ঢাকা, সোমবার, ৪ আগস্ট ২০২৫, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২
ডাকসু নির্বাচন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের জরিপ: যা বলছেন শিক্ষার্থীরা
.jpg)
ডুয়া নিউজ: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৯৬ শতাংশ শিক্ষার্থী ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনকে সময়োপযোগী ও অত্যন্ত প্রয়োজনীয় মনে করছেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গঠিত পরামর্শক কমিটির অধীনে পরিচালিত এক অনলাইন জরিপে তারা এই মতামত দেন। এতে অংশ নেন ১,৭৪৩ জন শিক্ষার্থী, যারা প্রত্যেকেই নিজেদের প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইল ব্যবহার করে মত প্রকাশ করেন।
জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে প্রায় ৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থী মত দিয়েছেন যে, ২০২৫ সালের জুন মাসের মধ্যে ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে সেটি সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য হবে। এছাড়া ১৬ শতাংশ শিক্ষার্থী সেপ্টেম্বরের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনে সম্মতি দিয়েছেন এবং বাকি ৯ শতাংশ মনে করেন, নির্বাচন আরও এক বছর পরে হলেও সমস্যা নেই।
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেল ২৩ মার্চ জরিপটি শুরু করে এবং ৬ এপ্রিল এর ফলাফল পরামর্শক কমিটির কাছে হস্তান্তর করে। জরিপে শিক্ষার্থীরা ডাকসু সংক্রান্ত আটটি প্রশ্নে তাঁদের মতামত জানান।
ডাকসু নির্বাচন নিয়ে শিক্ষার্থীদের মতামত: জরিপের ফলাফল
জরিপে অংশ নেওয়া ৫২ শতাংশ শিক্ষার্থী মনে করেন, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য প্রশাসনের কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জরুরি। ১৮ শতাংশ শিক্ষার্থী চান পুরো নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় ডিজিটাল পদ্ধতি প্রয়োগ—ভোটগ্রহণ থেকে ফলাফল ঘোষণা পর্যন্ত। আর ১৪ শতাংশ শিক্ষার্থী চান একটি স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠনের পাশাপাশি ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সমঝোতা প্রতিষ্ঠা।
ভোটকেন্দ্র কোথায় হওয়া উচিতঅর্ধেকের বেশি অর্থাৎ ৫০ শতাংশ শিক্ষার্থীর মত, ভোটকেন্দ্র নির্ধারিত একাডেমিক ভবন যেমন কার্জন হল বা কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে হওয়া উচিত। ২৩ শতাংশ শিক্ষার্থী চান একাডেমিক ভবনের পাশাপাশি হলগুলোতেও ভোটকেন্দ্র থাকুক। আর ১৭ শতাংশ শিক্ষার্থী ভোটকেন্দ্র শুধুমাত্র হলে করার পক্ষে মত দিয়েছেন।
প্রার্থিতার যোগ্যতা কেমন হওয়া উচিত৪২ শতাংশ শিক্ষার্থীর মতে, প্রার্থীর নির্বাচনী সময় থেকে অন্তত এক বছর বৈধ ছাত্রত্ব থাকা বাধ্যতামূলক হওয়া উচিত। এছাড়া অন্যান্য প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে—নির্ধারিত ন্যূনতম সিজিপিএ, নির্দিষ্ট বয়সসীমা, এবং প্রার্থীর বিরুদ্ধে কোনো ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত না থাকা।
নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রক্রিয়া৬০ শতাংশ শিক্ষার্থী মনে করেন, শিক্ষক ও ছাত্র প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করা সবচেয়ে যুক্তিসঙ্গত হবে। তবে কিছু শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বা বাইরের নিরপেক্ষ সংস্থার মাধ্যমে কমিশন গঠনের পক্ষেও মত দিয়েছেন।
এই প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) এবং পরামর্শক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা বলেন, “শিক্ষার্থীদের ভাবনা জানা অত্যন্ত জরুরি। তাই এ জরিপের আয়োজন করা হয়েছে। এখান থেকে প্রাপ্ত তথ্য ও প্রস্তাবনা নির্বাচন আয়োজনের দায়িত্বে থাকা কমিশনের কাজে সহায়ক হবে বলে আমরা আশা করি।”
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- শেয়ারবাজারে আসছে রাষ্ট্র ও বহুজাতিক ১৫ কোম্পানি
- ভারতে ঢাবির দুই ছাত্রীর ছবি নিয়ে তোলপাড়, ক্ষোভ
- ১১'শ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দিবে ঘুড্ডি ফাউন্ডেশন
- দ্বিতীয় প্রান্তিকের ইপিএস প্রকাশ করেছে ১৪ কোম্পানি
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স
- ডিএনসিসির শিক্ষাবৃত্তি পাবে ২ হাজার শিক্ষার্থী
- স্কয়ার ফার্মার বাজার মূলধনে নতুন মাইলফলক
- শেয়ারবাজারে বড়দের দাপট, ছোটদের পিছুটান
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ৪ প্রতিষ্ঠান
- ডিভিডেন্ড পেল দুই কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ৭ প্রতিষ্ঠান
- বিকালে আসছে ১০ কোম্পানির ইপিএস
- বিকালে আসছে ২১ কোম্পানির ইপিএস
- নতুন সিনেট সদস্য হলেন ঢাবির ৫ অধ্যাপক
- শিবলী রুবাইয়াত ও শেখ শামসুদ্দিন শেয়ারবাজারে অবাঞ্ছিত ঘোষণা