ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট ২০২৫, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২
ব্রাজিল থেকে ১২০ টাকায় গরুর মাংস, যা বলল মন্ত্রণালয়

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সম্প্রতি ‘ব্রাজিল বাংলাদেশকে কেজি প্রতি ১২০ টাকায় গরুর মাংস সরবরাহ করবে’— এমন একটি তথ্য ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। এই তথ্যের সত্যতা নিয়ে যখন জনমনে নানা প্রশ্ন, তখন বিষয়টি স্পষ্ট করল মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় দ্ব্যর্থহীনভাবে জানিয়েছে, এই তথ্যটি সম্পূর্ণ অসত্য ও গুজব। সরকার বিদেশ থেকে, বিশেষ করে ব্রাজিল থেকে গরুর মাংস আমদানির কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, এ ধরনের ভ্রান্ত ও যাচাইহীন সংবাদ জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে এবং জনগণকে এই প্রচারণায় প্রভাবিত না হওয়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।
সরকারের এই সিদ্ধান্তের পেছনে রয়েছে দেশীয় খামারিদের স্বার্থরক্ষা, জনস্বাস্থ্য এবং দেশের প্রাণিসম্পদ খাতের সুরক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মন্ত্রণালয় জানায়, বাংলাদেশ মাংস উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ পর্যায়ে পৌঁছেছে। দেশের প্রায় ১৫ লাখ প্রান্তিক এবং ৬ লাখের বেশি মৌসুমি খামারি গবাদিপশু পালনের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করেন এবং তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দেশীয়ভাবেই কোরবানির পশুর শতভাগ চাহিদা মেটানো সম্ভব হচ্ছে। এ অবস্থায় বিদেশ থেকে মাংস আমদানি করা হলে এই বিশাল খামারি গোষ্ঠী মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং দেশের প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে।
পাশাপাশি, অবকাঠামোগত দুর্বলতা এবং স্বাস্থ্য ঝুঁকির বিষয়টিকেও বড় করে দেখছে মন্ত্রণালয়। মাংস একটি অতি পচনশীল পণ্য হওয়ায় এর গুণগত মান ও নিরাপত্তা ঠিক রাখতে একটি নিরবচ্ছিন্ন 'কোল্ড চেইন' বা হিমায়িত সংরক্ষণ ও পরিবহন ব্যবস্থা অপরিহার্য। বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক মানের এই অবকাঠামো এখনো পুরোপুরি গড়ে ওঠেনি। ফলে আমদানি করা মাংসের গুণগত মান নষ্ট হয়ে জনস্বাস্থ্য ও খাদ্য নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়তে পারে।
সবচেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয় হলো, বিদেশ থেকে মাংস আমদানির মাধ্যমে ক্ষুরারোগ, ল্যাম্পি স্কিন ডিজিস, পিপিআর, অ্যানথ্রাক্স, এবং সালমোনেলা ও ই-কোলাইয়ের মতো মারাত্মক জীবাণু দেশে প্রবেশের ঝুঁকি রয়েছে। এটি দেশের জনস্বাস্থ্য ও প্রাণিস্বাস্থ্যকে মারাত্মক হুমকির মুখে ফেলতে পারে।
মন্ত্রণালয় আরও জানায়, সরকার দেশীয় প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়ন, খামারিদের স্বার্থ রক্ষা এবং জনগণকে নিরাপদ ও মানসম্মত মাংস সরবরাহে অঙ্গীকারবদ্ধ। এমনকি এই খাতকে রপ্তানিমুখী করার লক্ষ্যে 'রোগমুক্ত অঞ্চল' তৈরির মতো কার্যক্রমও শুরু করা হয়েছে। তাই, বর্তমান পরিস্থিতিতে মাংস আমদানির কোনো প্রয়োজন বা পরিকল্পনা সরকারের নেই।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- তিন কোম্পানির কারখানা বন্ধ, ক্ষোভ বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের
- আইসিবি’র বিশেষ তহবিলের মেয়াদ ২০৩২ সাল পর্যন্ত বৃদ্ধি
- কেয়া কসমেটিক্সের ৮ হাজার কোটি টাকা উধাও, চার ব্যাংককে তলব
- সম্ভাবনার নতুন দিগন্তে শেয়ারবাজারের খান ব্রাদার্স
- ব্লুমবার্গের টেকসই তালিকায় বাংলাদেশের ১১ তালিকাভুক্ত কোম্পানি
- মূলধন ঘাটতিতে দুই ব্রোকারেজ হাউজ, ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ
- দুই খবরে আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ শেয়ারের চমক
- চলতি বছর শেয়ারবাজারে আসছে রাষ্ট্রায়াত্ব দুই প্রতিষ্ঠান
- সাকিবের মোনার্কসহ ৮ ব্রোকারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ
- ২৩ আগস্ট : শেয়ারবাজারের সেরা ৮ খবর
- হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে প্রতারণা, বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করল ডিএসই
- বিএসইসির নতুন মার্জিন বিধিমালার খসড়া অনুমোদন
- বিমা আইন সংস্কার: বিনিয়োগ ও আস্থায় নতুন দিগন্ত
- কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর: ডিএসইর সতর্কবার্তা
- শেয়ারবাজারের জন্য সুখবর: কমছে ট্রেজারি বিল ও বন্ডের সুদ