ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২

লিবিয়া থেকে পাঠানো হচ্ছে আরও ৩০৯ বাংলাদেশি অভিবাসীকে

২০২৫ অক্টোবর ২৪ ০১:৩৪:৩০

লিবিয়া থেকে পাঠানো হচ্ছে আরও ৩০৯ বাংলাদেশি অভিবাসীকে

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ দূতাবাস, লিবিয়া এবং লিবিয়ার জাতীয় ঐক্যমত্যের সরকারের সার্বিক সহযোগিতা ও ব্যবস্থাপনায় ত্রিপলি থেকে স্বেচ্ছায় দেশে প্রত্যাবর্তনে আগ্রহী ৩০৯ জন বাংলাদেশি নাগরিককে বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) বাংলাদেশে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে।

প্রত্যাবাসিত এসব অভিবাসী আজ শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টায় একটি বিশেষ ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এটি লিবিয়া সরকারের সহযোগিতায় পরিচালিত দ্বিতীয় চার্টার ফ্লাইট বলে জানিয়েছে ত্রিপলিতে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাস।

রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মুহাম্মদ খায়রুল বাশার দূতাবাস প্রাঙ্গণে প্রত্যাবাসিত অভিবাসীদের বিদায় জানান। এ সময় দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) মো. রাসেল মিয়া এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বিদায়কালে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশ দূতাবাস লিবিয়ায় অবস্থানরত অভিবাসীদের নিরাপদ ও সম্মানজনক প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে সর্বদা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। স্বেচ্ছায় দেশে ফিরতে ইচ্ছুক নিবন্ধিত অভিবাসীদের প্রত্যাবাসনের জন্য দূতাবাস নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় লিবিয়া সরকারের সহযোগিতায় গত ৯ অক্টোবর প্রথম দফায় ৩০৯ জন এবং আজ দ্বিতীয় দফায় আরও ৩০৯ জন বাংলাদেশিকে দেশে পাঠানো সম্ভব হচ্ছে।’

রাষ্ট্রদূত অভিবাসীদের দেশে ফিরে মানবপাচার প্রতিরোধে সচেতনতা তৈরিতে ভূমিকা রাখতে অনুরোধ করেন। তিনি অনিয়মিত উপায়ে বিদেশ যাত্রার ঝুঁকি ও ভয়াবহ পরিণতি সম্পর্কে স্থানীয়ভাবে সচেতনতা বাড়ানোর আহ্বান জানান। রাষ্ট্রদূত সবাইকে দালালচক্রের বিরুদ্ধে দেশে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন এবং এ বিষয়ে দূতাবাসের সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশ্বাস দেন।

মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত আরও বলেন, ‘প্রত্যেক নাগরিক দেশের সম্পদ। তাই ভবিষ্যতে কেউ যেন অবৈধ পথে বিদেশে না যায়।’ বরং বৈধ উপায়ে, প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে বিদেশে গিয়ে দেশের সম্মান, মর্যাদা ও উন্নয়নে অবদান রাখার আহ্বান জানান।

তিনি লিবিয়ার জাতীয় ঐক্যমত্যের সরকার, বিশেষ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আন্তরিক সহযোগিতা ও সার্বিক ব্যবস্থাপনার জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ দূতাবাস ও লিবিয়া সরকারের ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা ও সমন্বয়ের ফলেই বাংলাদেশি অভিবাসীদের এই নিরাপদ ও সম্মানজনক প্রত্যাবাসন কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে।’

উল্লেখ্য, প্রত্যাবাসিত বাংলাদেশি নাগরিকরা ইতোপূর্বে স্বেচ্ছায় দেশে ফেরার জন্য দূতাবাসে আবেদন করেছিলেন। পরবর্তীতে দূতাবাস লিবিয়া সরকারের সহযোগিতায় তাদের প্রত্যাবাসনের জন্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রম শুরু করে এবং অভিবাসীদের অনুকূলে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট প্রস্তুত ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে বহির্গমন ছাড়পত্র সংগ্রহসহ সব প্রশাসনিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে। একই প্রক্রিয়ায় আগামী ৩০ অক্টোবর মিসরাতা ও ত্রিপলি থেকে নিবন্ধিতদের মধ্যে অবশিষ্ট আরও তিন শতাধিক বাংলাদেশিকে দেশে প্রত্যাবাসনের জন্য লিবিয়া সরকারের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করছে বলে জানায় দূতাবাস।

এসপি

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত

জাতীয় এর অন্যান্য সংবাদ