শেয়ারবাজার নিয়ে যা বললেন প্রধান উপদেষ্টা

ডুয়া ডেস্ক: সংস্কারের মাধ্যমে শেয়ারবাজারের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি আরও বলেন, “এটি যেন লুটেরাদের আড্ডাখানায় পরিণত না হয়।”

আজ রবিবার (১১ মে) দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় এক বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

শেয়ারবাজারে ধারাবাহিক দরপতন ও বিনিয়োগকারীদের চলমান আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে ‘পুঁজিবাজার উন্নয়ন ও শক্তিশালীকরণ’ ইস্যুতে উচ্চপর্যায়ের এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “শেয়ারবাজারের প্রয়োজনীয় সংস্কারের মাধ্যমে এমন অবস্থায় ফেরাতে হবে যেন মানুষ আস্থা ফিরে পায়, এটা যেন লুটেরাদের আড্ডাখানায় পরিণত না হয়।”

লুটপাটের মাধ্যমে শেয়ারবাজারকে বেসামাল করে দেওয়ার পেছনে গত কয়েক দশক ধরে যারা জড়িত তাদেরকে বিচারের আওতায় না আনতে পারলে মানুষের আস্থা ফিরবে না জানিয়ে তিনি বলেন, “শেয়ারবাজারকে যে অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে তা অকল্পনীয়। আমাদেরকে অবশ্যই এই পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটাতে হবে।”

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, প্রধান উপদেষ্টার অর্থ মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ।

এর আগে, গত ৬ মে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ (এফআইডি) থেকে এই বৈঠকের প্রস্তাব দিয়ে চিঠি পাঠানো হয়। পরে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় তা নিশ্চিত করে ফের চিঠির মাধ্যমে অর্থ উপদেষ্টা, বিশেষ সহকারী, বিএসইসি চেয়ারম্যান এবং এফআইডির সচিব নাজমা মোবারেককে বৈঠকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়।

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগের পর শেয়ারবাজার কিছুটা স্থিতিশীল হলেও বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বাজার আবারও অস্থিরতায় পড়ে। এই সময়ের মধ্যে বাজার মূলধন কমেছে ৪৮ হাজার কোটি টাকার বেশি এবং সূচকে প্রায় এক হাজার পয়েন্টের পতন হয়েছে। বিনিয়োগকারীরা আস্থা হারিয়ে বারবার রাস্তায় নামছেন এবং বর্তমান কমিশনের পদত্যাগ দাবি করছেন।

এছাড়া, চলমান সংকটে বিএসইসিতে ২১ জন কর্মকর্তা বরখাস্ত ও ২ জনকে শোকজ করা হয়েছে, যা কমিশনের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলার সংকটও তুলে ধরেছে। এমন প্রেক্ষাপটে আয়োজিত এই বৈঠককে শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টরা স্বাগত জানালেও, অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিদের তালিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন অনেকেই।