ঢাকা, শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১ ভাদ্র ১৪৩২
যুক্তরাজ্যে নতুন ওষুধ বিক্রি শুরু করল রেনাটা

নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানি রেনাটা পিএলসি যুক্তরাজ্যের বাজারে ফ্লুড্রোকোর্টিসন ০.১ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট বিক্রি শুরু করেছে। এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে কোম্পানিটি দেশটিতে ক্যাবারগোলিন ০.৫ মিলিগ্রাম ট্যাবলেটের জেনেরিক সংস্করণ সরবরাহ করেছিল।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে কোম্পানিটি জানিয়েছে, ফ্লুড্রোকোর্টিসন মূলত প্রাথমিক অ্যাডিসন রোগ ও লবণহ্রাসকারী অ্যাড্রেনোজেনিটাল সিন্ড্রোমের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। ওষুধটি রেনাটার ইউকে এমএইচআরএ অনুমোদিত কারখানায় উৎপাদন করা হয়েছে এবং দেশটিতে রেনাটা (ইউকে) লিমিটেডের মাধ্যমে বাজারজাত করা হচ্ছে।
সর্বশেষ ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই-মার্চ) রেনাটার রাজস্ব দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ১৫৮ কোটি টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ২ হাজার ৭৮৯ কোটি টাকা। তবে এ সময়ে কোম্পানির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা কমে দাঁড়ায় ১৮২ কোটি ৯৪ লাখ টাকায়, আগের বছরে যা ছিল ২৬৩ কোটি ১৯ লাখ টাকা। এর ফলে তিন প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) কমে দাঁড়িয়েছে ১৫ টাকা ৯৫ পয়সায়, যা আগের বছরে ছিল ২২ টাকা ৯৫ পয়সা। ৩১ মার্চ ২০২৫ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) হয়েছে ৩০২ টাকা ৪৯ পয়সা।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে রেনাটা বিনিয়োগকারীদের দিয়েছে ৯২ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড। ওই সময়ে কোম্পানির ইপিএস ছিল ৩১ টাকা ৫৩ পয়সা, আগের বছরের ২০ টাকা ৪০ পয়সার তুলনায় বেশি। এ সময় এনএভিপিএস দাঁড়ায় ২৯৫ টাকা ৫৬ পয়সায়।
আর্থিক সক্ষমতার দিক থেকে রেনাটার অবস্থান শক্তিশালী। আলফা ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড (আলফা রেটিং) কর্তৃক কোম্পানিটির সর্বশেষ সার্ভিল্যান্স রেটিং হয়েছে দীর্ঘমেয়াদে ‘ট্রিপল এ’ এবং স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি-ওয়ান’। ৩০ জুন ২০২৪ সমাপ্ত নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও ৭ অক্টোবর ২০২৪ পর্যন্ত প্রাসঙ্গিক তথ্যের ভিত্তিতে এই রেটিং প্রদান করা হয়।
রেনাটার যাত্রা শুরু হয় ১৯৭২ সালে মার্কিন ওষুধ জায়ান্ট ফাইজারের একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে। ১৯৯৩ সালে ফাইজার তাদের মালিকানা স্থানীয় শেয়ারহোল্ডারদের কাছে হস্তান্তর করলে কোম্পানির নাম হয় রেনাটা লিমিটেড। কোম্পানিটি ১৯৭৯ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়।
বর্তমানে রেনেটার অনুমোদিত মূলধন ২৮৫ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ১১৪ কোটি ৬৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৩ হাজার ২৭২ কোটি ১৪ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ১১ কোটি ৪৬ লাখ ৯৬ হাজার ৪৯০টি।
শেয়ার মালিকানা কাঠামোতে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের দখলে রয়েছে ৫১.২৯ শতাংশ। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২১.৮৪ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৯.৪৩ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৭.৪৪ শতাংশ শেয়ার।
এএসএম/
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে শেয়ারবাজারের ১১ কোম্পানিতে
- কোম্পানি পুরোদমে উৎপাদনে, তারপরও শঙ্কায় বিনিয়োগকারীরা!
- বিও অ্যাকাউন্টের ফি নিয়ে বিনিয়োগকারীদের সুখবর দিল বিএসইসি
- পাকিস্তান বনাম সংযুক্ত আরব আমিরাত সাম্প্রতিক ম্যাচের পরিসংখ্যান
- মার্জারের সাফল্যে উজ্জ্বল ফার কেমিক্যাল
- এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ উচ্চতায় ৫ কোম্পানি
- শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির পর প্রথম ‘নো ডিভিডেন্ড’
- শেয়ারবাজারে মিডল্যান্ড ব্যাংকের নতুন যাত্রা
- তদন্তের খবরে থামছে দুই কোম্পানির ঘোড়দৌড়
- আট কোম্পানির শেয়ার নিয়ে কাড়াকাড়ি
- নতুন উচ্চতায় অগ্রসর হচ্ছে দেশের শেয়ারবাজার
- সর্বনিম্ন দামে আটকে গেল ৭ কোম্পানির শেয়ার
- ডেনিম উৎপাদন বাড়াতে এভিন্স টেক্সটাইলসের বড় পরিকল্পনা
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ৫ কোম্পানির ডিভিডেন্ড-ইপিএস
- পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কার পথে এগোচ্ছে বাংলাদেশের শেয়ারবাজার