ঢাকা, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫, ৭ কার্তিক ১৪৩২
শ্রম অধিকার প্রতিষ্ঠায় প্রধান উপদেষ্টার ঐতিহাসিক পদক্ষেপ
.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ সরকার আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) তিনটি গুরুত্বপূর্ণ কনভেনশন অনুসমর্থন করেছে, যা দেশের শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ে এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস এই দিনটিকে বাংলাদেশের শ্রম অধিকারের ইতিহাসে স্মরণীয় করে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন।
বুধবার (২২ অক্টোবর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের উপস্থিতিতে শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন এই তিনটি কনভেনশন অনুসমর্থন পত্রে স্বাক্ষর করেন।
অনুসমর্থিত কনভেনশনগুলো হলো: পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক কনভেনশন, ১৯৮১ (নং-১৫৫); কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তার মান উন্নয়নে প্রচারণামূলক কাঠামো কনভেনশন, ২০০৬ (নং-১৮৭) এবং কর্মক্ষেত্রে সহিংসতা ও হয়রানি প্রতিরোধ বিষয়ক কনভেনশন, ২০১৯ (নং-১৯০)। এর মধ্যে কনভেনশন ১৫৫ ও ১৮৭ আইএলও’র মৌলিক কনভেনশন হিসেবে বিবেচিত।
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস ২০১৩ সালের রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির কথা স্মরণ করে বলেন, সেই ঘটনার পর তৎকালীন সরকারের অঙ্গীকারগুলো পূরণ হয়নি। তিনি আরও যোগ করেন, প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর তার প্রথম লক্ষ্য ছিল শ্রম অধিকার নিশ্চিত করা, এবং দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর এই কনভেনশনগুলো অনুসমর্থন সম্ভব হয়েছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, কাগজে স্বাক্ষর করা মানে কাজ শেষ নয়, বরং এটি কেবল শুরু। কনভেনশনের বিষয়বস্তু সম্পর্কে শ্রমিকদের সচেতন করতে হবে এবং এর সঠিক বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।
শ্রম উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন এই অর্জনকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জন্য একটি তাৎপর্যপূর্ণ দিন এবং বড় চ্যালেঞ্জের সফল সমাধান হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি প্রধান উপদেষ্টার সার্বক্ষণিক নির্দেশনা এবং সংশ্লিষ্ট সকলের কঠোর পরিশ্রমের জন্য কৃতজ্ঞতা জানান।
আইএলও’র কান্ট্রি ডিরেক্টর ম্যাক্স টুনোন বাংলাদেশ সরকারকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, এই তিনটি কনভেনশন অনুসমর্থন শ্রমিকদের সুরক্ষায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকারের প্রতিফলন। তিনি আইএলও’র পক্ষ থেকে কনভেনশন বাস্তবায়নে এবং শ্রম আইন সংস্কারে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দেন।
এই অনুসমর্থনের মাধ্যমে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র দেশ হিসেবে আইএলও’র ১০টি মৌলিক কনভেনশন অনুস্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে পরিচিতি লাভ করলো, যা আন্তর্জাতিক শ্রমমান অনুসরণ নিশ্চিতকরণে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
এসপি
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- খেলোয়াড়দের নিয়ন্ত্রণে শেয়ারবাজার, অসহায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে কেডিএস এক্সেসরিজ
- ঘোষণা দিয়েও শেয়ারহোল্ডারদের ডিভিডেন্ড দেয়নি ১৭ কোম্পানি
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে স্কয়ার টেক্সটাইল
- শেয়ারবাজারে হাহাকার, ৮ দিনে ৪২ হাজার কোটি টাকা গায়েব!
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে মুন্নু এগ্রো
- লাফার্জহোলসিমের অন্তর্বর্তীকালিন ডিভিডেন্ড ঘোষণা
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে শমরিতা হাসপাতাল
- বস্ত্র খাতের ৮ কোম্পানিতে বেড়েছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ
- মার্জিন ঋণ নিয়ে গুজব, বিনিয়োগকারীদের আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান বিএসইসির
- লাফার্জ হোলসিমের উচ্চ মুনাফার 'অ্যাগ্রিগেটস' ব্যবসা
- পতন তান্ডবে শেয়ারবাজারে ছোটদের কফিনেও বড় পেরেক!
- শেয়ারবাজারে সচেতনতা বাড়াতে এবার যুক্ত হচ্ছে মাঠ প্রশাসন
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ১৭ কোম্পানির ডিভিডেন্ড
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে বিএসআরএম লিমিটেড