ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২

নিরীহ স্কুল শিক্ষক আমিরুলকে ষড়যন্ত্র করে মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ

২০২৫ মে ১৩ ১৫:৫৫:৩০
নিরীহ স্কুল শিক্ষক আমিরুলকে ষড়যন্ত্র করে মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ

ডুয়া নিউজ: একজন সহজ-সরল, নিরীহ তরুণ শিক্ষকের জীবনে যেন নেমে এলো অপ্রত্যাশিত দুর্যোগ। পাবনার হলুদবাড়ীয়া গ্রামের বাসিন্দা মোঃ আমিরুল ইসলাম (৩০), যিনি স্থানীয় হলুদবাড়ীয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। তাকে একটি মিথ্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে — যা তাঁর ও তাঁর পরিবারের জন্য যেন আকাশভাঙা বিপর্যয় হয়ে এসেছে।

মামলার তথ্য অনুযায়ী, পাবনা থানার মামলা নং ৫, তারিখ ১১/০৮/২০২৪, জি আর নং ৫০৩/২০২৪-এ আমিরুল ইসলামকে এজহারের ১১ নম্বর আসামি করা হয়েছে। মামলা সংশ্লিষ্ট ধারাগুলোর মধ্যে রয়েছে ১৪৩/১৪৭/১৪৮/৩২৩/৩২৪/৩০৭/৩২৬/৩০২/১১৪/৩৪ — যেগুলো মূলত গুরুতর ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগের ধারা। অথচ আমিরুল ইসলাম সম্পর্কে এলাকাবাসী এবং সহকর্মীরা যেসব তথ্য দিয়েছেন তা সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্র তুলে ধরছে।

আমিরুল ইসলাম এক অসচ্ছল পরিবারের সন্তান। তাঁর বাবা-মা দুজনই বৃদ্ধ ও অসুস্থ। পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে তিনি চতুর্থ। পরিবারের বড় ভাই কৃষিকাজে, আরেক ভাই ফার্নিচারের কাজ করেন। একজন ভাই ব্র্যাক-এ চাকরি করছেন এবং সর্বকনিষ্ঠ ভাই উচ্চশিক্ষা শেষে কর্মসংস্থান খুঁজছেন। আমিরুল নিজে সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ থেকে বি.এ অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করে নিজ গ্রামে থেকে শিক্ষা বিস্তারে কাজ করছিলেন। টিউশনি ও খন্ডকালীন শিক্ষকতা করে বৃদ্ধ বাবা-মায়ের হাল ধরেছিলেন।

এলাকাবাসীর মতে, আমিরুল রাজনীতি থেকে সম্পূর্ণ দূরে থাকা একজন শান্তিপ্রিয় নাগরিক। তাঁর বিরুদ্ধে অতীতে কোনো মামলা বা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ নেই। এমনকি তাঁর পরিবারের কেউ কখনো কোনো রাজনৈতিক কার্যকলাপেও জড়িত ছিল না।

মামলাটি পরিকল্পিত বলে তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়।

মামলার ঘটনার দিন আমিরুল ইসলাম ওই স্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষকের মায়ের মৃত্যুর কারণে জানাযা ও দাফন অনুষ্ঠানে অংশ নিতে সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত গ্রামের ঈদগাহ কবরস্থানে অবস্থান করছিলেন। এ বিষয়ে প্রত্যয়নপত্রে সহকর্মী ও এলাকাবাসী সাক্ষ্য দিয়েছেন যে, আমিরুলসহ অধিকাংশ শিক্ষক ও গ্রামবাসী সেসময় ঘটনাস্থলের আশেপাশেও ছিলেন না।

একজন শিক্ষক জানান,“আমরা সকলে জানাজায় ছিলাম। প্রমাণ হিসাবে ওই স্কুলের শিক্ষক কিয়াম উদ্দিন স্যার,আলাউদ্দীন স্যার সহ আরও অনেকেই তারা একই সাথে স্কুলে বসে মিটিং এ অংশগ্রহণ করেন।আমিরুল কখনো এমন কিছুতে জড়াতে পারে না।”এটা একেবারেউ ভিত্তিহীন,অযোক্তিক এবং মিথ্যা মামলা।সারা এলাকায় আমিরুলের ব্যাপক জনপ্রিয়তা একজন মেধাবী স্যার হিসেবে।

একজন তরুণ, যিনি সমাজ গড়ার কাজে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন, তার জীবন যেন হঠাৎই এক ভয়ংকর দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে। এলাকাবাসী এ মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে