জানানো হয়, বৈঠকে অধ্যাপক ইউনূস দেশের ফিনটেক, স্বাস্থ্যসেবা ও সামাজিক ব্যবসা খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান। এ সময় ইমরান খান বলেন, জন্মভূমিতে বিনিয়োগের জন্য এখনই সঠিক সময় এবং ইউনূসের আজীবন দারিদ্র্য দূরীকরণ প্রচেষ্টা তাকে গভীরভাবে অনুপ্রাণিত করেছে।

ইমরান খান অধ্যাপক ইউনূসকে উদ্দেশ করে বলেন, “আমি আপনার কাজের একজন বড় ভক্ত। আপনি আমাদের সবার জন্য জাতীয় গর্ব।” তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে অবদান রাখার আগ্রহের পেছনে ইউনূসের প্রভাবই মূল চালিকাশক্তি।

১৮ বছর বয়সে যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে যাওয়া ইমরান খান প্রযুক্তি খাতে দ্রুত নিজের অবস্থান তৈরি করেন। জেপি মরগান ও ক্রেডিট সুইসের প্রাক্তন বিনিয়োগ ব্যাংকার হিসেবে তিনি আলিবাবার রেকর্ডব্রেকিং আইপিওতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। পরে স্ন্যাপচ্যাটে যোগ দিয়ে মাত্র কয়েক মাসের মধ্যে কোম্পানিটির মূল্য ০ থেকে ৭২৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করার কৃতিত্ব অর্জন করেন।

খান বর্তমানে প্রোয়েম অ্যাসেটের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও। ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিনিয়োগ সংস্থা মূলত প্রযুক্তি-নির্ভর খাত, বিশেষ করে ফিনটেক ও ডিজিটাল অবকাঠামোতে বিনিয়োগ করে।

বৈঠকে তিনি জানান, গত বছরের আগস্টে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তিনি বাংলাদেশের বিনিয়োগ পরিবেশ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। তার মতে, বর্তমানে নিয়ন্ত্রক পরিবেশ অনেকটাই বিনিয়োগবান্ধব হয়ে উঠেছে। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ ফ্রন্টিয়ার মার্কেট। এখানে তরুণ জনগোষ্ঠী ও ফিনটেক খাতে প্রবৃদ্ধির বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে।”

অধ্যাপক ইউনূস ইমরান খানকে আগামী মাসগুলোতে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান, যা তিনি সানন্দে গ্রহণ করেন। ইউনূস বলেন, “বাংলাদেশের তরুণদের আপনার মতো আদর্শ ব্যক্তিত্বের প্রয়োজন। দেশে ফিরে আসার এ সময়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনি একটি নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করতে পারেন।”

এ সময় প্রধান উপদেষ্টা প্রস্তাব করেন, শীর্ষ মার্কিন বিনিয়োগকারীরা যেন তাদের বিনিয়োগের এক শতাংশ সামাজিক ব্যবসা তহবিলে বরাদ্দ করেন। ইমরান খান এ প্রস্তাবকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানান এবং ভবিষ্যতে সমর্থনের আশ্বাস দেন।

এমজে

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত