ঢাকা, সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৪ ভাদ্র ১৪৩২
একীভূতকরণের বিপক্ষে সোচ্চার সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের অংশীজনরা

নিজস্ব প্রতিবেদক: সংকটে থাকা অন্যান্য ইসলামী ব্যাংকের সঙ্গে একীভূতকরণের সরকারি সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছেন সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি-এর শেয়ারহোল্ডার, কর্মকর্তা এবং পরিচালকরা। তাদের দাবি, এই পদক্ষেপ গ্রাহক এবং বিনিয়োগকারীদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
সোমবার (০৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে তারা এই দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মেজর (অব.) এম রেজাউল হক বলেন, "এক সময় বন্দুকের নলের মুখে আমাদের এই ব্যাংক দখল করা হয়েছিল। এখন আবার এটিকে সরকারি খাতে নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমাদের অপরাধ কী? কোনো পরিস্থিতিতেই আমাদের ব্যাংক ছিনিয়ে নেওয়া যাবে না। আমরা আদালতে রিট আবেদন করেছি এবং সেটির সমাধান আগে করতে হবে। এটি অন্য কারো হাতে তুলে দেওয়া যাবে না।"
ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ চৌধুরী বলেন, "আমরা ব্যবসায়ী। ব্যবসায়ীরা যদি একটি ব্যাংক চালাতে না পারে, তাহলে অন্যরা কীভাবে এটি পরিচালনা করবে? আমরাই এই ব্যাংক চালাব। এটি আমাদের সম্পদ। সরকার কি চাইলেই কারো বাড়ি বা সম্পত্তি নিয়ে নিতে পারে?"
সাবেক পরিচালক আসাদুজ্জামান বলেন, "আমরা অনেক কষ্টে এই ব্যাংকটি গড়ে তুলেছি। এটি প্রতিষ্ঠার জন্য বিদেশ থেকে টাকা এনেছিলাম। এখন কেন এটিকে জাতীয়করণ করা হবে?"
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক দীর্ঘদিন ধরে ব্যাংকিং খাতে স্থিতিশীলতা বজায় রেখেছে। ২০০০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর থেকে এটি নিয়মিত ডিভিডেন্ড দিয়ে আসছে। তবে, ২০১৭ সালের পর ব্যবস্থাপনা পরিবর্তন এবং বিভিন্ন সিদ্ধান্তের কারণে ব্যাংকটি আর্থিক সংকটে পড়ে বলে তারা অভিযোগ করেন।
প্রতিষ্ঠাতা ও শেয়ারহোল্ডারদের অভিযোগ, ৫ আগস্টের পর বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক গঠিত নতুন পরিচালনা পর্ষদে মূল প্রতিষ্ঠাতা এবং শেয়ারহোল্ডারদের পর্যাপ্ত প্রতিনিধিত্ব নেই। এর ফলে গ্রাহকদের আস্থা কমেছে এবং আমানত উত্তোলনের পরিমাণ বেড়েছে।
তারা জোর দিয়ে বলেন, যদি মূল প্রতিষ্ঠাতা ও শেয়ারহোল্ডারদের নেতৃত্বে ব্যাংকটি পরিচালিত হয়, তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সহযোগিতায় এটি দ্রুত পুনরুদ্ধার হতে পারে। তারা আরও বলেন, তারা ক্ষুদ্রঋণ, এসএমই এবং ক্ষুদ্র-উদ্যোগ খাতে বিনিয়োগকে অগ্রাধিকার দেবেন।
সরকার সম্প্রতি পাঁচটি দুর্বল শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংককে একীভূত করার একটি পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে। এই ব্যাংকগুলো হলো: ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক এবং এক্সিম ব্যাংক। এর মধ্যে, প্রথম চারটি ব্যাংক একীভূতকরণ পরিকল্পনায় সম্মত হলেও, এক্সিম ব্যাংক আরও সময় চেয়েছে।
এএসএম/
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- কোম্পানি পুরোদমে উৎপাদনে, তারপরও শঙ্কায় বিনিয়োগকারীরা!
- বিও অ্যাকাউন্টের ফি নিয়ে বিনিয়োগকারীদের সুখবর দিল বিএসইসি
- তালিকাচ্যুতির ঝুঁকিতে অলিম্পিক এক্সেসরিজ
- এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ উচ্চতায় ৫ কোম্পানি
- শেয়ারবাজারে দ্রুত মুনাফা তোলার ৫টি ট্রেডিং টিপস
- রবির মাধ্যমে দেশে আসছে স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট
- সর্বোচ্চ চাহিদায় নাগালের বাইরে ১৪ প্রতিষ্ঠান
- তিন কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর: ডিএসইর সতর্কবার্তা
- শেয়ারবাজারে মিডল্যান্ড ব্যাংকের নতুন যাত্রা
- সাবেক কর্মীদের ১৮২৩ কোটি টাকা আটকে রেখেছে ম্যারিকো
- আট কোম্পানির শেয়ার নিয়ে কাড়াকাড়ি
- নতুন উচ্চতায় অগ্রসর হচ্ছে দেশের শেয়ারবাজার
- সর্বনিম্ন দামে আটকে গেল ৭ কোম্পানির শেয়ার
- চার জেডের শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের সর্বোচ্চ আস্থা
- মুনাফা বাড়াতে নতুন পরিকল্পনা: ঘুরে দাঁড়াচ্ছে হাক্কানী পাল্প