ঢাকা, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২ আশ্বিন ১৪৩২
মেয়াদের মধ্যেই সাত কলেজ নিয়ে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়, কার্যক্রম শুরুর লক্ষ্যে সরকার
.jpg)
রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী সাত সরকারি কলেজকে একত্র করে একটি নতুন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের পরিকল্পনা নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজের নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি ইতোমধ্যে এই লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছে। সরকারের ইচ্ছা এই মেয়াদের মধ্যেই ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাকেবি)’ নামের এই প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করানো।
বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্যরা জানিয়েছেন, তাঁরা ধাপে ধাপে কাজ সম্পন্ন করছেন। প্রথম অগ্রাধিকার হিসেবে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্থগিত ভর্তি কার্যক্রম দ্রুত শুরু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। চলতি মাসেই এ কার্যক্রম চালু হবে বলে জানা গেছে। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রমও চলবে।
যদিও চার মাস মেয়াদি কমিটির কার্যকাল ২৯ এপ্রিল শেষ হয়ে গেছে তবুও প্রয়োজনীয় কাজ এখনো সম্পন্ন হয়নি। ফলে কমিটির মেয়াদ বাড়ানোর পাশাপাশি আরও শিক্ষাবিশেষজ্ঞ অন্তর্ভুক্তির চিন্তা করা হচ্ছে যাতে কাজটি নির্ভুলভাবে এবং দ্রুত শেষ করা যায়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি বাতিলের পর সাত কলেজ পরিচালনায় অন্তর্বর্তী প্রশাসক হিসেবে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াসকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন কলেজগুলোকে কার্যকরভাবে পরিচালনার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের প্রক্রিয়াও সমান গুরুত্ব দিয়ে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘সাত কলেজকে ঘিরে একটি স্থায়ী, আইনানুগ ও স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কাজ এগিয়ে চলছে। এর মাধ্যমে শুধু প্রশাসনিক সংস্কার নয় বরং শিক্ষার মানোন্নয়ন, সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে উন্নয়ন নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।’
শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই প্রক্রিয়া বিলম্ব হওয়ায় উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। ১৭ মে এক সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা সরকারের কাছে অধ্যাদেশ জারির জন্য এক মাস সময় বেঁধে দিয়েছিলেন যা ১৬ জুন শেষ হয়েছে। এখনও দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ না থাকায় শিক্ষার্থীরা আবার আন্দোলনে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
ইতোমধ্যে ইউজিসি একটি নাম, লোগো এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের গঠনতন্ত্রের একটি খসড়া তৈরি করেছে। এটি বর্তমানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে রয়েছে যেখানে উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরারের মতামতের ভিত্তিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
অধ্যাপক ইলিয়াস বলেন, ‘আমাদের সামনে দুটি বড় কাজ—বর্তমান কলেজ ব্যবস্থাপনা সচল রাখা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়া। দুটি কাজই সমন্বয় করে দ্রুততার সঙ্গে করতে হবে।’
ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফায়েজও আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, ‘ভর্তি কার্যক্রম দ্রুত শুরু করবো এবং এরপর শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আবার আলোচনা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিষয়টি এগিয়ে নেওয়া হবে।’
এই উদ্যোগ সফল হলে দেশের অন্যান্য ঐতিহ্যবাহী কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবস্থার ওপরও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- লাভেলোর শেয়ার কারসাজি: তিন বিও অ্যাকাউন্টের লেনদেন স্থগিত
- সরকারের সিদ্ধান্তে ডুবছে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের স্বপ্ন?
- ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড কার্যকারিতায় বিএসইসির নতুন উদ্যোগ
- একাদশে ভর্তি: চতুর্থ ধাপে আবেদনের সুযোগ
- শেয়ারবাজারে প্রতারণা ঠেকাতে মাঠে নামছে গোয়েন্দা সংস্থা
- শেয়ারবাজারে ধারাবাহিক মুনাফা চান? জেনে নিন ৫ মন্ত্র
- আরএসআই বিশ্লেষণে সর্বোচ্চ সতর্ক সংকেত পাঁচ শেয়ারে
- মালিকানায় পরিবর্তন আসছে ইয়াকিন পলিমারের
- ডিভিডেন্ড বৃদ্ধির আলোচনায় জ্বালানি খাতের ১১ কোম্পানি
- এক শেয়ারের জোরেই সবুজে ফিরল শেয়ারবাজার
- ডিভিডেন্ড দোলাচলে তথ্যপ্রযুক্তির ৮ কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- শেয়ার কারসাজিতে শ্যালক–দুলাভাইর দেড় কোটি টাকা জরিমানা
- রেকর্ড ডেটে শেয়ার লেনদেন চালুর পরিকল্পনা ডিএসইর
- ধস কাটিয়ে অবশেষে শেয়ারবাজারে উত্থানের স্রোত
- উৎপাদন বাড়াতে নতুন যন্ত্রপাতিতে বিনিয়োগ করছে দুই কোম্পানি