ঢাকা, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

২৪ রাজনীতিবিদের সেনানিবাসে আশ্রয়

২০২৫ মে ২৩ ১৫:৩৯:১১
২৪ রাজনীতিবিদের সেনানিবাসে আশ্রয়

ডুয়া নিউজ: ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করেন। ওই সময় দেশজুড়ে সহিংসতা ও রাজনৈতিক অস্থিরতা চরমে পৌঁছায়। প্রাণনাশের আশঙ্কায় তৎকালীন জাতীয় সংসদের স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, বিভিন্ন পর্যায়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং রাজনৈতিক নেতাসহ মোট ৬২৬ জন ব্যক্তি দেশের বিভিন্ন সেনানিবাসে আশ্রয় নেন।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) রাতে এক বিবৃতিতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এ তথ্য জানায়।

বিবৃতিতে বলা হয়, আশ্রয়প্রাপ্তদের মধ্যে ছিলেন ২৪ জন রাজনীতিক, ৫ জন বিচারক, ১৯ জন বেসামরিক প্রশাসনিক কর্মকর্তা, ৫১৫ জন পুলিশ সদস্য, ১২ জন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং তাদের পরিবারের ৫১ জন সদস্য (স্ত্রী ও সন্তান)।

আইএসপিআর জানায়, প্রাণনাশের ঝুঁকিতে থাকা এসব মানুষকে আশ্রয় দেওয়ার মূল উদ্দেশ্য ছিল মানবিক সহায়তা। ওই সময়ে কেবল মানবিক দায়বদ্ধতা থেকেই সেনাবাহিনী এই আশ্রয়ের ব্যবস্থা করে।

পরিস্থিতির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে অধিকাংশ ব্যক্তি এক থেকে দুই দিনের মধ্যেই নিজ উদ্যোগে সেনানিবাস ত্যাগ করেন। তবে ৫ জনকে তাদের বিরুদ্ধে থাকা নির্দিষ্ট অভিযোগ ও মামলার ভিত্তিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়।

আইএসপিআর-এর ভাষ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ১৮ আগস্ট এ বিষয়ে একটি আনুষ্ঠানিক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় এবং একই দিনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ১৯৩ জনের একটি তালিকাও পাঠানো হয়। ওই তালিকায় সাধারণ ৪৩২ জন পুলিশ সদস্য এবং একজন এনএসআই কর্মকর্তার নাম অন্তর্ভুক্ত ছিল না। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, বিষয়টি তখনই মীমাংসিত হয়েছিল।

সেনানিবাসে আশ্রয় নেওয়া উল্লেখযোগ্য রাজনীতিকরা:১. জুনায়েদ আহমেদ পলক – সাবেক আইসিটি মন্ত্রী২. সায়েদুল হক সুমন – তৎকালীন সংসদ সদস্য৩. শিরীন শারমিন চৌধুরী – সাবেক স্পিকার৪. নাজমা আকতার – তৎকালীন সংসদ সদস্য৫. সামসুল হক টুকু – সাবেক ডেপুটি স্পিকার৬. ছোট মনির – তৎকালীন সংসদ সদস্য৭. ইকবালুর রহিম – তৎকালীন সংসদ সদস্য৮. শাজাহান খান – সাবেক সংসদ সদস্য৯. রাগিবুল আহসান রিপু – তৎকালীন এমপি, বগুড়া-৬১০. এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন – তৎকালীন এমপি, বগুড়া-৪১১. এম এ লতিফ – তৎকালীন সংসদ সদস্য১২. কাজী নাবিল আহমেদ – সাবেক সংসদ সদস্য১৩. তালুকদার আবদুল খালেক – তৎকালীন মেয়র, খুলনা সিটি১৪. হাবিবুন নাহার – তৎকালীন এমপি, বাগেরহাট-৪১৫. মো. ইকরামুল হক টিটু – তৎকালীন মেয়র১৬. মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী – তৎকালীন মেয়র, সিলেট সিটি১৭. মো. আবু জাহির – তৎকালীন এমপি, হবিগঞ্জ-৩১৮. জিয়াউর রহমান বিপ্লব – কাউন্সিলর, বরিশাল সিটি১৯. এসএম রফিউদ্দিন আহমেদ – ওয়ার্ড কাউন্সিলর২০. এসএম ফয়সাল আহমেদ রানা – ওয়ার্ড কাউন্সিলর২১. শরিফ কামাল – তৎকালীন চেয়ারম্যান, মিঠামইন উপজেলা২২. মো. মাহবুব আলম – তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যান, মাদারগঞ্জ২৩. সুজন সাত্তার – এমপির ব্যক্তিগত সহকারী২৪. জাকির হাসান – তৎকালীন এসপি, বগুড়া (যদিও প্রশাসনিক পদে ছিলেন, তবে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার কারণে তালিকাভুক্ত)

আইএসপিআরের বিবৃতিতে সামগ্রিকভাবে বলা হয়েছে, মানবিক বিবেচনায় সীমিত সময়ের জন্য এ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছিল এবং এখন তা অতীতের একটি সমাপ্ত অধ্যায়।

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে